Tuesday, September 24, 2019

গল্পঃ 'আনন্দঅশ্রু'

- পৃথিবীর কোথায় ৫ থেকে ১ কাটলে ৬ হয় ?
গণিত স্যারের এই প্রশ্নে সব শিক্ষার্থীরাই বেশ অবাক । ৫ থেকে ১ কাটলে আবার ৬ হয় কিভাবে ?
সবাই বেশ চিন্তিতও বটে । শুধু একজন ছাড়া । কক্ষের শেষ বেঞ্চটাতে একজন বসা । স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে হয় শেষ বেঞ্চটা ওর জন্যই বানিয়েছে । ওর নাম সজল । দু'বছর ধরেই ক্লাস টেনের ঘানি টানছে । কলেজের মুখ আর দেখা হচ্ছে না । হয়তো ক্লাস টেনের বইগুলো ওর বেশ পছন্দ হয়েছে তাই বারবার পড়ছে । ওর সবচেয়ে অপছন্দকর বিষয়ই হল গণিত আর ইংরেজি । এই দুই ক্লাসচলাকালীন ও শুধু ঘড়ির দিকেই তাকিয়ে থাকে । কখন সময় পার হবে আর কখনই বা করিম চাচা ঘন্টা বাজাবেন । ক্লাসে কি হচ্ছে না হচ্ছে সে নিয়ে ওর খেয়াল নেই । বিশেষ করে গনিত আর ইংরেজি ক্লাসে ।
গণিত স্যারের প্রশ্নে একদিকে সবাই চিন্তিত অন্যদিকে সজল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছে ।
স্যার আবার জিজ্ঞেস করলেন,
- ক্লাসে এমন কি কেউ নেই যে এর উত্তর পারবে ?
এক জন অন্যজনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে । পিছন থেকে সজল উঠে দাঁড়িয়েই বলল,
- স্যার ঘড়ি ।
সবাই হেসে উঠল । প্রায়ই ক্লাসে সময় শেষ হয়ে গেলেও শিক্ষকরা পড়াতে ব্যস্ত থাকেন । তখনই সজল উঠে দাঁড়িয়ে বলে, 'স্যার সময় শেষ' । অথবা বলে, 'স্যার ঘড়ি দেখেন' । তাই স্যার ওকে বললেন,
- সময় তো শেষ হয়নি এখনও ।
- স্যার আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি । আপনি জিজ্ঞেস করেছিলেন পৃথিবীর কোথায় পাঁচ থেকে এক কাটলে ছয় হয় ?
স্যার পৃথিবীর সব ঘড়িতে পাঁচটা বেজে আরও এক ঘন্টা কেটে গেলে ছয়টা বাজে ।
সবাই অবাক হয়ে পিছনে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে আছে । স্যারও কিছুটা অবাক । যে ছেলেটা সাধারণ যোগ বিয়োগেও ক্যালকুলেটরের সাহায্য নেয়, সে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সবার চোখের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিলো । কিন্তু কিভাবে যে ও উত্তর টা দিলো কেউই ভেবে পাচ্ছেনা । স্যার ওকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবার পড়ানো শুরু করলো । সবাই মনযোগ দিয়ে ক্লাস করছে আর সজল মনযোগ দিয়ে বাহিয়ে তাকিয়ে আছে ।
সজল উদাসীন প্রকৃতির ছেলে । পরিবার পরিজন বলতে বাবা আর এক সৎ মা আছে । ওর মায়ের মৃত্যু হয় তখন ও নবম শ্রেণিতে । ওর মায়ের মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পরেই ওর বাবা আরেকটি বিয়ে করলেন । তবে সৎ মা হলেও সে সজলকে খুব যত্ন করেন, খেয়াল করেন ।
ক্লাস শেষে দুপুর দু'টোর সময় সজল বাড়ি ফেরে । ব্যাগটাকে বিছানায় ছুড়ে গোসলের জন্য যায় । খাবার টেবিলে ওর মা অপেক্ষা করছে । প্রতিদিনই দুপুরে সে খাবার নিয়ে অপেক্ষা করে ছেলের সাথে খাবে বলে । সজলের বাবা দুপুরে বাসায় আসে না । এজন্য ওদের দু'জনকে একসাথেই খেতে হয় ।
- পড়াশোনা কেমন চলছে তোমার ?
- চলছে..
- তোমার পছন্দের খাবার রান্না করেছি । ভাল হয়েছে ?
- হ্যাঁ ।
- একটু কষ্ট করে মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করো । তোমার সাথের বন্ধুরা তো কলেজে উঠে গেল । একটু চেষ্টা করো, দেখবে এবার ঠিক ভাল রেজাল্ট হবে ।
সজল কিছু বলছে না । খুব প্রয়োজন ছাড়া ওর সৎ মায়ের সাথে ও কথা বলেনা ।
সজল খুব জোর চেষ্টা করছে । এবার ওকে টেন টপকাতে হবেই । ছোটদের সাথে বছর বছর নিজেকে মানিয়ে নেয়া বেশ লজ্জাজনক আবার অস্বস্তিকরও বটে । কিন্তু গণিত আর ইংরেজি নিয়েই তো সমস্যা । সবই তো মাথার উপর দিয়ে যায় । অনেকদিন বাদে সজল আজ সন্ধ্যায় ইংরেজি বই খুলেছে । বইয়ের দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । মনে হয় ওর হাসি পাচ্ছে, কি লেখা এসব ! ও কিছু পড়ছে না, শুধু তাকিয়ে আছে আর একটু পর পর পাতা উল্টাচ্ছে । ওর মা দরজার কাছ থেকে কিছুটা লক্ষ্য করে ভিতরে আসলেন ।
- বাবা তুমি যদি পড়া না বুঝো, তুমি কোনো শিক্ষকের সহায়তা নিতে পারও, তাদের কাছে প্রাইভেট পড়লে হয়তো কিছুটা সংশোধন হবে ।
সজল চুপ করে আছে, কিছু বলছে না । ওর মা চলে যাচ্ছে এমন সময় বলল,
- আচ্ছা যাবো ।
তিনি মুখে একটু হাসি নিয়ে বের হয়ে গেলেন ।
পরবর্তী মাসের শুরুতেই সজল বাহিরের একটা কোচিং এ ভর্তি হয়ে গেল । প্রথমদিন স্যার এসে সজলকে দাড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
- নাম কি তোমার ?
- জ্বি সজল, সজল মাহমুদ ।
- ইংরেজি কেমন জানো ?
- জানি স্যার ।
- কেমন ভাল নাকি খারাপ ?
সজল মনে মনে ভাবছে, কার কাছে আসছি । এটুকও বুঝে না, ভাল হলে কি আসতাম নাকি ।
- জ্বি একটু খারাপ ।
- আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি ।
" লোকটি বিষপান করলো ।" এর ইংলিশ ট্রান্সলেশন কি হবে ?
কিছুক্ষণ মাথা চুলকে সজল উত্তর দিলো,
- স্যার, He is dead.
তার উত্তরে সবাই হেসে উঠলো । সজল মনে মনে ভাবছে, বিষ খেলে তো মানুষ মরবেই । আমি তো এটাই বললাম । এতে হাসার কি !
যথারীতি সেখানে ক্লাস করতে শুরু করলো । প্রথম ক'দিন বেশ অস্বস্তিকর লাগলেও আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে গেছে । পাশাপাশি গণিতও প্রাইভেট পড়া শুরু করেছে । এখন ব্যস্ততার কারনে উদাসীন ভাবটা কমে আসছে ।
এখন শুধু একটাই সমস্যা । হিসাববিজ্ঞান । হিসাব নিকাশে ও ভালই কিন্তু মাঝে মাঝে প্রশ্নের সাথে বিতর্কে গিয়ে পরিক্ষার নম্বর হারায় । স্কুলে মডেল টেস্টে প্রশ্ন এসেছিল, " সব লেনদেনই একটা ঘটনা কিন্তু সব ঘটনা লেনদেন নয়, বুঝিয়ে লেখও ।"
প্রশ্নের উত্তরে ও লিখেছিল,
'স্যার হয়তো প্রশ্নে ভুল আছে । সব লেনদেনই একটা ঘটনা আর সব দুর্ঘটনাই একটা লেনদেন । দুর্ঘটনা হলে তো ডাক্তার ফার্মেসি এদের কাছ থেকে লেনদেনের কিছু ব্যাপার আছে । আবার লেনদেনের ক্ষেত্রে যার লোকসান হয় তার জন্য এই লেনদেন একটা দুর্ঘটনা ।'
অর্থাৎ ওর মনে যা আসে তাই ও লিখেছে । চার মার্কের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষক মহাশয় সুন্দর করে দুইটা শূন্য এঁকে দিয়েছেন । প্রায়ই ওর বাবাকে স্কুলে ডেকে এনে সন্তানের অবনতির কথা জানানো হয় । ওর বাবা তেমন কিছু না বললেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলে । মা হারা ছেলেটা মায়ের শোকে সত্যিই বেশ এলোমেলো হয়ে গিয়েছে ।
বিকেলে খেলতে গিয়ে হাতের বৃদ্ধ আঙুলে ব্যথা পেয়েছে । ফুলে উঠেছে কিছুটা । রাতে খেতে বসে দেখলো ঠিকমতো হাত দিয়ে খাবার তুলতে পারছে না । ওর বাবা বলল,
- এখনও বাচ্চাদের মত খেলতে যাওয়া লাগে ।
- আহা থাক না, কিছু হবে না । আঙুল ঠিক হয়ে যাবে । এদিকে আয় বাবা আমি খাইয়ে দিচ্ছি । (সজলের মা)
সজল কিছু না বলেই প্লেট টা ওর মায়ের দিকে এগিয়ে দিলো । এই প্রথম ওর নতুন মায়ের হাতে কিচ্ছু খাচ্ছে । জলে ওর চোখ ছলছল করছে । ওর নিজের মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে । ইচ্ছের বিরুদ্ধেই চোখ থেকে জল পড়ে গেল । ততক্ষণে ওর বাবা খেয়ে টেবিল ছেড়ে উঠেছে । ওর মা চোখের জল মুছে দিয়ে বলল,
- আমি জানি বাবা তোমার মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে । তোমার বাবা তো বেশিক্ষণ তোমাকে সময় দিতে পারেনা । তুমি চাইলে আমাকে তোমার ভাল বন্ধু ভাবতে পারো । তোমার সব সমস্যার কথা শেয়ার করতে পারো । দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে । সব একদিন আগের মত হয়ে যাবে । তুমি একটু চেষ্টা করে দেখো, তুমিও পারবে ।
সজল নিশ্চুপ হয়ে সব শুনছে আর খাচ্ছে । সামনেই টেস্ট পরীক্ষা এবার একটু ভাল করতেই হবে । একটু না অনেক ভাল করতে হবে ।
রাত প্রায় ১২টা বেজে গেছে । সজলের রুমের বাতি এখনও জ্বলছে । দরজার কাছে থেকে ওর বাবা উকি দিয়ে দেখলো টেবিলের সামনে বসে সজল লিখছে । সাধারণত ও কখনো এত রাত অবধি বইয়ের সামনে থাকে না । ওকে আর বিরক্ত না করে ওর বাবা চলে আসলেন । ছেলেটা চেষ্টা করছে এটা ভেবেই ওর বাবা সন্তুষ্ট ।
টেস্ট পরিক্ষাও শেষ হলো, দুই বিষয়ে রেজাল্ট খারাপ । গণিত আর হিসাববিজ্ঞান । ওর বাবা প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছে । স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওকে দিয়ে আর হবে না । ওর পরিক্ষা না দেওয়াই ভাল । এরকম আরও নানান রকমের কথা শুনতে হলো ওর বাবাকে । তবুও একবার শেষ চেষ্টা করার জন্য তাকে অনুরোধ করা হলো । অনেক অনুনয়ের পরে শিক্ষক মহোদয় সজলকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলল ।
সজল খুব জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । ওর নতুন মা ও ওকে বেশ সহযোগিতা করছে । রাতে সজলের বাবা বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় সাড়ে বারোটা । বাসায় ঢুকেই দেখে সজলের রুমে এখনো বাতি জ্বালানো ।
- সজল এখনও ঘুমায়নি ?
- না, পড়ছে ।
- রাত তো অনেক হয়েছে । যাই ওর সাথে একটু কথা বলে আসি ।
সজলের রুমে ঢুকেই ওর বাবা বলল,
- কিরে এখনও পড়ছিস ?
- হ্যাঁ বাবা ।
- খেয়েছিস তোরা রাতে ?
- আমি খেয়েছি । উনি খায়নি ।
- উনি মানে ?
- সে খায়নি ।
- দেখ বাবা উনি যদিও তোর জন্মদাত্রী মা না । তবুও...
তোর জন্য কত ভাবে ? তুই বাসায় না আসলে সেও খায় না । তোকে সবসময় সাপোর্ট করে । তুই অন্তত মায়ের মর্যাদা টা তো দিতে পারিস । অন্তত মা বলে ডাকলে ক্ষতি কি হবে !
সজল কিছু বলছে না । ওর নতুন মা এসেছে প্রায় বছরখানেক পেরিয়ে গেল । আজ পর্যন্ত একবারও তাকে মা বলে ডাকেনি । তবুও ক্রমাগত দিন যাচ্ছে । দিনে দিনে ও হচ্ছে বড় আর ওর মা টা হচ্ছে ছোট ।
পরীক্ষার সময়ও এসে গেল । প্রস্তুতি বেশ ভাল, দিন রাত এক করে পড়াশোনা করলো, পরীক্ষাও দিলো । প্রত্যেক পরীক্ষার দিনই ওর মা ওর সাথে গিয়েছে । পরীক্ষাও বেশ ভালোয় শেষ হলো । এবার শুধু রেজাল্টের অপেক্ষা । এখনো ও আনমনে বসে থাকে বাসার ছাদের এক কোণে । আকাশ দেখে, পাখি দেখে, মানুষ দেখে । সব কিছুই চলমান, মনে হচ্ছে যেন শুধু ওর নিজের জীবনই থমকে আছে । জীবন থেকে মা হারালো, দু-তিনটে বছর হারালো, আর এসব কিছু হারিয়ে ও নিজেও যেন হারিয়ে গেছে দূরে কোথাও ।
আজ বেলা ১২টায় রেজাল্ট দিবে । ১১টার আগেই স্কুলে এসে বসে আছে । সঙ্গে ওর মা ও এসেছে । দুজন বসে আছে সেই শেষ বেঞ্চটাতে । আজও উদাসীন ভাবে তাকিয়ে আছে জানালার বাহিরে । সবাই একে অন্যের সাথে কথা বলছে, কুশলাদি বিনিময়ে ব্যস্ত আর ও চুপটি করে আছে । ওর মা জিজ্ঞেস করলো,
- চিন্তা হচ্ছে ?
- না ।
- যা হবার তা হবেই, তুমি চিন্তা করোনা ।
একটু বাদেই পিয়নকে দেখে ক্লাস ক্যাপ্টেন জিজ্ঞেস করলো,
- রেজাল্ট কখন দিবে ? ১২টা তো পেরোলো ।
সে জানালো রেজাল্ট দিতে আরও ঘন্টাখানেক দেরি হবে ।
সজলের মা ওকে বলল,
- রেজাল্ট দিতে যখন আরও ঘন্টাখানেক লাগবে আমি বরং গিয়ে রান্না করে ফেলি । নাকি থাকবো ?
- না, থাকা লাগবে না ।
- তুমি ভয় পেও না, সব ভালই হবে ।
- আচ্ছা ।
সজলের মা চলে যাচ্ছে, আর ও এখনো উদাসীন ভাবে তাকিয়ে আছে জানালার বাহিরে । মাঝে মাঝে ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে । ঘড়ির কাটা যেন থমকে আছে, সামনে যেতে চাচ্ছে না । প্রায় পৌনে এক ঘন্টা পরে পিয়ন এসে নোটিশ বোর্ডে রেজাল্ট শিট টানিয়ে দিলো । সবাই হুরহুর করে দৌড়ে গেল, ভীড় জমে গেছে । কেউ মুখে হাসি নিয়ে ফিরছে সেখান থেকে, আর কেউ বিষন্ন মনে ফিরছে । সজল এখনো শেষ বেঞ্চটাতেই বসে আছে । দু'একজন ক্লাসে এসে আলাপ করছে সেখান থেকেই শুনতে পেল । ৭৩ জন ছাত্রের ১৩ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে । আর ২ জনের রেজাল্ট খারাপ । ফেইল করেছে । সজল ভাবছে এই দু'জনের মধ্যেই হয়তো ওর নামটা আছে । নোটিশ বোর্ডের কাছ থেকে ভীড় কমলে সজল সেখানে গিয়ে দাঁড়ায় । খুজতে খুজতে শেষ লাইনের মধ্যেই ওর রোল নাম্বারটা দেখতে পেল । পাশেই জিপিএ দেয়া ৩.০৯ । নিজের অজান্তেই চোখে জল এসে গেল । কেউ ভাল রেজাল্ট করেও কাঁদছে আরেকটু ভালর জন্য । আর কেউ মোটামুটি রেজাল্ট করেও কাঁদছে । এটা হয়তো আনন্দঅশ্রু । হ্যাঁ আনন্দঅস্রুই ।
সেখানে আর এক মুহুর্তও নয়, দৌড়ে বাসায় চলে আসে ও । ওর আম্মু গোসলে গেছে হয়তো । অনেকবার কলিং বেল বাজানোর পরেও দরজা খুলছে না । ওর যেন আর তর সইছে না । ইচ্ছে হচ্ছে দরজাটা ভেঙে ভিতরে ঢুকতে ।
দরজা খুলতেই ও ওর মাকে জড়িয়ে ধরে । অতি উল্লাসে বলছে,
- মা, আমি পাশ করেছি । আমি উত্তীর্ণ হয়েছি ।
ওর মা কিছুই বলছে না । মুখে হাসি আর চোখ দিয়ে অঝোরে জল বেরোচ্ছে । ছেলে পাশ করেছে এজন্য খুশিতে মুখে হাসি ফুটেছে আর এই প্রথমবারের মত তাকে মা বলে ডেকেছে তাই হয়ত কাঁদছে । ছোট্ট সন্তানের মুখে যখন বুলি ফুটে, দু'একটা কথা আধো আধো বলতে শিখে তখন সে মা বলে ডাকলে মায়ের যেমন অনুভূতি হয়, সজলের মায়েরও তেমনই অনুভূতি হচ্ছে । আর তাই হয়তো সে কাঁদছে । হয়তো এটাই আনন্দঅশ্রু । হ্যাঁ আনন্দঅশ্রুই ।

Suicide 😞

ENGLISH TRANSLATE BY GOOGLE ON BANGLA STORY....
,
Suicide note of 1 out of 11 students switched to Comilla board
General Chat Chat Lounge
"I will take the exam again next year.
Everyone was normal, me too. But one after another, the neighboring classmates began to appear sweet and sweet.
My mother had a bad head.
General Chat Chat Lounge
My father also abused me. Don't worry about the parents who were laying their hands on my head yesterday, never got old. Next time you test again, many years to go.
However, when the neighbors got sweet, the parents sent me a shoe, not only that, they kicked my parents' rice out of anger.
General Chat Chat Lounge
I tried a lot to hide, I couldn't.
The neighbors took out a one-handed tongue and began to regret, not just remorse, but my mother or my mother. I was devastated by my mother's grief.
General Chat Chat Lounge
My apology has killed my parents a lot in the courtyard. Mother is still unconscious. I said goodbye to the earth before my knowledge returned.
Good neighbors,
Well done classmates ...

#collected
# Life is yours. The man's work is being pursued. If you give importance to them, you lose.
All in the family. Yet for some time in life, I have never given importance to anyone except myself and my family. Tita, though, is true. If you will survive.

Let the neighbor into hell. Question 5 Father, how are you now? Would you like to kill the boy ???
.
..
BANGLA LANGUAGES.....
কুমিল্লা বোর্ডের সুইসাইড করা ১১ জন ছাত্রের মধ্যে ১ জনের সুইসাইড নোটঃ
.
"আগামি বছর আবার পরীক্ষা দিবো। মা, বাবাকে বুঝাইছি।
সবাই স্বাভাবিক ছিলো, আমিও। কিন্তু একের পর এক প্রতিবেশী সহপার্ঠীরা মিষ্টি আর কথার খোঁচা নিয়ে হাজির হতে লাগলো।
আমার মায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেলো।
.
বাবাও আমাকে গালিগালাজ করলো। যে মা বাবা গতকাল আমার মাথায় হাত রেখে বলছিলো চিন্তা করিস না, বুড়ো হয়ে যাস নাই। সামনের বার আবার পরীক্ষা দিস, বছর যাইতে কয়দিন।
অথচ, প্রতিবেশীদের মিষ্টি পেয়ে সেই বাবা মা আমাকে জুতা দিয়ে পিঠলো, শুধু তাই নয়, আমার উপর রাগ করে বাবাপাতের ভাত লাথি মেরে ফেলে দিলো।
.
অনেক চেষ্টা করেছি লুকিয়ে থাকার, পারলাম না।
প্রতিবেশীরা এক হাত জিহ্ববা বের করে অনুশোচনা করলো, শুধু অনুশোচনা নয়, আমার জন্য নাকি আমার মা দায়ী। মায়ের আস্কারা পেয়ে আমি নষ্ট হয়ে গেছি।
.
তাদের কৈফিয়ত পেয়ে আমার বাবা মাকে উঠানে প্রচুর মেরেছে। মা এখনো বেহুঁশ। মার জ্ঞান ফিরার আগেই পৃথিবীকে বিদায় জানালাম।
ভালো থাকবেন প্রতিবেশীরা,
ভালো থেকো সহপার্ঠী বন্ধুরা...
#collected
#জীবন আপনার। লোকের কাজ পিছনে লাগা। এদেরকে গুরুত্ব দিলেন তো হেরে গেলেন।
পরিবার সব। তবুও জীবনে কিছু কিছু সময় নিজেকে ছাড়া কাউকে গুরুত্ব দিতে নাই, পরিবারকেও না। তিতা হলেও সত্যি। বেঁচে যাবেন তাহলে।
প্রতিবেশী জাহান্নামে যাক। প্রশ্ন ঐ বাবার কাছে, এখন কেমন আছেন? ছেলে হত্যা করে ভাল লাগছে তো???

জীবন আপনার জন্য সুন্দর

আরিফ তার পুরুষত্ব প্রকাশ করার জন্য খুব ছোট একটা কারণে তার স্ত্রী নোহার বামগালে সজোরে থাপ্পড় মারতে পারে। তরকারিতে একটু লবণ কম বা ঝাল বেশি হলে সেই তরকারির বাটি ছুড়ে ফেলে দিতে পারে। বাহিরে বের হবার সময় যখন আরিফ লক্ষ্য করে তার শার্টটা ইস্ত্রি করা হয় নি তখন সেই কুচকানো শার্টটা নোহার মুখে ছুড়ে মেরে নোহাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে পারে কারণ আরিফ একজন পুরুষ। সে তার পুরুষত্ব প্রকাশ করার জন্য এমনটা করতেই পারে।।
সেই আরিফ মাঝরাতে কাপুরুষ হয়ে যায়। তার স্ত্রী নোহা যখন মাঝরাতে তার বুকে হাত রাখে তখন সে ভয়ে জড়সড় হয়ে খাটের এক কোণে চলে যায়। কেন এমনটা হয় আরিফের সাথে সেটা জানার জন্য কয়েক বছর পিছনে যেতে হবে। তখন আরিফ সদ্য যৌবন প্রাপ্ত যুবক। ট্রেনে তার সামনের সিটে বসেছিল এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ে। বয়সের দিক দিয়ে আরিফের থেকে কয়েকবছরের বড় হবে। খুব সুন্দর করে মিষ্টি হেসে মেয়েটি আরিফের সাথে কথা বলেছিলো। কিন্তু আরিফ একটু পর ট্রেনের শেষ কামড়ার দিকে যায়। বাথরুমে ঢুকে তার সামনের দিকে বসা মেয়েটিকে কল্পনা করে হস্তমৈথুন করে। এইভাবে দিনের পর দিন রাতের পর রাত পাড়ার বৌদি, সিনেমার নায়িকা, আর নীল জগৎতের মেয়েদের কল্পনা করে একটু একটু করে সে তার শরীর থেকে পুরুষত্ব বিসর্জন দিতে থাকে। অথচ যেটা তার স্ত্রী নোহার প্রাপ্য ছিলো...
পুরুষত্ব দেখানোর জন্য স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কিংবা গায়ে হাত তুলে প্রকাশ করতে হয় না। পারলে নিজের স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে তৃপ্তি দিয়ে নিজের পুরুষত্ব দেখাও কারণ বর্তমান সমাজে ৬০% ডিভোর্স হয় স্বামীর অক্ষমতার জন্য...
স্বামী স্ত্রী সঠিকভাবে সহবাস করাও একধরনের ইবাদত...
১৫ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করে মামুন। সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে যখন সে বাসায় ফিরে তখন তার স্ত্রী মিতু মামুনের কানের কাছে সব সময় বলতে থাকে, পাশের বাসার ভাবীকে তার স্বামী নতুন শাড়ি কিনে দিয়েছে, সোনার গহনা বানিয়ে দিয়েছে, বাসায় এসি লাগিয়েছে। এইসব কথা শুনতে শুনতে একটা সময় বিরক্ত হয়ে মামুন রাগে মিতুর গালে থাপ্পড় মারে। আর মিতুও রাগে বাপের বাড়ি চলে যায়।
অথচ মিতু এটা ভেবে দেখলো না তার স্বামী মাত্র ১৫ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করে। সে কি করে ৩৫ হাজার টাকা দামের গহনা দাবী করে।
একটা সংসার সুখের হয় স্বামী স্ত্রীর পারষ্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। যেখানে তোমার স্বামী ১৫ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করে সেখানে তুমি স্বামীর কাছে ১হাজার টাকার কিছু জিনিস আবদার করতে পারো। আর আস্তে আস্তে টাকা সঞ্চয় করে তোমার দামী শখ গুলো পূরণ করতে পারো। কিন্তু স্বামীর উপর চাপ সৃষ্টি করে অন্যজনের সাথে তুলনা করে স্বামীকে অপমান করার কোন মানে হয় না...
বাসর রাতে বিশ্বাস করে পুষ্পিতা তার স্বামী পিয়াসকে সব কিছু খুলে বলে। কারণ পুষ্পিতা জানে পিয়াস খুব ভালো ছেলে। আর পুষ্পিতাকে একবার দেখেই পিয়াস বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলো। সে বলে বিয়ের আগে একটা ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো। প্রচন্ড ভালোবাসতো ছেলেটাকে। তাদের মাঝে বেশকয়েক শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিলো। কিন্তু সেই ছেলেটা থাকে ধোঁকা দিয়েছে। কথাগুলো পুষ্পিতা বলছিলো আর খুব কান্না করছিলো। পিয়াস চুপ করে পুষ্পিতার সব কথা শুনলো। তারপর পুষ্পিতাকে বললো, আজকের রাতটা কোনরকম ভাবে কাটিয়ে সকালে চলে যেও। তুমি আমার জন্য না...
কথাটা শুনে পুষ্পিতা অবাক হয়ে বললো,
তোমাকে আমি বিশ্বাস করে কথাগুলো বলেছিলাম আর তুমি আমার এই প্রতিদান দিলে। পুষ্পিতার কথা শুনে পিয়াস বললো, তুমি আমাকে না বললেও আল্লাহতালা কোন না কোন ইশারায় আমাকে বুঝিয়ে দিতো তুমি অসতী। আজ যদি তুমি ৫ জনের দ্বারা কোন ধর্ষিতা মেয়েও হতে আমি সেটা মেনে নিতাম। নিজেকে রক্ষা করার জন্য যদি কাউকে খুন করতে আমি সেটাও মেনে নিতাম। এমনকি তোমার খুনের অর্ধেক ভাগ আমি নিতাম। কিন্তু যে মেয়ে নিজের ইচ্ছাতে ভালোবাসার মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে তাকে কি করে মেনে নিবো? তুমি তো নিজের সম্মানটাই নিজে রক্ষা করতে পারো নি তুমি কিভাবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক রক্ষা করবে?
ভালোবাসা খুব পবিত্র একটা জিনিস। ভালোবাসার পূর্ব শর্ত হলো দুইজন দুইজনকে সম্মান করা। যে ভালোবাসায় দেহ নিয়ে সমালোচনা হয় সেখানে আর যায় হোক ভালোবাসা থাকে না..

Thursday, September 19, 2019

ম্যাডামের মেয়ে যখন বউ

গল্প: ম্যাডামের মেয়ে যখন বউ
*
পর্ব-১
*
--- ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিচ্ছি আমি আর আমার হারামি বন্দু গুলা।খুব মজা করছি এক বন্ধু বললো মামা এইভাবে বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না চল এবার একটা গেম খেলি।
আমি- কি গেম মামা?
রবি- চল দোস্ত গানের কলি খেলি,,
আমি- হুম মামা চল প্রথমে নাজমুল শুরু করলো তারপর রবির পালা রবি শেষ করলো আর আমাকে গান গাইতে হবে(ওও) দিয়ে মাথায় তো কোন গান আসছে নাহ কি যে করি কিছুই মাথায় আসছে না,,
কিন্তু একটা গান তো গাইতেই হবে না হলে তো মান সন্মান থাকবে নাহ।
আমি শুরু করলাম ও মাইয়া তুই সুন্দররী বান্দরনী তরে নিয়ে যামু কলকাতায়,, ও মাইয়া তরে আমার ভালো লাগছে হবি আমার বউ.......
ভাই গান তো শেষ করতে পারলাম না।কিন্তু আমার যে পরিস্তিতি তাতে করে মনে হচ্চে আমি শেষ হয়ে যাবো।
বুঝেন নাইই আরে একটা মাইয়া এসে আমার কলার ধরছে,,উফফফ লাগছে তো ছাড়ুন আমায়,,আর আপনি কে আমাকে এই ভাবে ধরেধেন কেনো শুনি উফফফ আম্মু বাচাও তোমার ছোট পিচ্চু ছেলেটাকে এই মাইয়া মনে হয় আজকে মেরেই ফেলবে।
রবি- আরে ওকে অই ভাবে ধরেছেন কেনো? ছাড়ুন ওকে..
মেয়েটি- ছাড়বো মানে, এই সব ছেলেদের উচিৎ শাস্তি দেওয়া উচিত।
আমি- কি করেছি আমি হা যে এই ভাবে আমাকে ধরে রেখেছেন মনে হচ্চে আমি চোর আর আমি আপনার কোন কিছু চুরি করেছি তাই এমন ভাবে ধরে রেখেছেন।
মেয়েটি- কি করছো বাবু সোনা তুমি জানে না....
হায় হায় এই মাইয়া আমারে বাবু সোনা বলে কেনো,, কোনো দিন গো কোনো মাইয়া ভুলেও এই কথা আমারে বললো না,,
খুব আনন্দ হচ্চে আমার লুঞ্জি ড্যান্স দিতে ইচ্চে করছে, কিন্তু আমি সেটা না করে প্রশ্নের উওর দিলাম না গো আমি কিছু জানিনা।বলে দিবে কেনো আমাকে এই ভাবে ধরেছো।
মেয়েটি- ভালোই করেছি কোনো মেয়ে দেখলে তাকে টিজ করা হয় তাি না,,তদের মত বখাটে ছেলেদের জন্য আজ আমাদের মত মেয়েদের কোনো নিরাপত্তা নেই।
আমি- দেখুন আপনি কিন্তু আমাকে অপমান করছেন,আপনি আমাকে বখাটে বলছেন কেনো?
আর আমি কি করেছি শুনি?
মেয়েটি- তুই আমাকে দেখে গান গাইলি কেনো?? আবার বলে তোর বউ হতে তোর মত বখাটে ছেলের বউ আমি কোনো দিন হবো না।
আমি- আপনাকে বউ করছে কে?? আর আমি আপনাকে দেখে গান গাইনি বুঝেছেন,,আমার তো গানের কলি খেলছিলাম।
মেয়েটি- চুপ থাক একদম নাটক করবি না তোদের মত ছেলেদের আমার হারে হারে চেনা আছে শালা বখাটে...
আমি- অই আপনি আমাকে বকা দিচ্ছেন কেনো?
মেয়েটি - নাহ বাবু তোমাকে বকা দিবে না তোমাকে কিস দিবে..
আমি- সত্যি তাহলে দেরি করছেন কেনো??
তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন... শুভ কাজে দেরি করতে নাই।
মেয়েটি - তাউ না দেরি করতে নাই,,, আসুন একটা পাপ্পি দিবো আপনাকে,,, আমি তো খুশিতে গদ গদ হয়ে গাল বাড়িয়ে দিলাম আর তারপর কি হলো জানেন মায়েটা কষে আমার গালে একটা থাপ্পড় দিলো আওওও কি ব্যাথা আম্মু মরে গেলাম গো,, এইটা মেয়ে নাকি ডাইনি।
মেয়েটি- চুপ একদম কথা বলবি না ফাজিল ছেলে আর যদি কোনো দিন আমাকে দেখে এই ভাবে গান গায়ছিস তাহলে তোর খবর আছে এই বলে দিলাম এই কথা বলে মেয়েটি আমায় ছেড়ে দিয়ে চলে গেল।
আমি তো একদিকে বাচলাম,,কিন্তু গাল খুব ব্যাথা করছে,,আর রবি বললো মামা আরো গাইবা উল্টা পাল্টা গান এবার বুঝো মজা।
আমি- অই আমি কি জানতাম এতো কিছু হয়ে যাবে, আমার মাথায় কোন গান আসছিলো না তাই তো গাইলাম কে জানতো উফফফ আম্মু।
রবি- এখন আম্মু আম্মু করছো কেনো?
বউ বানাবা না মামা...
আমি- হুম বানাবো,,আচ্ছা মামা এই মেয়ের নাম কি কোন ইয়ারে পরে জানিস আমায় যতদুর মনে পরে আমি এর আগে এই মেয়েকে কোন দিন দেখি নাই।
রবি- মামা আমিও তো দেখি নাই।
আমি- মামা একটু খোজ নে না,,কে এই গুন্ডি মাইয়া এইভাবে আমাকে মেরে চলে গেলো।
আমার কি কোনো দোষ ছিলো আমি তো জাস্ট গান গাইলাম তাও নিজের মত করে।
আর তার জন্য আমাকে এতো কিছু বলা ফাজিল মাইয়া সরি ওটা মাইয়া না ওটা।
মনে হয় মেয়ে রুপি কোন ছেলে হবে যদি তাই না হতো তাহলে আমাকে এতে জরে মারতে পারতো,, বাহ বাহ খুব শক্তি আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম না জানি আরো কত কিছু করে কিন্তু ভাগ্য ভালো অল্পতেই সব মিটে গেলো।
তখন নাজমুল বললো ব্যাটা মেয়ে মানুষ যখন কথা বলে তখন চুপ থাকবি... দেখবি এর কারনেই তুইও ভালো আছিস আর মেয়েটা কিছু বলতে পারবে না।মেয়ের সাথে যত কথা বলবি তত তোর বিপদ সো আমার মত চুপ থাকবি।
আমি- আরে তুই চুপ থাক শালা গ্রেট লুচ্চা,প্লিজ লুচ্চা ভাই আমাকে একটু এই মেয়ের সম্পর্কে সব কিছু বিস্তারিত এনে দে।আমি তো এই মেয়েকে দেখে নিবোই নিবো আমাকে এই ভাবে চড় মারা।
রবি- এখন বাঘ ক্ষেপেছে, যখন মেয়েটা কথা বললো তখন তো একটাও কথা বলার সাহস ছিলো না।ভয়ে তে চুপসে গেছিস। আর এখন আসছো। এত কথা বলতে।
আমি- দেখ আমি মেয়েদের সন্মান করি বলে কিছু বলি নাই.....
রবি- আসছে আমার সন্মানের গুরু ওনি নাকি সবাইরে সন্মান দিয়ে চলে এইসবের মধ্যে ক্লাসের বেল বেজে গেলো আমারা সবাই ক্লাসে গেলাম কিছুক্ষন পর ম্যাম আসলো।
এু ম্যাম কে সবাই খুব ভালোবাসে।আর ম্যামো সবার সাথে খুব ফ্রি তাই কারো কেন সমস্যা হলে ম্যামকে বলে আর ম্যাম সেটার সমাধান করে দেয়।
এই ম্যামের জন্য অনেক ছেলে আজ তার প্রিয় সংগিকে নিজের করে পেয়েছে।
মানে যখন কোনো ছেলের কোনো মেয়েকে পছন্দ হতো কিন্তু মেয়েটিকে বলতে পারতো নাহ তখন ম্যামকে বলতো,,আর ম্যাম মেয়েটিকে বলতো আর যেভাবেই পারুক না কোনো মেয়েটিকে রাজি করাতো আর এই জন্য এই ম্যামকে সবাইএতো
ভালোবাসে।
ম্যাম আমাকেও অনেক ভালোবাসে বলতে গেলে ক্লাসের সবার থেকে একটু বেশি ভালোবাসে আমাকে।ম্যাম আমাকে তার নিজের ছেলের মত দেখে। আর আমি ম্যামকে সন্মান করি।ম্যাম ক্লাসে এসে বললো গুড মর্নিং স্টুডেন্ট....
সবাই- গুড মর্নিং ম্যাম..
ম্যাম- সবাই কেমন আছো?
সবাই- জি সবাই ভালো আপনি?
ম্যাম- হ্যা আমিও ভালো আছি,, আজ তেমাদের মাঝে একজন নতুন বন্দু আসছে
তাকে তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো....
,
,
,
পর্ব-২
*
--- ম্যাম:- হ্যা আমিও ভালো আছি,, আজ তোমাদের মাঝে একজন নতুন বন্ধু আসছে তাকে তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো,এই দিকে আসো তো তিশা মা এরপর সেই মেয়েটা মানে যে আমার উপর নির্যাতব করেছিলো সেই মেয়েটা আসলো।
তারপর ম্যাম বললো এই হলো তিশা তেমাদের নতুন বন্ধু তাকে তোমরা সাহায্য সহযোগিতা করো,অন্য একটা কলেজ থেকে এই কলেজে আসছে অনেক কিছু ভালো করে চিনে না সবাই বললো আচ্ছা ম্যাম ঠিক আছে।
আর মেয়েটার নাম তাহলে তিশা হ্যা মেয়েটা দেখতে যেমন নাম টাও অনেক সুন্দরর আমার তো বেশ ভালো লাগলো...
নামটা কিন্তু সকালের কথা মনে পড়তেই আমি ভাবলাম মেয়েটাকে একটু উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার কোনো দোষ ছাড়াউ আমাকে তখন অনেক হ্যানস্তা করেছে।
আর আমি নাকি বাজে ছেলে এই কলেজের কেউ আজ পর্যন্ত এই কথা বললো না আর এই মেয়ে প্রথম দিন এসেই আমাকে বাজে বললো খুব রাগ হলো তাই চুপচাপ বসে পড়লাম।
আমি তিশাকে দেখেছি,, কিন্তু তিশা আমাকে দেখেছে কিনা সেটা আমি জানি না আর জানতেও চাইনা।বজ্জাত মেয়ে ফাজিল মেয়ে গুন্ডি মেয়ে তখন কিভাবপ চড় মারলো এখনো ব্যাথা করছে,
ম্যাম সবাইকে একেক করে পড়া ধরছে এক সময় আমার পালা আসলো কাদের পড়া বলো আমার মাথাই কোনো পড়াউ আসছিলো না যা আসছিলো সব বার বার গুলিয়ে ফেলছি,,আবাল তাবাল পড়া বলছি ম্যাম বললো....
কাদের এই সব কি বলছো তুমি তো এমন করো না।আজ কেনো এমন হলো আজকে পড়া শিখো নাই কেনো?
আমি- ম্যাম আসলে আমি একটু অসুস্থ তাই।
তখন সবার মাঝ থেকে তিশা দাড়িয়ে বললো নাহ ম্যাম ও মিথ্যা বলছে আমি দেখেছি আজ ওনি কাকে যেনো বিয়ে করবে বলে মানের খুশিতে গান গাচ্ছিলো আহা দেখে মনে হয় বউ পেয়ে গেছে খুব লুচ্চা এই ছেলে যাকে না তাকেই বিয়ে করতে চাই।
ম্যামা ও একদম ঠিক আছে।আসলে সারা দিয়ে মেয়েদের পিছনে ঘুরে বেড়ায় তাই পড়ালেখা সব ভুলে মেরে দিয়েছে।
ম্যাম তিশার কথা শুনে আমাকে জিজ্ঞেস করলো কাদের তিশা যা বলছে তা কি সত্যি??
আমি - ম্যাম ওই ফাজিল মাইয়া একদম মিথ্যা কথা বলছে,, আমারা সকালে গানের কলি খেলছিলাম যখন আমার পালা আসলো আমি গান গাচ্ছিলাম গান টা এমন ও মাইয়া তুই কি হবি আমার ঘরের বউ তখন এই মেয়ে আমাকে নানান ভাবে অপমান করছে।
ম্যাম তখন রাগি লুক নিয়ে তিশার দিকে তাকালো ধমকের সুরে তিশা কাদের যা বলছে তা কি সত্যি...
তিশা- হ্যা সব সত্যি বলছে,, আমি ভেবেছিলাম আমাকে বলেছে তাই আর কি??
ম্যাম - কিছু না যেনে না বুঝে এমন কাজ করতে নেই। এখন তুমি কাদেরকে সরি বলো।
তিশা- এই ছেলে শোনো আমি সরি।
আমি- আচ্ছা ঠিক আছে। ম্যামের ক্লাস শেষ আমি একটু বাহিরে বের হয়েছিলাম। এসে আমার সিটে বসে পারে যখন ক্লাস শেষ করে বের হতে যাবো দেখি আমি উঠতে পারছি নাহ,, কিছু একটা আমার প্যান্ট কে ব্যাঞ্চ এর সাথে আটকে গেছে আমি রবিকে জিজ্ঞাস করলাম দেখতো রবি কি হয়েছে।
রবি- আরে মামা তোর প্যান্টে তো চুইংগাম লেগে আছে...
আমি তিশার দিকে তাকিয়ে দেখি তিশা হাসছে তার মানে এটা তিশার কাজ।
খুব রাগ হচ্ছিলোএইবার বেশি হয়ে যাচ্ছে।
তাই আমি রবি নাজমুলের সাথে একটা প্লান করলাম পরদিন যখন কলেজে আসলো সেটা কাজে লাগাবো, পরদিন আমরা যথারীতি সময়ে কলেজে আসলাম অই তো তিশা আসছে
আমরা যে যার পজিশন নিলাম।
তিশা যে আমার কাছে আসলো নাজমুল লেঙ দিল তিশাকে আর তিশা আমার উপরে এসে পরলো আমি তখন বললাম এই মেয়ে এমন অব্যাস কেনো ছেলে দেখলে গায়ে পড়তে ইচ্ছা করে ফাজিল মািয়া এমন কেও করে ছিঃ আপনি এতে খারাপ আগে জানতাম নাহ।
তিশা- আমি ইচ্ছা করে কিছু করিনি।
আমি- মিথ্যা বলতে হবে না,আপনাদের মত মেয়েদের চরিত্র কেমন তা ভালে করেই জানা আছে।
তিশা আর কিছু না বলে মাথা নিচু করে চলে গেলো হয়তো লজ্জা পেয়েছে বা অপমান বোধ করেছে।
আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে গিয়ে দেখি তিশা একটা গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে খুব খারাপ লাগলো মনে হয় একটু বেশি করে ফেলেছি।
তাই তিশার কাছে গেলাম....
,
,
,
পর্ব-৩
*
:-আমরা গিয়ে দেখি তিশা একটি গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে।তখন নাজমুল বললো মনে হয় মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছেরে যা কাদের মাফ চেয়ে নে..
আমি- হ্যা তাউ করি মেয়েটা সত্যি মনে হয় কষ্ট পেয়েছে।আমি তিশার কাছে চলে গেলাম।
আমি- এই শুনো,নিশ্চুপ কোনো কথা নেই তিশার মাথা নিচের দিকে করে রেখেছে।
আমি- এই শুনো কি হয়েছে... তখন। তিশা আমার দিকে তাকালো আরে একি মেয়েটা কাদছে কেনো?
আমি- এই তুমি কাদছো কেনো?
তিশা- ইচ্ছা হয়েছে তাই কাদছি,,তোর কোনো সমস্যা আছে??
আমি- এই তুমি আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেনো?
আমি কি কোনো দোষ করেছি?
তিশা- নাহ তুই কেনো দোষ করতে যাবি? দোষ তো করেছি আমি,, আমি তো চরিত্রহীনা একটা মেয়ে।
আমি- তুমি এই ভাবে কথা বলছো কেনো শুনি আমি তো তখন মজা করেছি তোমার সাথে।
তিশা- ভালো করেছিস আমি আর কিছু না ভেবে তিশার পাশে বসে পড়লাম।
তিশা- একি তুই আমার সাথে এইভাবে বসছিস কেনো?
আমি- প্লিজ তুমি আমাকে মাফ করে দাও।আমরা তো একটু মজা করতে চেয়েছিলাম,,কিন্তু বিশ্বাস করো আমি জানতাম না তুমি এতোটা কষ্ট পাবে।আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ,।
তিশা- নাহ তোর কোনো মাফ নেই,,,,
আমি- প্লিজ আমাকে মাফ করে দাওনা,,আমি তো একটা পিচ্চু ছেলে কেও যদি এই পিচ্চুর উপর রাগ করে থাকে পিচ্চুর কষ্ট হয়তো প্লিজ মাফ করো আমায়।
তিশা- আয়ছে আমার পিচ্চু,, আচ্ছা পিচ্চু তুই কি ফিডার খাস?
আমি- হ্যা খায় তোহ...
তিশা এরপর আমার কথা শুনে হেসে দিলো আর বললো এই ছেলে বলে কি সে নাকি পিচ্চু আবার এই বয়সেও নাকি ফিডার খায় হা হা হা
পিচ্চু হলেও খুব পাজি খুব দুষ্টু যেমন রাগাতে পারে তেমন রাগ ভাঙাতেও পারে।
আমি- এই বার এই পিচ্চু কে মাফ করে দেওয়া যায় না।
তিশা- হ্যা যায় তবে একটা শর্তে আমি রাজি,,কি শর্ত বলো।
তিশা- আমার না কোন বেষ্ট ফ্রেন্ড নাি তুমি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড হবা?
আমি- কিন্তু আমার তো মেয়েদের সাথে মিশতে কেমন জানি লাগে,আমি পারবো না।
তিশা- তাহলে তোমাকে মাফও করবো না।
আমি- কিন্তু কেনো?
তিশা- আমার ফ্রেন্ড হবা না তাই মাফ করবো না কোনো দিন।
তখন পেছন থেকে রবি আর নাজমুল বললো শালা একটা মেয়ে ফ্রেন্ড বানালে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।
বানিয়ে ফেল মেয়েটা যখন এতো করে বলছে।
আমি- তাহলে তোরা বলছিস বানাতে।
হ্যা বানিয়ে ফেল মেয়েটা একটু রাগি আর দুষ্টু হলেও অনেক ভালো।বানিয়ে ফেল আমাদেরো একটা বন্ধু বারুক আমরা আমি আর কি বলবো বন্ধু রা তো আর খারাপ চাইবে না।তাি আমি তিশাকে বললাম আমি তোমার শর্তে রাজি।তুমি যা চাইবে তাই হবে।
তিশা- তাহলে মিলাও হাত।
তারপর আমি আর নুসরাত ফ্রেন্ড হয়ে গেলাম।
তারপর থেকে একসাথে আড্ডা দেওয়া।একসাথে ঘুরে বেড়ানো অনেক কিছু।
একদিন আমি ম্যাম এর একটা ক্লাস মিস করি কিন্তু ক্লাসটি অনেক গুরুতপূর্ন ছিলো।
আমি ম্যামকে বললাম ম্যাম আমি তো ক্লাস মিস করে ফেলেছি যদি আপনও একটু সাহায্য করতেন।
ম্যাম- আচ্ছা তুমি বিকেলে আমার বাসায় চলে এসো আমি তোমাকে বুঝিয়ে দিবো।
আমি ম্যামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাসায় গেলাম বাসা থেকে খেশে দেয়ে বিকালে একটু পরিপাটি হয়ে বের হলাম।শুনেছু ম্যামের বাসায় নাকি কোন এক মেয়ে এসেছে তাি একটু পরিপাটি হয়ে গেলাম।
অচেনা কারো সামনে কি আগোছালো ভাবে যাওয়া যায়।তাই নিজেকে একটু পরিপাটি করে নিলাম বিকালে ম্যামের বাসায় গিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে কলিং বেল চাপতে তিশা এসে দরজা খুলো দিলো।
আমি- কিরে তুইও কি আমার মত ক্লাস মিস করছিস নাকি??
তিশা কোনো কথা না বলে আমাকে বললো আসো তুমি ভিতরে আসো তারপর বলছি।
আমি কিছু না ভেবেই ব্যাপারটা সাভাবিক বাবে নিলাম।তিশাতো মনে হয় বুঝতে এসেছে কিন্তু আমাকে বললো না কেনো,,হ্যা তিশাকে তো বলা হয়নি আমি আসবো,,
বাসার ভেতর প্রবেশ করার পর তিশা আমাকে বললো তুমি একটু বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি....
আমি- আরে এটা কি তোমার নিজের বাসা নাকি যে তুমি খাবার আনতে যাবে?
তিশা- হ্যা এটা তো আমারি বাসা!!!!!!!!
আমি- দেখ সব সময় মজা করবি নাহ... তার থেকে বালো এখানে এসে বসে পরো ম্যাম এখনি চলে আসবে।
তিশা- তুমি চুপচাপ বসে থাকো আমি খাবার নিয়ে আসছি।এই বলে তিশা চলে গেলো।
এই মেয়ের মাতায় গন্ডগোল আছে,, তা না হলে ম্যামের বাসায় এসে কেও এমন করে।আমি বসে আছি তখন ম্যাম আসলো আমি ম্যামকে সালাম দিলাম।তার কিছুক্ষন পর তিশা চলে এলো।
তিশা সেগুলো ম্যাম আর আমার সামনে দিলো।নিজেও কিছু নিলো। কেমন মেয়েরে বাবা লজ্জা নেই ম্যামের সামনে এমন করছে।
আমি কিছু বলছি না আমার নিজেরি লজ্জা লাগছে।
ম্যাম আমাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে বললো কি ব্যাপার কাদের ওমন চুপ করে বসে আছো কেনো?
আমি- নাহ ম্যাম কিছু না...
ম্যাম - বুঝতে পেরেছি.. তুমি অবাক হচ্চো তিশাকে আমার বাসায় দেখে আসলে তিশা আমমার নিজের মেয়ে এতো দিন ওর নানা বাসায় থেকে পড়ালেখা করেছে।
কিন্তু আমি নিয়ে আসলাম একমাত্র মেয়ে এতেদূরে থাকে ভালো লাগে না।
আর তোমার মনে পশ্ন জাগতে পারে আমি কেনো কলেজের সবাইকে বলেনি তিশা আমার মেয়ে,আসলে তিশা নিজেি আমাকে বলেছিলো এই কথাটি গোপন করতে তাই আমি বলিনি।
আমি তো তিশার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।
এতো দিন একসাথে থাকলাম আর এই ব্যাপার বুঝতে পারলাম নাহ।আর কিভাবে বুজবো মেয়েটা তো কলেজে ম্যামের সাঢে তেমন কথা বলেনা।থাক এতো কিছু ভেবে কাজ নেই যা বুঝতে এসেছি তাই বুঝে বাসায় চলে যায়.....
*
,
,
,
পর্ব-৪
*
:-- পরে তিশার কাছে সব জিজ্ঞাস করে নিবো।
ম্যাম আমাকে পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছে সাথে তিশাও ছিলো ম্যাম তিশাকে সাথে বসে বুঝতে বলছে। তিশা একদম আমার গা ঘেষে বসেছে। ম্যাম পড়া বুঝাচছিলো আর তিশা আমাকে খুচা দিচ্ছিলো ইচ্ছা করছিল একটা থাপ্পড় মারি।কিন্তু নাহ সেটা করা যাবে না।
এখন আমি তার বাসাতেই বসে আছি। আর যদি তাকে এখন মারি তবে তার মা কি আমাকে ছেড়ে দিবে?? কোনো রকম পড়া শেষ করে বাসায় আসলাম।আম্মুকে বলে গিয়েছিলাম যে ফিরতে রাত হতে পারে তাই আম্মু আর কিছু বললো না।
আমি গিয়ে ফ্রেস হয়ে এসে খেতে বসলাম, ম্যামের বাসায় খাবার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিলো।কিন্তু লজ্জা লাগছিলো ম্যামের বাসায় খেতে তাই আমি বলেছিলাম আমার একটু তাড়া আছে অন্য একদিন খেয়ে নিবো এই কথা বলে সেখান থেকে এসেছি খেয়ে দেয়ে রুমে এসে দিলাম এক মহা ঘুম এক ঘুমে রাত পার।
পরদিন সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙলো,আমি উঠে ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে কলেজে গেলাম যাবার পর দেখি তিশা বসে আছে।আর হ্যা তিশার তেমন কোনো ফ্রেন্ড নেই।
আমি তিশার কাছে গিয়ে বসলাম।
তিশা- তাহলে আপনার এতক্ষনে আসার সময় হলো মহারাজ??
আমি- সেই সব পরে হবে,তার আগে বল তুমি আমাকে বললে না কেনো তুমি ম্যামের মেয়ে??
তিশা- কেনো সেটা বললে কি তুমি আমার সাথে ফ্রেন্ড শিপ করতা না??
আমি- সেটা বলতে চাচ্ছি না,, তুমি সবার কাছে থেকে তোমার আসল পরিচয় কেনো লুকিয়েছো??
তিশা- আসলে পরিচয় দিয়ে দিলে সবাই অন্য চোখে দেখবে যেটা আমার একদম ভালো লাগে না। তাই আমি আম্মুকে বলেছি আমার আসল পরিচয় যেনো সবার সামনে না আনে...
আমি- ওহহ আচ্ছা এখন তো আমি আর তোমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবো না।তুমি ম্যামের মেয়ে।
তিশা- কি বললি তুই কুত্তা তোর এতো বড় সাহস তুই আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবি না তাই না আজকে দেখাচ্ছি।
আমি- এইউ কি করছো ব্যাথা লাগছে তো।
তিশা-- লাগলে লাগুক তাতে আমার কি?? তুই আর বলবি আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবি না।
আমি- না আর কোনো দিন বলবো না তিশা এরপর আমাকে ছেড়ে দিলো আমি তো বেচে গেলাম।বুজলাম নাহ আমার সাথে কেন এমন করলো আমি ছেড়ে গেলে তিশার তো কিছু যায় আসে না।
তিশা- অই কাদের শুনো?
আমি- হ্যা বলো।
তিশা- চলো না একটু ঘুটে আসি?
আমি- কোথায় যাবে।
তিশা- নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসলে কেমন হয়?
আমি- হ্যা অনেক ভালো হয়।
একই ভাবে চলতে লাগলো আমাদের দিন গুলো খুব হাসি খুশি আড্ডা ঘুরে বেড়ানো আরো কত কি।তিশা সব সময় আমার পাশে পাশে থাকতো।কেনো জানিনা তিশা যখন আমার পাশে থাকতো আমার খুব ভালো লাগতো,আর যদি তিশার সাথে আমার কথা না হতো বা দেখা না হত সেই দিনটা খারাপ যেত।
আমি সব সময় তিশার একটু কথা শুনবার জন্য একটু দেখা পাবার জন্য পাগল থাকতাম।
আমার মনে তিশার জন্য অন্য রকম একটি জায়গা সৃস্টি হয়েছে।আমি তিশাকে ভালোবেসে ফেলেছি।জানিনা তিশা আমাকে ভালোবাসবে কিনা।কিন্তু আমি তিশাকে খুব ভালোবাসি।
অন্য দিকে তিশা আমার একটু বেশি কেয়ার নিতো।অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলা একদম সহ্য করতে পারতো না।
যেদিন দেখতো আমি অন্য মেয়ের সাথে কথা বলছি সেদিন আমাকে ইচ্ছা মতো কিল ঘুষি দিতো।এই নিয়ে আমি কখনো কোনো কথা বলিনি।
একদিন একটা মেয়ের সাথে কথা বলছি মানে মেয়েটা ক্লাস মিস করেছে আর সেই জন্য আমার কাছ থেকে নোট চাচ্ছে এই নিয়ে কথা বলছিলাম এরি মাঝে কোথা থেকে যেনো ডাইনি চলে আসলো এসেই আমাকে কান ধরে ক্যাম্পাসের একটা ফাকা জায়গাই নিয়ে গেলো তারপরঃ
তিশা- অই মেয়ের সাথে এতো কিসের কথা তোর হ্যা?
আমি- না এমনি বলছিলাম,,কেনো কি হয়েছে তাতে??
তিশা- কি হয়েছে না হয়েছে তা জানিনা,,
তবে তুই অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবি না।
আমি- কেনো বললে কি হবে শুনি???
তিশা- আমি বলছি তুই অন্য কারো সাথে কথা বলবি না,, মানে বলবি না,এতো প্যাকর প্যাকর করার কি আছে।
আমি- তুমি কে হও আমার যে তুমি কথা বলতে না করবে আর আমি কথা বলবো না।
তিশা- কি বললি তুই আমি তোর কেউ না?( চোখের কোনে পানি লক্ষ্য করলাম)
আমি- হ্যা সত্যি তুমি আমার কেউ হও না তো।
তিশা- তুই কি বুঝিস না??
আমি- কি বুঝবো হা?
তিশা- থাক তোকে আর বুঝতে হবে না।( কান্না করেি দিলো)
আমি- এই তুমি কান্না করছো কেন?
তিশা- ইচ্ছা হয়েছে তাই কান্না করছি!!
আমি আর কখনো তোর কোনো বিষয়ে কথা বলবো না।
এই কথা শুনার পর আমার নিজেরই কেমন জানি লাগলো মনে হলো কারো শাসন হারিয়ে ফেলবো।এরপর তিশা আর কোনো কথা বলেনি।চুপচাপ চলে গেছিলো আমি পেছন থেকে অনেক ডেকেছিলাম। কিন্তু তিশা আমার কোনো কথা শুনেনি।চলেই গেছিলো তারপর থেকে দুইদিন তিশার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।
এই দুইদিনে খুব মিস করছি তিশাকে অনেকবার কল করেছি কিন্তু তিশা রিসিভ করেনাই।ভেবেছিলাম একবার তাদের বাসায় যাবো কিন্তু কোন মুখে যাবো আমি তাই আর যাওয়া হয়নি এই দুদিনে বুঝতে পেরেছি তিশা আমার কতটা জুড়ে আছে।খুব মিস করি তিশার কথা গুলো তার শাসন গুলো,কিছুই ভালো লাগছে না।
কিভাবে যে তিশার সাথে একটু কথা বলবো দেখা করবো সেটাই ভেবে পাচ্চি না ভেবেছি এবার দেখা হলে আমার ভালবাসার কথা বলে দিবো।
তিশা আগে কলেজে আসুক তারপর আমি আমার ভালবাসার কথা তিশাকে বলে দিবো।ভালোবাসা গোপন করে রাখতে নাই।গোপন করে রাখলে ভালোবাসা হারিয়ে যায়।
কিছুদিন পর তিশা কলেজে এলো আমি সাথে সাথে তিশার কাছে গিয়ে....
,
,
,
পর্ব-৫
*
--আমি: কি ব্যাপার এতে দিন কই ছিলে কোনো খোজ খবর ছিলো নাহ??
তিশা- আর বলো নাহ আমি খুব অসুস্থ ছিলাম তাই এই কইদিন আসতে পারি নাই।
আমি- তাহলে তোমার ফোন অফ ছিলো কেনো??
তিশা- ফোনে কি যেনো সমস্যা হয়েছে অন হচ্ছে না...
আমি- তাহলে তোমার আম্মুর নাম্বার দিয়ে আমাকে ফোন করে জানিয়ে দিতে।
তিশা- আমি কি তোমার নাম্বার মুখস্ত করে রেখেছি নাকি,,তোমার নাম্বার তো আমার ফোন সেইভ করা।
আমি- এখন সুস্ত আছো তো?
তিশা- হ্যা ভালো আছি তুমি কেমন আছো??
আমি- কোনো রকম আছি আর কি...
তিশা- কোনো রকম মানে কি হয়েছে তোমার বলো আমায় প্লিজ বলো।
আমি- কিছু হয়নি,,
তিশা- কিছু একটা হয়েছে তোমাকে দেখেও মনে হচ্চে তোমার মধ্যে কিছু একটা চলছে।
আমি- সত্যি আমার কিছু হয়নি।
কিন্তু কোনো একজনকে খুব মিস করছিলাম।
তিশা* কাকে শুনি( কিছুটা অবাক হয়ে)
আমি- যাকে ভালোবাসি তাকে আমার কথা শুনে...
তিশা- ওই ফাজিল হারমজাদা বিলাই কুত্তা একদম মেরে ফেলে দিবো ভালোবাসার কথা বললে।
আমি- কেনো শুনি..
তিশা- কারন আছে তুই তো পিচ্চু তাই তুই জানিস না।আগে বড় হবি তারপর বলবো।
আমি- আমি বড় হয়ে গেছি এখন বলো প্লিজ।
তিশা- না বলবো নাহ।
আমি- আচ্ছা না বললে আমি কিছু কথা বলতে চাউ জানিনা তুমি কথা গুলো কিভাবে নিবে কিন্তু কথা গুলো বলা দরকার তাই বলবো।
তিশা- হ্যা বল কি বলবি।তবে যদি অন্য কোনো মেয়েকে নিয়ে কোনো কথা বলিস তবে তোর খবর আছে.... এই বলে দিলাম।
আমি- আমি ভালোবাসি...
তিশা- কাকে...
আমি- যে আমার সাথে কথা বলছে তাকে....
তিশা-- আমি ছাড়া তো এখন আর অন্য কেও কথা বলছে না।
আমি- আমি অন্য কারোর কথা বলছি নাহ।
আমি তোমাকেই ভালোবাসি অনেক বেশি ভালোবাসি।
তিশা* কি বললি তুই ,তুই আমার সাথে এমনটা করতে পারলি।
আমি- কি করেছি তোর সাথে হুম?
তিশা- তুই আমাকে ভুলে যা।আমি তোকে ভালোবাসতে পারবো না।
আমি- কিন্তু আমি তো তোকে খুব বেশি ভালোবাসিরে,,খুব একা লাগে তোকে ছাড়া থাকবো কিভাবে।
তিশা- আমি সেটা জানিনা ভালাোবাসতে পারবো না আমি।
আমি- তাহলে আমাকে ভালোবাসবি না??
তিশা- না..
এরপর আমি মাথানিচু করে চলে যেতে লাগলাম কিভবে দাড়াবো তিশার সামনে?
তাই মাথা নিচু করে চলে যাচ্ছি পেছন থেকে কে জেনো হাত টেনে ধরছে।তাকিয়ে দেখি তিশা আমার হাত ধরে রেখেছে।কি ব্যাপার আমার হাত ধরেছিস কেনো??
তিশা- তুই গাধা তাই তুই বুঝবি না।
কিন্তু আমার এখন কিছু একটা চাই বল দিবি।
আমি- হ্যা বল কি চাস?
তিশা- আমাকে প্রপোজ কর...
আমি- I love you tirsha....
তিশা-- গাধা এউ ভাবে না অন্যভাবে,,
আমি- কিভাবে করবো আমি তো অন্যভাবে পারি না।
তিশা- প্লিজ একটু চেষ্টা কর এরপর।
আমি- এই মেয়ে শুনো আমার মেয়ের আম্মু হবে, মানে অনুর আম্মু হবে,
আমার ঘরের ঘরনি হবে।
তিশা- এটা কেমন প্রপোজ .. যাই ভালো হয়েছে।
তবে অনু কে??
আমি- আরে বিয়ের পর আমাদের যে মেয়ে হবে তার নাম রাখবো অনু,
তিশা- বাহ বাহ এতদূর ভাবা হয়ে গেছে,
হ্যা আমি অনুর আম্মু হতে রাজি,,
আমি- তাহলে চলো বিয়ে করবো।
তিশা- নাহ এখন না,আগে এক্সাম দিবো তারপর।
আমি- তাহলে চলো এখন ঘুরে বেড়াবো।
তিশা- না এখন ক্লাসে যাবো ক্লাস করবো।
আমি- কিন্তু আমার তো তোমার সাথে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে।
তিশা- খুব ইচ্ছা করছে বুঝি??
আমি- হ্যা অনেক ইচ্ছে করছে..
তিশা- তাহলে চলো ঘুরে আসি
আমি- হ্যা জানু চলো।( খুশিতে লুঙ্গী ড্যান্স দিবো)
তিশা আর আমি একটা রিকশা নিয়ে বের হলাম।
রিকশাতে আমি তিশার থেকে একটু দূরত্ব বসছিলাম।আমার কেমন জানি লাগছিলো তিশার দিকে তাকাতেও পারছিলাম না।কিন্তু অন্য রকম একটা প্রশান্তি কাজ করছে মনের মাঝে।আমি আর তিশা একটা নদীর ধারে এসে নামলাম।
আমি আর আমার হারামি ফ্রেন্ড গুলা মাঝে মাঝে এখানে আসতাম।এই প্রথম কোনো মেয়ের সাথে ঘুরতে আসলাম।আমি আর তিশা একটা জায়গাই গিয়ে বসলাম তবে আমি তিশার থেকে একটু দূরে বসলাম।
তিশা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো আমি দূরে বসছি কেনো??
আমি- এমনি..
তিশা- একটু কাসে এসে বসো না প্লিজ।
আমি- আমার কেমন জানি লাগে?
তিশা- অই ফাজিল কেমন লাগে মানে,
এক্কেবারে মেরে ফেলবো কাছে আয় বলছি।
আমি- কিন্তু, আর কিছু বলতে পারলাম নাহ তিশা টান দিয়ে আমাকে তার কছে নিয়ে গেলো।
তারপর বললো তোমার কি কিছু ইচ্ছা করছে না।
আমি- কি ইচ্ছা করবে?
তিশা- কেনো কিছুই ইচ্ছা করছে নাহ?
আমি- না তো।
তিশা- হায় আল্লাহ এ তুমি আমাকে কেমন ছেলের সাথে পাঠালে তার নাকি কিছু করতেই ইচ্ছা করে না।কিন্তু আমার ইচ্ছা করছে।
আমি- কি ইচ্ছা করছে বলো?
তিশা- তুমি আমার কোলে মাথা রাখবে আর আমি আদর করে দিবো।জানো আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আমি অনেক আগে থেকেই তেমাকে ভালোবাসি।
আমি- তাহলে বললে না
কেনো?
তুশা- তুমি জানো না মেয়েদের বুক ফাটে তবু মুখ ফুটে নাহ।
,
,
,
পর্ব-৬
*
:আমি- ধরো যদি আমি কোনো দিন তোমাকে ভালোবাসার কথা না বলতাম তাহলে কি হতো।
তিশা- কি আর হতো আমি তোমার আব্বু আম্মু কাছে গিয়ে বলতাম আপনার ছেলে আমাকে ভালোবাসে,, কিন্তু আপনাদের ভয়ে আমাকে বিয়ে করছে না।আর যদি কাদের আমাকে বিয়ে না করে আমি মরেই যাবো,এই কথা বলতাম। বাবারে এই মেয়ে তো বারোটা বাজাবে।।
আমি- যদি আমি রাজি না থাকতাম তাহলে কি হতো।
তিশা- তুউ রাজি না থাকলে তোকে জোর করে ধরে বিয়ে করতাম,তুই শুধু আমার আর আমি তোর অন্য কারো দিকে নজর দিবি তো তোর খবর আছে।
আমি- কি করবা গো অন্য কারো দিকে নজর দিলে?
তিশা- কিস করমু জানু সোনা।
আমি- আচ্ছা অই দেখো একটা মেয়ে বসে আছে,আর আমি মেয়েটাকে দেখছি আহা কত সুন্দর দেখতে মন জুড়িয়ে গেলো।
তিশা- অই এটা কি হচ্চে হুম একদম চোখ গেলে দিবো এই বলে দিলাম।কুত্তা অন্য মেয়ের দিকে নজর দিবি না।আমি দেখতে পেত্নী এর মতো তবুও তুই আমার দিকে তাকিয়ে থাকবি।
আমি- তুমি না বললে অন্য মেয়ের দিকে তাকালে কি জেনো দিবা?
তিশা- চুপ ফাজিল বলেছি বলে কি অন্য মেয়ের দিকে তাকাতে হবে নাকি?
তুই শুধ আমাকে দেখবি আর তোকে না সেই কখন বলেছি আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতে কিন্তু তুই এখনো দূরে আছিস আয় কাছে আয় কাছে বলছি।
অহহ হ্যা কথা বলার মাঝে আমু তিশার থেকে দূরে সরে গেছিলাম কেনো জানিনা এমন হচ্চে আমার।আগে তো তিশার সাথে অনেক ঘুরেছি কিন্তু এর আগে কখনো তো এমন হয়নি।
আজ হচ্চে কেনো?
আমি- আমি পারবো না।
তিশা- তোকে পারতেই হবে কোনো কথা শুনতে চাই না।মাথা রাখ জলদি।
আমি- প্লিজ জানু ছেড়ে দাও আমি পালাবো।
তিশা- পালিয়ে দেখনা তোর পা ভেঙে রেখে দিবো।
আমি- পরে তোমাকে সবাই নেঙরার বউ বলবে।
তিশা- বললে বলুক তবুও তুই আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকবি...
আর কি করার যে দজ্জালমেয়ে কথা না শুনলে কি করে বসবে সেটা সে নিজেও জানেনা।
আমি তিশার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি আর তিশা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্চে বলে বোঝাতে পারবো না কত যে ভালো লাগছিলো তখন এই ভাবেই আমার আর তিশার সম্পর্ক শুরু হয় এরি মাঝে কলেজের সবাউ আমার বাসার সবাউ তিশার আম্মু সবাই জেনে গেছে কিন্তু কেও কোনো কথা বলেনি।
শুধু বলেছিলো পড়ালেখা যেনো ঠিক থাকে আর কলেজের সবাই তো এখন আমাকে ম্যামের জামাই বলে ডাকে।ম্যামো আগের থেকে বেশি আমাকে আদর করে।ম্যামের নিজের ছেলের মতো দেখে।শুধু একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলো দেখো বাবা কাদের আমি কিন্তু প্রেম ভালোবার বিরুদ্ধে না।
আমি এর পক্ষে আছি আর থাকবো কিন্তু আমার মেয়েকে কষ্ট দিয়ো না সারা জীবন আমার মেয়েকে তেমার কাছে আগলে রেখো।
আমি- ম্যাম আপনি চিন্তা করবেন না তিশা কোনো দিন আমার কাছ থেকে কষ্ট পাবে না।
তখন ম্যাম বলেছিলো তুমি আর আমাকে ম্যাম বলে ডেকো না আম্মু বলবে এখন থেকে।
আমি বললাম আচ্ছা এখন থেকে আম্মুবলেই ডাকবো।ম্যাম সেদিন অনেক খুশি হয়েছিলো।
আর আমি আর তিশা তো এখন একে অপরকে ছাড়া থাকতেই পারি না।আমি দিনে দিনে তিশাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলি।
এক কথায় তিশাকে ছাড়া থাকা অসম্ভব।
আমাদের রিলেশনের ৩ মাস হয়ে গেছে এরু মাঝে তিশাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলছি।
কিন্তু......
হঠাৎ একদিন তিশা আমাকে ফোন করে আমাকে দেখা করতে বলে কি জেনো সারপ্রাইজ দিবে।আমি সাথে সাথে চলে গেলাম।
তিশা আগেই চলে এসেছিলো।
আমি গিয়ে বললাম হ্যা বলো কি সারপ্রাইজ দিবে।
তিশা- আমি তোমার সাথে আর রিলেশন রাখতে পারছি না।
আমি- দেখো এখন মজা করার সময় না।মজা পরে আগে বলো কি সারপ্রাইজ।
তিশা- কোনো সারপ্রাইজ নয় আমি সত্যি বলছি আমি আর রিলেশন রাখতে পারবো না।
আমি- আবার মজা???
তিশা- অই আমি তোর মতন ছেলের সাথে তো এতোদিন মজা করেছি তখন সেটা তুই সত্যি ভাবলি আর এখন সত্যি বলছি তুই সেটা মজা কেনো ভাবছিস।
তুই কি করে ভাবলি আমি তোর মতন ছেলেকে ভালোবাসবো??
আমি- মানে কি বলছো এই সব......
তিশা- সোন তোর মনে আছে তুই আমাকে চরিত্রহীন বলেছিলি জানিস কথাটি শোনার পর অনেক কষ্ট হয়েছিলো আর সেদিনি আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি তোর উপর প্রতিশোধ নিবোই নিবো।
আর সেউ সুযোগ পেলাম তোর ভালোবাসায় আমি তোর সাথে একটু নাটক করলাম।
আমি- এইই তুমি এই সব আবাল তাবাল কি বলছো প্লিজ তুমি আমার সাথে এমন করো না।আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না খুব ভালোবাসে ফেলেছি তোমায়।
তিশা- বাচতে না পারলে মরে যা না।
শুন তোকে একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত ছিলো আর সেটা আমি দিতে পেরেছি এর থেকে বড় শিক্ষা তোকে দিতে চাইনা।দয়া করে তুই আর কোনো দিন আমাকে বিরক্ত করবি না এই বলে দিলাম খুব কষ্ট হচ্চিলো তিশার কথা গুলো শুনে কান্না চলে আসছিলো কোনো রকম চোখের পানি গুলো আটকে রেখেছিলাম।
আমি বললাম হ্যা আচ্ছা আর কোনো দিন তোমায় বিরক্তকরবো না।ভালো থেকো খুব বেশি ভালো থেকো।
তিশা- তো তুই কি ভাবছিস আমি তোকে ছাড়া খারাপ থাকবো,,যত্তসব এই কথা বলে তিশা আলে গেলো। আর
আমি সেখানেই দাড়িয়ে ছিলাম কেনো এতো ভালোবাসতে গেলাম খুব কষ্ট হচ্ছে ,নাহ দাড়িয়ে থাকলে চলবে নাহ আমি সেখান থেকো সোজা মেইন রাস্তায় চলে আসলাম আনমনে হাটছি আর তিশার কথা গুলো ভাবছি হঠাৎ করেই.......
,
,
,
পর্ব-৭
*
আমি আনমনে হাটছি আর তিশার কথা গুলো ভাবছি।রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছিলাম ভালো লাগছিলো না তাই কোনো দিকে আমার তেমন কোনো খেয়াল ছিলো না।
হঠাৎ করেই কে যেনো আমাকে টান মেরে রাস্তার একদম কিনারে নিয়ে গেলো।আর জড়িয়ে ধরেই বলতে শুরু করলো এই তুমি কি করতে যাচ্ছিলে আর একটু হলেই তো বলেই কান্না শুরু করে দিলো।
আমি তো অবাক তিশা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।আর আমি হাটতে হাটতে কখন যে রাস্তার মাজখানে চলে গেছিলাম সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারি নাই।তবে তিশা আসলো কোথা থেকে,,তিশা না চলে গেছিলো তাহলে আবার কোথায় থেকে উদয় হলো,তিশা তো আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকরেই যাচ্ছে।
আমি- কি হলো আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন কেনো?
তিশা- তোমাকে জড়িয়ে ধরবো না তো অন্য কাউকে ধরবো নাকি?
আমু- সেটা আপনি ভালো জানেন,,আমি কি করে বলবো।
তিশা- তুমি কি করতে গেছিলে হা,আর একটু হলেই গো বলে কান্না শুরু করে দিলো।
আমি- যা হবার হতো, আর আপনি তো চেয়েছিলেন আমি মরে যাই,,তাহলে বাচালেন কেনো??
তিশা- আমি কখন চেয়েছি?
আমি- আমি যখন বললাম আপনাকে ছাড়া আমি বাচবো না তখন আপনি কি বলেছিলেন মনে নাই??
আপনি না বলেছিলেন আমি মরে গেলেও আপনার কিছু যায় আসে না।তাহলে আমাকে এখন এইভাবে বাচালেন কেনো আক্ষেপ ছিলো না।আক্ষেপ হচ্চে আমি একজন ভূল মানুষকে ভালোবাসলাম।যে কিনা এতো দিন ধরে শুধু নাটক করেই গেছে।আর আমি সেটাকে সত্যি ভেবে নিলাম।আসলেই আমি কত বোকা তাই না।
আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরে না থেকে ছেড়ে দিন।আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরে আছেন সেটা ভাবলেও আমার কষ্ট হচ্চে প্লিজ ছেড়ে দিন।আমি বাসায় চলে যাবো ভালো লাগছে না কিছু, ছাড়ুন আমায়।
তিশা- নাহ ছাড়বো না,এই ভাবেই সারা জীবন ধরে রাখবো আগলে রাখবো কখনো হারাতে দিবো না।
আমি- আবার কোন নাটক শুরু করলেন দেখুন এমনিতেই যে নাটক ফ্রিতে অনেক দেখিয়েছেন আর দেখতে চাই না।একটু আগে যে কথা গুলো বললেন আমি কোনো দিন ভাবতেও পারি নাই আপনি অই কথা গুলো বলতে পারবেন।দেখুন রাস্তায় অনেক মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দয়া করে এইবার আমাকে ছেড়ে দিন।
উফফফ আমার ভালো লাগছে নাহ,আসলেই খুব কষ্ট হচ্চিলো।কেনো হবে না একটু আগে কি কথা বলেছিলো আর এখন কি কথা বলছে। তিশা এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে আমি কিছুতেই ছাড়াতে পারছি না।
মেয়েটা এতো শক্তি পাই কোথায় থেকে বাবারে কি শক্তি আমি কিছুতেউ পেরে উঠছি না।খুব ব্যাথা লাগছে যেমন ভাবে চেপে ধরে আছে।
আমি কি করবো,তখন একটা বুদ্ধি মাথায় আসলো আমি বললাম আমার খুব পেয়েছে ছাড়ুন আমায়....
তিশা- কি পেয়েছে??
আমি- খুব চাপ পেয়েছে, এখন না ছাড়লে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে।
তিশা- হলে হোক তাতে আমার কি??
আমি ছাড়ছি না।জামা কাপড় নষ্ট করলে করো।
আমি- প্লিজ ছাড়ুন আমায় আমি চাপ মুক্ত হয়ে আসি তারপর আবার না হয় আমাকে ধরবেন এইভাবে কেমন??
তিশা- সত্যি আবার জড়িয়ে ধরতে দিবা তো??
আমি- হ্যা দিবো আপনি যা চাইবেন তাই করবো কিন্তু এইবার ছাড়ুন নষ্ট করে ফেললাম।
এরপর তিশা আমাকে ছেড়ে দিলো।
আর আমাকে পাইকে আমি এক দৌড় দৌড়াতে দৌড়াতে বলতেছিলাম আমি আর আপনার নতুন কোনো নাটক দেখতে চাই না
আমি এখন বাসায় যাবো আপনি ভালো থাকবেন।
আর আমাকে বাচানোর জন্য ধন্যবাদ,,
তিশা কিছুক্ষন আমার পেছন পেছনে আসছিলো কিন্তু আমার সাথে দৌড়ে পেরে উঠে নাই।আমি আমার মত করে দৌড়াচ্চি তিশা ডাকছপ প্লিজ বাবু সোনা প্লিজ লক্ষিটি দাড়াও আমি যাবো তোমার বাসায় প্লিজ বাবু অই অনুর আব্বু দাড়াও।
আহা কি মধুর ডাক কিন্তু আমি তো থামবো না।
কত কথা শুনাইলো নাহ কারন তো জিজ্ঞাস করলাম নাহ এতো কথা কেনো শুনাইছিলো অহহ হ্যা আমি তিশাকে চরিত্রহীন বলেছিলাম,তার জন্য নাটক করেছে।তার মিথ্যা ভালোবাসার জালে আমাকে ফাসাতে চাচ্ছে কিন্তু আমি আর ফাসবো নাহ দোড়াতে দৌড়াতে একটা বাসে উঠলাম।বাসটা আমার পিছন থেকে এসেছিলো।
আমি উঠে দিখি তিশা বাসে আর আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে।উফফ এখন কি করি এই মাইয়া এইখানে এলো কি করে।
আমি দাড়িয়ে আছি তখন তিশা এসে আমাকে টেনে বাসের ভেতর নিয়ে গেলো।
একদম পেছনের সিটে বসালো আর তিশা আমার পাশেই বসলো আমি জানতাম আমার ১২ টা বাজবে।
তিশা আমার পাশে বসে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে আমি কিছু বলছি না শুধু ভাবছি এই মাইয়া আসলে চাই কি,,কিছু বলছি না শুধু রাগে ফুসছে।আমি দেখি একটা মেয়ে আমাদের দিকেই আসছে আমি হা করে তাকিয়ে আচি মেয়েটার দিকে।
তিশা আরো রেগে গেলো।
তিশা- অই তুই অই মেয়ের দিকে অমন ভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?
আমি- না মানে একজন কে ভালোবেসে ছিলাম কিন্তু আজ জানতে পারলাম সে নাকি আমার সাথে নাটক করেছে। এখন আমার অন্য কাইকে ভালোবাসা দরকার। যে আমাকে সত্যি ভালোবাসবে আমার বউ হবে অনুর আম্মু হবে।
তিশা- একদম মেরে ফেলবো,,অন্য কারো দিকে নজর দিলে।আমি আছি কি করতে হা,আমি তোর বউ হবো তোর অনুর মা হবো।
আমু- মিথ্যা আর কত বলবেন বলেন তো আমি আর আপনাকে ভালোবাসিনা।
আমি এখন অন্য একজনকে ভালোবাসবো।
তিশা- কি বললি তুই( কান্নাকরতে করতে)
আমি- কিছু বলি নাই এখন আমি নামবো,রবি বলেছিলো অর গার্লফ্রেন্ড এর সাথে একটা মেয়ে থাকে সেটা নাকি সিংগেল দেখি আমি লাইন মারতে পারি নি।(১০০% মিথ্যা কথা)
এর পর তিশা আর কিছু বলেনাই শুধু কান্না করছিলো আর আমি বাস থেকে নেমে গেলাম বাসা বেশি দূরে না।তাই হাটা শুরু করলাম। বাসায় এসে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরলাম।
রাতে খেয়ে দেয়ে শুয়ে আছি তখন তিশা কল দিলো,আমি সাতে সাথে ধরলাম আর একটা মতলব ছিলো তাই।আমি ধরেই বলতে শুরু করলাম কি ব্যাপার নিলা এতোখন পর মনে পরলো,তুমি না তখন আমার সাথে কথা বললে আর বললে তোমার সাথে কথা না বললে কিছু ভালো লাগে না।তাহলে এতোখন পর ফোন দিলা নিলা সোনা আমার।
কাল তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো একটু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে থাকবা ওপাশ থেকে কিছুটা হাল্কা কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিল তারপর বললো আমি নিলা না আমি তিশা আর অই নিলা কে শুনি.....
আমি- সেটা আপনার না জানলেও চলবে কল কাটুন ইসস আমার জানুটা মনে হয় রাগ করবে ফোন ওয়েটিং পেলে।এই বলে কল কেটে দিলাম।
এখন কি করবো আমি জানি তিশা আবার কল দিবে তাই বুদ্ধি করে কাস্টমার কেয়ারে কল দিলাম একটু টাইম পাস করি।
ভাগ্যো ভালো ছিলো একটা মেয়ে কলটা ধরে বললো কিভাবে সাহায্য করতে পারি??
আমি- বিভিন্ন রকমের নেট অফার ইত্যাদি
*
চলবে.......
,
এডড বা follow করতে পারেন

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা



গরিব পরিবারের একটি ছেলের সাথে একই গ্রামের একটি গরিব মেয়ের বিয়ে হয়!
ছেলেটার বয়স ২১ বছরের মত, আর মেয়েটার বয়স ১৬ বছর! বিয়ের পর ছেলেটা মেয়েটিকে বললেন, তোমার কি কোন ইচ্ছে আছে?
.
মেয়েটা বলল, আমার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার বড় আশা ছিল!
এরপর ছেলেটা মেয়েটাকে নিয়ে কোলকাতা চলে আসে। মেয়েটিকে ভার্সিটিতে ভর্তি করায়ে লেখাপড়া করায়। ছেলেটা ভোর ৪ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পরিশ্রম করে।
মেয়েটার লেখাপড়ার খরচ আর সংসার খরচ চালায়।
.
অনেকদিন হওয়ার পরও তাদের মধ্যে কোন স্বামী স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক হয় না!
মেয়েটার বন্ধু বান্ধব প্রশ্ন করে ছেলেটা কে? মেয়েটা উত্তর দেয়,সে আমার ভাই!
 ছেলেটা কখনো রিক্সা চালায়, কখনো দিন মজুরি করে, কখনো ইট ভাটায় কাজ করে, আবার
কখনো কুলির কাজ করে l এভাবে মেয়েটার জন্য, নিজের কথা না ভেবে তা তার জন্য টাকা
রোজগার করে মেয়েটাকে ইঞ্জিনিয়ার বানানো জন্য!
.
হঠাৎ পরীক্ষা চলে আসলো! মেয়েটার ও ছেলেটার কারও চোখে ঘুম নাই। ছেলেটা
রাত দিন মিলে ২০ ঘন্টা কাজ কর্ম করে। বাকি ৪ ঘন্টা সংসারের সব কাজ রান্না থেকে শুরু করে সব
কাজ করে। এভাবে মেয়েটার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল!
.
এরপর ছেলেটা একটু কাজ কমায়। পরীক্ষার ফলাফল মেয়েটা পাশ করলো!
ভাল জায়গায় চাকরি পেল, অনেক টাকা পয়সা মালিক হলো। বড় বাড়ি, গাড়ি আর অনেক কিছু হলো
মেয়েটার l বিভিন্ন জায়গায় থেকে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কেউ জানে না, তার বিয়ে হয়ছে কিনা বা তার স্বামী কে?
.
মেয়েটা বড় বাড়ি লাইটিং করে, বড় পার্টি দিয়েছে। কিন্তু কেউ জানে না কি জন্য এ পার্টির
অয়োজন। সবার একই প্রশ্ন এ কিসের পার্টি। সবাই মিলে মেয়েটিকে প্রশ্ন করলো এ পার্টি কি
জন্য বলবেন? মেয়েটি বলল ১২ টার সময় সবার সামনে বলবো কিসের পার্টি!
.
ছেলেটা সেই লুঙ্গি গামছা আর ছেড়া একটা জামা গায়ে বাড়ির এক কোনায় দাড়িয়ে আছে!
১২ টা বেজে গেলো, এরপর মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে যেখানে কেক রাখা আছে সেখানে নিয়ে এল!
.
সেখানে নিয়ে এসে সবাইকে বললেনঃ-
ভদ্র পুরুষ ও মহিলাগন, একে কেউ চিনেন?
যার মাথার গাম পায়ে ফেলে, নিজে খেয়ে না খেয়ে আমাকে লেখাপড়া করিয়েছে। তার
জীবনের সব সুখ আমার জন্য বিসর্জন দিয়ে। এই আমার স্বামী যার সাথে বিয়ের পর কোন আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হয় না! তাকে এই কাপড়ে রেখেছি, যাতে আপনারা তাকে চিনতে পারেন। এই বাড়ি, গাড়ি, টাকা, তার গায়ের এক ফোটা ঘামের দামও না!
.
আমি তার স্ত্রী, আমার যা কিছু আছে তার ১০০ গুন দিলেও আমি আমার স্বামীকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। এটাই স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা।


ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না

চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)

#চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)
পর্ব::১ম
*"কি রে সানি তোর কাজ শেষ হল?*"জি স্যার এই তো প্রায় শেষ।
*" তারাতারি কর। রিদি মামনির ফ্লাইট এতক্ষনে এসে পরল মনে হয়?
*"জি স্যার এখনি যাচ্ছি।
বলেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।
আমি সানি। এতক্ষন কথা বলল আমার মালিক রুহুল কবির। আসলে আজ তার একমাত্র মেয়ে রিদি বিদেশ থেকে ফিরছে। আজ প্রায় ৫ বছর পর। আমি যাচ্ছি। আনতে।আমি এই বাড়িতে কাজ করছি প্রায় চার বছর। বাংলা কথা বলতে এই বাড়ির চাকর। কি করব বলেন।বি এ পাস করে চাকুরি না পেয়ে চাকর গিরি করি।
কিন্তু রুহুল সাহেব মানে আমার স্যার খুব ভাল লোক । আমাকে অনেক ভালবাসে।আমি যে চাকর তা কখনো বুঝতেই দেন নি আমায়।
ভাই এখন যাই এয়ারপোর্ট এসে গেছি।
আসার সময় স্যার একটা ছবি দিয়ে দিছে।
গাড়ি থেকে নেমে সেই ছবি টা নিয়ে দারিয়ে রইলাম গেটের দিকে।
সবাইকে দেখতে পেলাম। কিন্তু রিদি মেডাম তো বের হচ্ছে না। আর কতক্ষন এভাবে দারিয়ে থাকবো।
ওই তো ছবির মত দেখতে কেও একজন আসছে।
তাই আমি তার দৃস্টি আকর্ষণ করার জন্যে ছবিটা আরেকটু উচু করে ধরলাম।
ছবির মত মেয়েটা আমার হাতের ছবিটা দেখে আমার দিকে আসছে। তার মানে এটাই স্যার মেয়ে। মানে রিদি ম্যাম।
*" এক্সিউস মি। এটা আমি(রিদি ম্যাম)
*"জি ম্যাম আপনাকে দেখেই বুঝতে পারছি। (আমি)
*" আপনি কে?
*" জি ম্যাম। আমি সানি। আপনাদের বাড়ির চাকর।
*" চাকর তো গাড়ি নিয়ে কে এসেছে?
*"ম্যাম।আমি গাড়িও চালাতে পারি।
*" ওকে। তাই বলুন। নিন লাগেজ গুলা গাড়িতে উঠান।
*" ম্যাম লাগেজ কি?
*" কি? আপনি লাগেজ চিনেন না?
*"না ম্যাম। কখনো তো শুনি নাই তাই।
*" আরে মুর্খ লাগেজ মানে হল আমার সাথে যে ব্যাগ গুলা আছে সেগুলাকেই বলে।
*" অহহ ম্যাম তাই বলুন।আসলে লেখা পড়া কিছু করি নাই তো তাই।
*" ওকে। এতো কথা না বলে তারাতারি উঠান।
*" জি। ম্যাম।
আমি ম্যাম এর সকল সকল লাগেজ তুলে গাড়ি ছেরে দিলাম।
আমাদের বাসায় আসতে সময় লাগল ৩০মিনিটের মত।
এরপর ম্যাম গাড়ি থেকে নেমে আমাকে বলল...
*"লাগেজ গুলা ভিতরে নিয়ে আসেন।
বলেই ম্যাম চলে গেলেন।
আমি গাড়ি থেকে নেমে লাগেজ নিয়ে ভিতরে ঢুকলাম।
মেয়েকে পেয়ে স্যার আজ অনেক খুশি। খুশি কেনই বা হবেন না।পাচ বছর পর দেশে ফিরলেন।
*"কি রে মা? তুই কি আবার বিদেশ চলে যাবি নাকি লেখা পড়া শেষ? (স্যার)
*"না বাবা। আমি আর বিদেশ যাবো না। একেবারে লেখা পড়া শেষ করে চলে এসেছি।(ম্যাম)
*"আচ্ছা মা উপরে চল। আগে ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে রেস্ট কর। পরে কথা বলবো।
*"আচ্ছা বাবা।
বলেই রিদি ম্যাম উপরে চলে গেলেন।
আমি লাজেগ গুলা ভিতরে রেখে দিলাম। রেখে দিয়ে বাইরে আসতেছি এমন সময় স্যার পিছন থেকে ডাক দিলেন....
*" সানি?
*"জি স্যার। (পিছন ফিরে)
*"চল একটু বাজারে যেতে হবে।
*" বাজারে কেন স্যার?
*" অনেক দিন পর রিদি বাসায় এলো।তাই ভাল কিছু বাজার করতে হবে।
*"জি স্যার তাহলে চলেন।
এরপর আমি আর স্যার বাজারে চলে আসলাম ম্যামের পছন্দের কিছু খাবার কিনতে। অনেক বাজার করলাম। তাই ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল।
বাসায় ফিরে দেখি রিদি ম্যাম বসে বসে টিভি দেখছেন।
স্যার কে দেখে বললেন...
*" বাবা কোথায় গিয়েছিলে।?
*"আরে মা তোর পছন্দের খাবার কিনতে বাজারে গিয়েছিলাম।
*"বাজার করতে আবার তোমার যাওয়া লাগে।?ওই চাকরটাকে পাঠালেই তো পারতে।(ম্যাম আমার দিকে তাকিয়ে বললেন)
যখন ম্যাম আমায় চাকর বললেন আমার খুব খারাপ লাগল।
একটু পর ম্যাম উপরে চলে গেলেন।
তখন স্যার বললেন.......
*"সরি সানি। আসলে বিদেশে ছিল তো তাই এমব করছে। তুই কিছু মনে করিস না।
*" না স্যার। আপনি যে কি....................
,
.
.
#চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)
পর্ব::২
*"আসলে বিদেশ থেকে এসেছে তো তাই......(স্যার)
*" না স্যার আপনি যে কি না বলেন?(আমি)
বলেই আমি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
অবশ্য কিছু মনে করারও নাই। চাকরকে তো চাকরই বলবে ।তাই না?
ঘর থেকে বেরিয়ে আমি বাগানে গাছে পানি দিচ্ছি উপর থেকে স্যারের ডাক......
*"সানি বাবা একটু উপরে আয় তো?
*" জি স্যার আসছি।
বাগানে পানি দেওয়া বাদ দিয়ে উপরে আসলাম।
*"জি স্যার বলেন?
*" বল তো বাবা আমার মেয়ের জন্যে কি নতুন একটা গাড়ি কিনবো নাকি যেটা আছে সেটাই হবে?
*" স্যার ম্যামের জন্যে জন্য তো গাড়ি আছেই। আবার নতুন গাড়ি কিনবেন?
সাথে সাথে আমার পিছন থেকে ম্যাম বলল.........
*" বাবা আমার জন্য গাড়ি কিনবে। এতে একটা চাকরের অনুমতি নিতে হবে?
*" না মানে মা............
*" থাক আমার গাড়ি লাগবে না।
বলেই রিদি ম্যাম চলে গেল।
আমিও কিছু না বলে চলে আসলাম নিচে আমার থাকার ঘরে। একটু পর স্যার এসে আমাকে বলল.......
*"সানি শোন পর্শু রাতে একটা পার্টি হবে। তুই আয়োজন কর।
*" স্যার হঠাত পার্টি কেন স্যার?
*" আরে পাগল রিদি ফিরে আসার জন্য পার্টি দিব রে।
বলেই স্যার চলে গেলেন।
পরদিন সকাল বেলা আমি সব কিছু আয়োজন করার জন্য বেরিয়ে পরলাম।
সব কিছু অর্ডার দিয়ে ফিরতে ফিরতে বিকাল হয়ে গেল।
আমি এসে ফ্রেস হয়ে সুয়ে আছি স্যার এসে বলল.....
*" কি রে সব আয়োজন করা শেষ?
*"জি স্যার। একটু পর লোকজন এসে ডেকারেশনের কাজ শুরু করে দিবে।
বলেই আমি আমার ঘরে চলে আসলাম।
সন্ধ্যার সময় ডেকারেশনের লোকেরা এসে সব কাজ করে গেলো।
পরদিন সকাল বেলা সুয়ে আছি। এমন সময় রিদি ম্যাম বাইরে থেকে ডাক দিলেন.....
*" সানি আছেন?
আমি ম্যামএর ডাক শুনে তারাতারি বেরিয়ে আসলাম....
*" জি ম্যাম। কিছু করতে হবে?
*" জি না। কিছু করতে হবে না।এই ডেকারেশনের কাজ আপনি করেছেন?
*" জি ম্যাম।
*" আপনাকে কে বলেছে এভাবে সাজাতে?সাজানোর আগে আমাকে জানাতে পারলেন না?
*" সরি ম্যাম।
*"ঠিক আছে। শুনুন আমার অনেক বন্ধু আসবে। দেখবেন তাদের যেন কোন অসুবিধা না হয়।
*" ঠিক আছে ম্যাম।
ম্যাম আমাকে আদেশ দিয়ে চলে গেলেন।
আমি আমার দৈনন্দিন কাজে লেগে পরলাম।
সন্ধ্যার দিকে লোক জন আসা শুরু করল।
আজ আমার দায়িত্ব হল কারও অশুবিধা হয় কি না তা দেখা।
আমি চারিদিকে খেয়াল রাখছি আর বসে বসে সবার আনন্দ দেখছি।
*"সানি (ম্যাম পিছন থেকে ডেকে)
*"জি ম্যাম।
*"আপনি এখানে কতদিন থেকে কাজ করেন?
*" জি ম্যাম চার বছর।
*" আপনি কি লেখা পড়া করেছেন?
*" ম্যাম। হাসালেন। আমি গরিব মানুষ। খেতেই পারতাম না। আবার লেখা পড়া।
*" অহহ।চার বছর আগে কোথায় কাজ করতেন?
*" এই তো আরও কয়েকটা বাড়িতে কাজ করেছি।
*"অহহ আচ্ছা।
হঠাত করে দেখি স্যার আমার দিকে চেয়ে আছেন। আমি স্যার কে চোখের ইশারা দিয়ে বুঝিয়ে দিলাম।
স্যার আমায় অনেক ভালবাসেন। তাই হয়তো তারাতারি বুঝে গেলেন আমি কি বলতে চাইছি।
এদিকে ম্যাম চলে গেলেন।
পার্টি শেষ হতে হতে অনেক রাত হয়ে গেল। আমি সব ঠিক ঠাক করে রুমে এসে ঘুমিয়ে পরলাম।
অনেক রাতে ঘুমিয়েছি। তাই ঘুম থে উঠতে অনেক দেরি হয়ে গেল।
ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি ম্যাম আমার সামনে এসে দারিয়ে আছে। আমি ম্যাম কে দেখে চমকে উঠলাম।
আমার অবস্থা দেখে ম্যাম হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছেন।
*"ম্যা......ম্যা.....ম্যাম।
*" কি এতো ম্যা.....ম্যা....ম্যাম করছেন?
*" না মানে আপনি? এখানে?
*" কেন আসতে পারি না নাকি?
*" জি ম্যা...........
.
.
.
#চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)
পর্ব::৩য়
=======================
*"না মানে ম্যাম আপনি? এখানে?(আমি)
*" কেন? আসতে পারিনা নাকি?(ম্যাম)
*" ছিছি ম্যাম। আপনি এইসব কি বলছেন?এটা তো আপনারই বাড়ি।
*" হুম যেটার জন্যে এসেছি। থ্যাংক্স পার্টিটা ভালভাবে শেষ করার জন্য।
*" জি ম্যাম।আমার কাজই তো আপনাদের সেবা করা।
*" হুম। শুনুন আমি একটু পর বাইরে যাব। আমার জুতাটা কালি করে দিবেন।প্লিজ।
*"ওকে ম্যাম। আপনি জুতাটা দেখিয়ে দিন। আমি কালি করে দিচ্ছি।
*" ওকে। তাহলে আপনি আসুন। আমি জুতাটা আনছি।
বলেই ম্যাম চলে গেলেন।
হাইরে কপাল।
প্রথমে মনে হল কি আর এখন কি হল।
যাই হোক চাকর তো চাকরই। তার আবার কাজের ধরন।
যাই এখন। ম্যাম আবার রাগারাগি শুরু করবেন।
তাই তারাতারি উঠে ম্যামের রুমে চলে এলাম। ম্যাম আমাকে দেখে বললেন....
*"এই নেন। (জুতা গুলা দিয়ে)
আমি জুতা গুলা নিয়ে আমার রুমে এসে কালি করে আবার ম্যামের রুমে দিতে আসলাম।
*" ম্যাম এই আপনার জুতা।
*"বাহ। তুমি তো অনেক কাজের ছেলে।
*" থ্যাংক্স ম্যাম।
*" কি বললেন?(অবাক হয়ে)
*"বললাম থ্যাংক্স। মানে ধন্যবাদ।
*" হুম্ম আমিও সেটা। কিন্তু আপনি বলেছিলেন লেখা পড়া কিছুই করেন নি।
*"আসলে ম্যাম স্যারের কাছে শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়ে গেছে।
*" ওকে আপনি এখন যান।
আমি ম্যামের রুম থেকে এসে পরলাম।
আমার সব থেকে প্রিয় শখ অবসর সময় বই পড়া তাই রুমে এসে বই পরতেছি।
এমন সময় স্যার এসে বলল.....
*" সানি। তুই জানিস আমি তোকে কতটা ভালবাশি। তুই একটা বিএ পাস করা ছেলে। কিন্তু রিদির সামনে এমন মুর্খ সাজিস কেন?
*" স্যার আমি শিক্ষিত হলেও গরিব। তাই আমি চাই না আমার শিক্ষাটা সব জায়গায় প্রকাশ পাক। তাই।
*" বাবারে তোরে বললাম অফিসে ম্যানেজার পদে যোগ দিতে। তাও দিলি না । বললি তোর বড় চাকরি ভাললাগে না। কিন্তু এখন আমার মেয়েটার সামনে মুর্খ সেজে থাকার মানে কি?
*" স্যার আমি দেখতে চাই আপনার মেয়ে আপনার মতো ভাল কি না?
*"বাবা আমার মেয়েটার জন্য যদি তোর মত একটা ভাল ছেলে পেতাম তাহলে মেয়েটাকে নিয়ে আর চিন্তা করতাম না।
বলেই স্যার চলে গেলেন। আমি আবার বই পরতে লাগলাম।
পরদিন সকালবেলা স্যার এসে বলল.......
*"সানি আজ রিদির সাথে অফিসে যা তো।
*" কেন স্যার?কোন সমস্যা?
*" তুই সবসময় সমস্যা নিয়ে ভাবিস কেন?রিদির সাথে যেতে বলছি যা।
*" অকে স্যার।
আমার আর কি করা যেতেই হবে। তাই গাড়ি নিয়ে বের হয়ে রিদি ম্যামকে ডেকে নিয়ে চললাম অফিসের দিকে।
ভাবছেন ম্যাম কিছু বলল না কেন।
হয়তো ম্যাম ভেবেছেন যে আমি উনাকে অফিসে নামিয়ে আসিতে যাচ্ছি। আর নয়তো ম্যামের অফিসে আজ প্রথম দিন। তাই আমি যাচ্ছি।
অফিসে এসে ম্যামের পিছু পিছু আমিও ঢুকলাম অফিসে।
সবাই আমাকে সালাম দিচ্ছে। ম্যাম অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এরপর ম্যাম উনার কেবিনে চলে গেল। আমি বাইরেই দারিয়ে রইলাম।
একটু পর ম্যাম আমায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন.......
*" সবাই আমাকে সালাম দেয়া বাদ দিয়ে আপনাকে সালাম দিল কেন?
*" ম্যাম আসলে স্যারের সাথে অনেকবার এসেছি এর আগে তাই হয়তো.......
*" শাট আপ। যান সবাই কে মিটিং এ বসার জন্য বলুন। আমি আসছি।
*" ওকে ম্যা...........
.
.
.
#চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)
পর্বঃ৪র্থ
=====================
*" শাট আপ। যান সবাইকে বলুন মিটিংয়ের জন্য বসতে আমি আসছি। (ম্যাম)
*"অকে ম্যাম।
বলেই আমি রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। সবাইকে বললাম মিটিংয়ের জন্য বসতে।
আমার কথা মতো সবাই মিটিং রুমে গিয়ে বসল। আমি ম্যাম কে গিয়ে বললাম....
*" ম্যাম সবাই মিটিং রুমে আপনার জন্যে বসে আছে।
*'হুম।চলুন।
বলে ম্যাম বেরিয়ে গেলেন। আমিও ম্যামের পিছু পিছু গিয়ে রুমে ঢুকলাম।
সবাই ম্যামকে দারিয়ে সালাম দিল।
*" হুম্ম। আপনারা সবাই বসুন।
সবাই বসার পর ম্যাম আবার বলতে শুরু করলেন।
*"আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন আমি কে?
*'জি ম্যাম। (সকলেই)
আমি শুধু ম্যামের পিছনে দারিয়ে ম্যামের কথা শুনছি।
*" সানি শুনুন(আমাকে উদ্দেশ্য করে)
*" জি ম্যাম। যান আমাদের সবার জন্য ঠান্ডা নিয়ে আসুন।
ম্যামের কথা শুনে তো সবাই অবাক। অবশ্য অবাক হওয়ারই কথা।এর আগে এসে স্যারের সাথে যতবার এসেছি স্যার আমায় কখনো এমন করে কোন কাজের আদেশ করেন নি। কিন্তু ম্যাম আজ প্রথম দিনেই মনে করিয়ে দিলেন আমি চাকর। যাই হোক আমি ঠান্ডা আনতে চলে গেলাম।
কিছুক্ষণ পর ফিরে আসলাম সবার জন্য ঠান্ডা আর কিছু খাবার নিয়ে।.........
মিটিং শেষ হতে হতে বিকেল হয়ে গেল। ম্যাম মিটিং শেষে বললেন....
*" যান গাড়ি বের করেন।
*" ওকে ম্যাম।
বলেই আমি চলে আসলাম। এসে
আমি গাড়ি বের করে ম্যামের জন্যে দাড়িয়ে আছি। একটু পর ম্যাম আসলেন। আমি গাড়ির দরজা খুলে দিলাম।
ম্যাম গাড়িতে উঠে বললেন.....
*" চলুন।
এরপর আমরা বাড়ি এসে পরলাম।
বাসায় আসার পর ম্যাম চলে গেলেন উনার রুমে। আর আমি চলে আসলাম আমার ঘরে। কিছুক্ষন পর স্যার এসে বললেন....
*" কি রে সানি। রিদি মামনি কি কিছু উল্টাপাল্টা করছে?
*" না স্যার। রিদি ম্যাম খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারে সবার সাথে।
*" অহ আচ্চা। আমার মেয়েকে আমি অনেক ভাল করে চিনি।
*"জি স্যার। আপনার মেয়ে আপনিই তো চিনবেন।
*" আচ্ছা তুই শুয়ে থাক। আমি আসছি।
বলেই স্যার চলে গেলেন।
আমি আবার শুয়ে শুয়ে বই পরতে লাগলাম।
অনেক্ষন বই পড়ে বাইরে এসে দেখি প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তাই একটু ছাদে উঠলাম। ছাদে উঠে দেখি ম্যাম ছাদের এক কোনে দারিয়ে আছে। খোলা চুলে ম্যাম কে খুব সুন্দর লাগছে।
হয়তো ম্যাম আমায় খেয়াল করে নি। তাই ম্যাম কে বিরক্ত না করে চলে আসতে লাগলাম।
*" কি ব্যাপার। চলে যাচ্ছে কেন?(হঠাত করে পিছন থেকে ম্যাম বলে উঠলেন)
*" না......মা.....নে....
*" হইছে হইছে। আর তুতলাতে হবে না। আসতে পারেন।
*" না থাক ম্যাম। আমি নিচে যাই।
*" আরে আমায় এতো ভয় পাওয়ার দরকার নাই। এদিক এসে দারান।
আমি আর কোন উপায় না দেখে ম্যামের পাশে এসে দারালাম।দারিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে আযান দিয়ে দিছে খেয়ালই করি নাই। ম্যাম হঠাৎ বললেন......
*" সানি নিচে যাবেন না?
*" জি ম্যাম।আপনি যা............
.
.
.
#চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)
পর্বঃ৫ম
=============================
*"সানি নিচে যাবেন না?(ম্যাম)
*"জ্বী ম্যাম। আপনি যান আমি আসতেছি। (আমি)
*" ওকে তারাতাড়ি এসে পরেন।
বলেই ম্যাম চলে গেলেন।আমি দাড়িয়েই রইলাম। আসলে ভাবতেছি ম্যাম উপরে এক রকম আর মনের দিক থেকে আরেক রকম। ম্যাম কে ম্যামের মতো করেই বুঝতে হবে।।
নাহ থাক আজ আর বুঝতে হবে না। তাই নিচে চলে আসি। আমার ঘরে এসে ইংরেজি একটা বই পড়ছি। হঠাৎ করেই আবার ম্যামের আবির্ভাব। আমি তারাতারি করে বইটা লুকাতে চেস্টা করলা।। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না।
*" আপনি ওটা কি লুকাচ্ছেন। দেখি(ম্যাম)
*" কিছু না ম্যাম।
*" দেখান বলছি।
আমি আর বেশি বাড়াবাড়ি না করে বইটা বের করে ম্যামের হাতে দিলাম।
ম্যাম তো অবাক।
*"আপনি তো বলেছিলেন লেখা পড়া যানেন না। তাহলে ইংলিশ বই কিভাবে পরছেন?
*" আসলে ম্যাম আমি শিখতে চেস্টা করতেছি।
*" শিখতে চেস্টা করতেছে। ওকে। সেটা মেনে নিলাম। কিন্তু সবাই প্রথমে বর্নমালা শিখে আর আপনি সরাসরি পরতে শিখছেন?
হয়েছে এবার ধরা খেয়েই গেলাম।
*" জি ম্যাম। স্যারের কাছে মাঝে মাঝে পড়তে যেতাম। সেখানেই বর্ণ্মালা শিখেছি। তাই এখন রিডিং পড়া শিখছি।
*" ওঅহহ।তাই বলুন। আমি ভাবলাম..........। যাই হোক আপনি কালকেও আমার সাথে অফিস যাবেন।
*"ওকে ম্যাম।
বলে ম্যাম চলে গেলেন। কিন্তু ওনার মুখ দেখে মনে হল আমার কথা ওনি বিশ্বাস করেন নি।
যাই হোক পরদিন সকাল বেলা আমি খাওয়া দাওয়া করে ম্যামের সাথে অফিসে যাচ্ছি তখন ম্যাম বললেন.......
*" আজ আপনি এতো চুপচাপ কেন?
*" না ম্যাম এমনি। ভালো লাগছে না কিছু।
আমাকে অবাক করে দিয়ে ম্যাম আমার কপালে হাত দিয়ে বললেন...
*" কই আপনার জ্বর আসে নি। তাহলে ভাল লাগছে না কেন?
আমি কি বলব বুঝতে পারছি না।
*" ম্যাম অফিসে এসে পরেছি।
*" ও হ্যা। চলুন।
আমি নেমে ম্যামের পিছু পিছু অফিসে ঢুকলাম। ম্যাম তার কেবিনে চলে গেলেন। আর আমি বাইরে অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে আলাপ করতে লাগলাম। কিছুক্ষন পর ম্যাম আমায় ডেকে বললেন....
*"কিছু বিদেশি ক্লায়েন্ট আসছে। সবাইকে মিটিং রুমে আসতে বলেন।
*" ওকে ম্যাম।
কিছুক্ষন পর
*" ম্যাম সবাই মিটিং রুমে গিয়ে বসে আছে।
*"আচ্ছা চলুন।
আমিও ম্যামের সাথে মিটিং রুমে যাই। আসলেই তো বিদেশ থেকে লোক আসছে।।
*" সানি আপনি আজ এই মিটিংটা পরিচালনা করুন।
*" ম্যাম৷ আমি কিভাবে মিটিং.........
*" যা বলছি চুপচাপ করুন।
আমি তো ম্যামের কথায় ঘেমে শেষ। এখন কিভাবে ম্যানেজ করব। কাল রাতে বেচে গিয়েছিলাম কিন্তু এখন?
এর মধ্যে একজন কর্মী বলে উঠলেন.......
*" এর আগেও তো আপনি অনেক মিটিং পরিচালনা করেছেন।
*" আগে মিটিং পরিচালনা করেছেন মানে?(ম্যাম)
*" জি ম্যাম৷ স্যার মানে আপনার বাবা যখন অফিসে না আসতেন তখন মিঃসানি অফিস চালাতেন। তিনি খুব দক্ষতার সাথে অফিস চালান ম্যাম।
*" মিঃসানি এসব আমি কি শুনছি?
এখন আর লুকিয়ে লাভ নাই। যা সত্য তাই বলতেই হবে।
*" জ্বি ম্যা।ওরা যা বছে সত্ত্য বলছে। আসলে আমি......
*" চুপ করুন। আর হ্যা এখন সরাসরি বাড়ি চলে যান। বিকালে আমি আপনার সাথে বোঝাপড়া করব।
এমন সময় অফিসের আরেক কর্মী রিনি বললেন.....
*" সানি স্যার আপনি যদি আমার ফাইল্টা একটু চেক করে দিতেন?
*" ওকে আমি দেখছি।
বলেই ফাইলট নিয়ে দেখতে লাগলাম আর যেখানে ভুল হয়েছে সেগুলা ঠিক করে দিতে লাগলাম। ম্যামের দিকে চেয়ে দেখি ম্যাম আমার আর রিনির দিকে ভুতের মত করে তাকিয়ে আছে। আমি ফাইলটা হাতে নিয়েই সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম।
বেরিয়ে সোজা বাসায় চলে এলাম।
বিকেল বেলা আমি সুয়ে সুয়ে বই পড়ছি। তখন ম্যাম এসে বললেন........
*" আপনি আমাকে এতদিন মিত্থ্যা বলেছেন কেন?
*" ম্যাম আমি দেখতে চেয়েছি আপনি আপনার ছেয়ে গরিবদের কিভাবে মূল্যায়ন করেন তাই।
*" তো কি দেখলেন?
*" আপনি অনেক ভাল। কিন্তু একটু কড়া মেজা।
ম্যাম আমার কথা শুনে হেসে দিলেন। ম্যামের হাসিটা অনেক সুন্দর। ম্যাম উঠে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় একটা কথা বলে গেলেন যেটা আমার কানও বিশ্বাস করতে পারছে না।
,
,
,
#চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)
পর্বঃ৬স্ট
================================
*" আপনি অনেক ভাল কিন্তু মেজাজটা একটু চড়া। (আমি)
ম্যাম আমার কথায় হেসে ফেললেন। ম্যামের হাসিটা অনেক সুন্দর।
ম্যাম হাসতে হাসতে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় ম্যাম বাইরে থেকে চেচিয়ে বললেন.......
*" রিনির সাথে যেন আপনাকে আর হেসে হেসে কথা বলতে না দেখি।
ম্যামের কথা শুনে তো আমারই বিশ্বাস হচ্ছে না।
রিনির সাথে আমি কথা বললে ম্যামের কি?
যাই হোক আমি তারাতারি ঘুমিয়ে পারলাম।
পরদিন সকালে তারাতাড়ি আমার ঘুম ভাংলো।
তাই ছাদে গিয়ে দারিয়ে সকালটা উপভোগ করতে লাগলাম।আসলে সকালটা অনেক সুন্দর। আমি ছাদের এক কোনে দারিয়ে আছি।
হঠাৎ করে কারও হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘুরলা।। ঘুরে দেখি ম্যাম।
*" আপনি এতো সকালে?(ম্যাম)
*" জি ম্যাম। আজ তারাতাড়ি ঘুম ভেঙে গেল তাই।
*" অহ আচ্ছা। কফি খাবেন?
আমি ম্যামের কথায় হা করে চেয়ে আছি।।
ম্যাম কি না কফি বানাবেন?
হুহ! আর হইছে।
*"তা খাওয়া যেতেই পারে।। কিন্তু বানাবে কে?
*" কেন? আমাকে দেখে কি মনে হয় বানাতে পারি না?
*" না ম্যাম। তা না। আপনি তো কখনও নিজ হাতে খাবারটাও নিয়ে খান নি। তাহলে কফি বানাবেন কিভাবে?
*" দারান বানিয়ে আনি তখনই বুঝতে পারবেন।
বলে ম্যাম চলে গেলেন।
আর আমি? কি আর বলবো।দেখি কেমন কফি বানায়।
কিছুক্ষণ পর ম্যাম কফি নিয়ে আসলেন।
*" নেন কফি খান।
*" থ্যাংকস।
কফিটা নিয়ে মুখে দিলাম।
ওমা এটা কি কফি নাকি শরবত?
*"কি কেমন হইছে?
*" জি ম্যাম। অনেক টেস্ট। আপনি একটু দারান আমি নিচ থেকে আসছি।
বলেই তারাতাড়ি নিচে নেমে আসলাম। নিচে নেমে কফিটা ফেলে দিয়ে আবার উপরে আসলাম। আসার পর ম্যাম বললেন....
*" কফিটা ফেলে দিলেন কেন?
তারমানে ম্যাম উপর থেকে সব দেখেছেন।
*" না এমনি। আসলে কফিতে একটা পোকা ছিল। তাই।
*" অহহ তাই না।দারান দেখাচ্ছি মজা।
বলেই ম্যাম আমায় তারা করলেন। কিন্তু আমি কি আর সেখানে থাকতে পারি। আমিও দিলাম একটা দৌড়।
এক দৌড়ে আমার রুমে চলে এলাম। কিন্তু ম্যাম আসলেন না। কিছুক্ষন পর স্যার এসে বললেন....
*" সানি একটু আমার সাথে আয় তো বাবা।
*" জি স্যার বলেন।
*" কি আর বলব বাবা।আমার মেয়েটা মনে হয় পাগল হয়ে গেছে। একা একা কথা বলতেছে আর হাসতেছে।
*" চলেন তো স্যার দেখি।
স্যার আর আমি ম্যামের রুমে গেলাম। গিয়ে দেখি রিদি ম্যাম সত্যি সত্যি একা একা হাসছে।
*" আসতে পারি ম্যাম?
*" আরে মিঃসানি আসুন আসুন।
*" ম্যাম আপনি কার সাথে কথা বলছেন?
*" বলতেছি। বাবা তুমি বাইরে যাও তো। (স্যার কে উদ্দেশ্য করে)
*" আচ্ছা মা যাচ্ছি।
বলে স্যার বাইরে চলে গেলেন।
*" ওকে ম্যাম এখন বলেন।
*" আজ আমি অফিসে কোন শাড়ি পরে যাবো?
আমি ভাবতে লাগলাম আসলেই কি ম্যামের মাথা ঠিক আছে?
*" কি হল চুপ করে আছেন কেন। বলেন?
(অনেক গুলো শাড়ি হাতে নিয়ে)
*" ম্যাম আপনি ওই নীল শাড়িটা পরেন।
*" ওকে ঠিক আছে।। আপনি গিয়ে রেডি হোন আমি আসছি।
*" আমি আবার কই যাব?
*" আপনাকে কিছু করতে হবে না। যা করার আমি করব।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে আমার রুমে এসে রেডি হলাম।
,
,
,
#চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)
পর্বঃঃ৭ম
===========================
*"আপনাকে কিছু করতে হবে না। যা করার আমিই করবো।আপনি গিয়ে রেডি হোন(ম্যাম)
আমি আর কথা না বাড়িয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমে এসে আমার ফর্মাল ড্রেস সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পরে বের হলাম।
সামনে চেয়ে দেখি,,,
ও মা গো নীল শাড়িতে এটা কে গো?
ম্যাম নাকি পরি?
মনে হচ্ছে আকাশ থেকে নেমে আসা কোন পরি। আমি তো পুরো ফিদা।
মানুষ তো এতো সুন্দর না।
*"কি হল? এমন বিড়ালের মত চেয়ে আছেন কেন?
*"না ম্যাম। এমনি। আপনাকে তো কখনও শাড়িতে দেখি নাই। তাই।
*" আসলে কি তাই। নাকি আমায় নীল শাড়িতে দেখে ক্রাস খেলেন?
ম্যাম তো দেখছি আসলেই খুব চালাক। আমার চাহুনি দেখেই ধরে ফেলেছেন।
*" না.....না.....না....ম্যাম ক্রাস খাব কেন?
*" আচ্ছা ঠিক আছে। না খেলে নাই। আপনি এটা কি শার্ট পরেছেন?
*" কেন ম্যাম? অফিসের ড্রেস।
*" আপনার কি আর কোন শার্ট নাই?
*" হ্যা ম্যাম আছে। কিন্তু সব গুলোর মাঝে এটাই ভাল। তাই........
*" আচ্ছা চলেন।
আমি আর ম্যাম গাড়িতে উঠে চললাম অফিসের উদ্দ্যেশ্যে । আমি গাড়ি চালাচ্ছি আর আড় চোখে ম্যাম কে দেখছি।
অফিস পৌছানোর পর ম্যাম উনার কেবিনে চলে গেলেন। আর আমি ক্যান্টিনে।
ক্যান্টিনে বসে বসে পত্রিকা পড়ছি। হঠাত ম্যাম এসে বললেন.....
*"এই যে মিঃসানি আমার কেবিনে আসুন?
*" জি ম্যাম আসছি।
বলেই ম্যামের পিছু পিছু উনার কেবিনে আসলাম।
*" এখানে কয়েকটা ফাইল আছে। দেখুন তো এগুলা ঠিক আছে কি না?
*" ম্যাম আমি......
*" জি। আপনি।
*" ওকে ম্যাম।
ফাইল গুলো নিয়ে আমি বাইরে আসতে লাগলাম।
*" কোথায় যাচ্ছেন?
*" ম্যাম ক্যান্টিনে।
*" ক্যান্টিনে ফাইল নিয়ে কি করবেন?
*" তাহলে কোথায় বসে দেখব?
*" কোথায় বসে দেখবেন মানে?এখানে বসেই দেখেন।
ম্যামের কথায় সেখানেই ফাইল গুলো দেখে ম্যাম কে দিলাম।
*" ম্যাম সবগুলো ঠিক আছে।।
*" ধন্যবাদ। আর বিকেল বেলা আপনাকে নিয়ে একটু মার্কেটে যাব। তৈরী থাইকেন।
*" ওকে ম্যাম।
বলে আমি বেরিয়ে অন্য স্টাফ দের সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম।
বিকেল বেলা আমি গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছি। ম্যাম বেরিয়ে এসে বললেন......
*"আপনার তো এখন আর কোন কাজ নেই?
*" না ম্যাম।
*" ওকে তাহলে ন
নিউমার্কেট চলুন।
*" ওকে ম্যাম।
নিউমার্কেট এসে ম্যাম একটা শার্টের দোকানে ঢুকলেন। আমি ম্যামের পিছু পিছু ঢুকলাম । ম্যাম মাঝে মাঝে শার্ট পরেন। তাই হয়তো শার্ট নিতে এসেছেন।
ম্যাম একটা নীল শার্ট আর একটা কালো ধার্টশার্ট নিয়ে আমায় ডাক দিলেন।
*" জি ম্যাম৷
*" চেঞ্জিং রুমে গিয়ে নীল শার্টটা পরে আসুন।
*" ম্যাম আমি শার্ট পড়ব। কার শার্ট?
*" আমার এক বন্ধুর। আপনার মাপ আর তার মাপ সমান। এখন যান।
আমি চেঞ্জিং রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে এসে ম্যামকে দেখালাম৷
*" বাহ। আপনাকে তো পুরাই হিরো লাগছে।
বলেই ম্যাম হেসে দিলেন।
কেন যে ম্যাম আমার সামনে হাসে। বাকা দাতের হাসিতে প্রত্যেকবার আমার কলিজায় আঘাত করে।
*" কি হল? কি ভাবছেন।
*" কিছু না ম্যাম। ম্যাম একটা কথা বলি?
*" হুম। বলুন।
*" আপিনার হাসিটা অনেক সুন্দর।
আমার কথা শুনে ম্যাম লজ্জা পেয়ে চুপ হয়ে গেলেন।
আমরা আরও কয়েকটা শার্ট কিনে গাড়িতে এসে বললাম। আমি গাড়ি চালাচ্ছি। ম্যাম পিছনে বসে আছেন। আসার সময় আমার সাথেই বসেছিলেন।
*" এতো দিনে আপনি আমার হাসিটা খেয়াল করেছেন।
ম্যামের কথায় আমি পিছনে ফিরে তাকালাম। তাকিয়ে দেখি ম্যাম মুচকি মুচকি হাসছেন।
আবার সেই হাসি। মনে হচ্ছে ম্যামের মুখে কস্টিপ লাগাতে হবে যেন এতো সুন্দর করে হাসতে না পারে।কি করব বলেন?
সুন্দরেও একটা লিমিট আছে। কিন্তু ম্যামের হাসির সৌন্দর্যের লিমিট নাই।
না থাক আর হাসি দেখি না। পরে আবার এক্সিডেন্ট করে বিছানায় পরে থাকতে হবে।
তাই আমি আর কথা না বলে গাড়ি চালাতে লাগলাম।
বাসায় পৌছার পর ম্যাম গাড়ি থেকে নেমে বললেন.....
*"আপনি ফ্রেশ হয়ে ছাদে আসেন।
*" ম্যাম এখন ছাদে কেন?
*" আপনি এখনি শুয়ে পরবেন নাকি?
*" তাহলে ছাদে আসেন।একসাথে কফি খাব।
*" অকে ম্যাম।
ম্যাম উনার রুমে চলে গেলাএন। আর আমি আমার ঘরে।
ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছি।
কিছুক্ষন পর ম্যাম আসলেন।
হাতে দুই কাপ কফি।
*" আপনাকে বললাম না ছাদে আসতে?
*" ম্যাম খুব ক্লা...............
,
,
,
#চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)
পর্বঃঃ৮ম
=========================================
*"ম্যাম খুব ক্লান্ত লাগছে।তাই।(আমি)
*" যানি। ক্লান্ত লাগারই কথা। আপনার ক্লান্ত দূর করার জন্যই তো ছাদে যেতে বলছি।এই নিন, কফি খান। সব ক্লান্তি নিমিষেই দুর হয়ে যাবে।
আমি মনে মনে ভাবছি, কফি বানিয়েছে। নাকি সেদিনের মতো শরবত?
*" কি ভাবছেন?আজকে কফিই বানিয়েছি। শরবত না।
আমি কফি নিয়ে খেতে লাগলাম।
আসলেই আজ শরবত না বানিয়ে কফিই বানিয়েছে।
*" কি কেমন লাগলো?
*" হুম ম্যাম।আজ কফিটা অনেক ভাল হইছে। কমপক্ষে শরবত না।
বলে আমি হাসতে লাগলাম।
হঠাৎ ম্যামের দিকে চেয়ে দেখি ম্যাম কোমরে এক হাত দিয়ে দারিয়ে আছে।
আমি ম্যামের অবস্থা দেখে চুপ হয়ে গেলাম।
*" আমার কফি শরবত । তাই না? দারান দেখাচ্ছি মজা।
বলেই ম্যাম আমায় তারা করলেন।
আমায় আর পায় কে? ম্যাম কে কাটিয়ে দিলাম দৌড়।
ম্যামও আমার পিছু পিছু ছুটলেন।
আমি দৌড়াতে দৌড়াতে হঠাত স্যারের সাথে ধাক্কা খেলাম।
ধাক্কা খেয়ে একদম চিত ফটাং।
মানে মাথা সোজা গিয়ে বাড়ি খেল দেয়ালে।এরপর আর কিছু মনে নেই।
যখন জ্ঞ্যান ফিরে দেখি আমি হাস্পাতালে।
আর ম্যাম আমার পাশে বসে কাদচ্ছেন।
আমার নারাচারা দেখে ম্যামের মুখে হাশি ফুটলো।
*" আপনার জ্ঞ্যান ফিরেছে?
*"জি ম্যাম। কিন্তু ম্যাম আমার কি হয়েছিলো?
*" আপনি কাল রাতে আমার তারা খেয়ে পালাতে গিয়ে দেয়ালে আঘাত পেয়ে অজ্ঞ্যান হয়ে গিয়েছিলেন। আমি সরি।
সরি বলেই ম্যাম কান্না করতে লাগলেন।
আমি বুঝতে পারছি না এখন কি করা উচিত?
*" ম্যাম আপনি কাদছেন কেন?
*" সেটা আপনি বুঝবেন না। বুদ্ধু একটা। কেন কাদছি সেটা বুঝার বয়স আপনার হয় নাই।
বলেই ম্যাম চলে গেলেন।
আমি ম্যামের কথা কিছু বুঝতে পারলাম না।
আমি নাকি বুদ্ধু?
হুহ আমার মত চালাক কে আছে বলেন?
ম্যাম আরও বলে গেলেন আমার নাকি বুঝার বয়স হয় নাই।
তার মানে আমি এখনও বাচ্চা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বিকেল বেলা আমি হাসপাতালে শুয়ে আছি। মাথায় ব্যান্ডেজ করা।
খুব বেথা হচ্ছে।
কিছুক্ষন পর ম্যাম খাবার নিয়ে আসলেন।
*" এই যে মিঃসানি। উঠে খাবার খেয়ে নেন।
ম্যাম আমায় উঠতে সাহায্য করলেন।
আমি উঠে খাওয়া শেষ করে আবার শুয়ে পড়লাম।
*" আপনি এখন রেস্ট নেন। রাতে আমি আবার আসব।
বলে ম্যাম চলে গেলেন।
আমি আবার শুয়ে শুয়ে ফেইসবুক চালাতে লাগলাম।
কি করব বলেন?
একা একা আর কত শুয়ে থাকা যায়।?
রাতের বেলা স্যার আর ম্যাম এলেন।
*"কি রে সানি এখন কেমন লাগছে?(স্যার)
*" জি স্যার। এখন অনেকটা ভাল লাগছে।
*" ডাক্তার বলেছে কাল সকালে আপনি বাড়ি ফির‍তে পারবেন। (ম্যাম)
*"আচ্ছা সানি তুই আর রিদি কথা বল। আমি একটু আসছি।
বলেই স্যার বাইরে চলে গেলেন।
আমি আর ম্যাম চুপ।
আমি নিরবতা ভাংলাম।
*"ম্যাম একটা কথা বলি?
*" জি বলুন।
*" আপনি কি কখনো কাওকে ভালবেসেছেন?
*" না। কিন্তু ইদানিং আমার একটা ছেলেকে ভাল লাগে।
*" কে সে?
*" আছে একজন। আর আপনি কাওকে ভালবেসেছেন?
*" জি ম্যাম। একজনকে আমারও ভাল লাগে। কিন্তু সে মনে হয় আমায় ভালবাসে না?
*" কিভাবে বুঝলেন?তাকে বলেছেন নাকি?
*" না ম্যাম। আপনি?
*" আমিও বলিনি। সময় হলে বলে দিব।
ম্যাম অন্য কাওকে ভালবাসে কথাটা শুনে আমার মোনটা খারাপ হয়ে গেল।
ম্যামেরও দেখি একই অবস্থা।
*" কি হল ম্যাম এমন চিনতিতো দেখাচ্ছদেখাচ্ছে কেন আপনাকে?
*" আসলে আমিও যানি না যাকে আমি ভালবাশি সে আমায় ভালবাশে কিনা।
বলে ম্যাম মুখ ভার করে চলে গেলেন। আর আমি লেজ কাটা হনুমানের মত হা করে সুয়ে থাকলাম।
পরদিন সকাল বেলা আমায় হাসপাতাল থেকে ছেরে দিল। আমায় নিতে ম্যাম এসেছেন।
আমি গাড়িতে গিয়ে বসলাম।
ম্যাম গাড়ি চালাচ্ছেন।
আমি পিছন থেকে ম্যাম কে বললাম....
*" ম্যাম আপনি যাকে ভালবাসেন তার নাম কি?
*" আজ বাসায় চলেন। সেখানে গিয়েই যানতে পারবেন।
আমি আর কথা বাড়ালাম না। কিন্তু ম্যাম কে আজ একটু খুশি খুশি লাগছে।
,
,
,
#চাকর_মালিক(ইংলিশ ম্যাম)
পর্বঃঃ৯ম(শেষ)
============================‌‌‌
ম্যামকে আজ খুব খুশি খুশি লাগছে।
আমি আবার বললাম.....
*" ম্যাম আপনার পুরো নাম কি?
*" মানে? আপনি এখনও আমার পুরো নাম যানেন না?
*" না ম্যাম। স্যার শুধু রিদি বলেছিলেন।
*"ওহহহহহহ.......সিদরাতুলমুনতাহা রিদি।
*" ওরে মা!!!এতো বড় নাম?
*"কেন? পছন্দ হয় নি?
*"হুম্ম।আপনার মতো(বিরবির করে)
*" কিছু বললেন?
*" না ম্যাম।
ম্যাম একমনে গাড়ি চালাচ্ছেন।
বাড়ি এসে ম্যাম আমায় গাড়ি হতে ধরে নামালেন।
*" আপনি ঘরে গিয়ে রেস্ট নেন আমি একটু আসছি।
*" ওকে ম্যাম।
ম্যাম উপরে চলে গেলেন আর আমি আমার রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
একটুপর রিনি ফোন দিল।
*" হ্যাল সানি(রিনি)
*" হুম্ম। কি খবর?
*" আমার খবর বাদ দেন। কেমন আছেন?
*" তেমন ভাল না। এই মাত্র হাসপাতাল থেকে আসলাম।
*"হাসপাতাল থেকে আসলেন মানে?
*" জি। মাথা ফাটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
*" হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আর আমায় জানালেন না।
*" আরে আমি কিভাবে জানাবো? আমার তো জ্ঞ্যানই ছিল না।
*" আচ্ছা আমি কাল সকালে আসতেছি।
*" আপনাকে আসতে হবে.........হ্যাল...হ্যালো।
কথা শেষ না হতেই ফোন কেটে গেল।
কাল সকালে বাসায় আসলেই তো ভেজাল শুরু হবে।
সেদিন ম্যাম সাবধান করে দিয়েছেন কথা না বলতে। আর বাড়ি এলে তো........
হঠাৎ ম্যাম এসে বললেন......
*" সানি এখন কেমন লাগছে?
*" অনেক ভাল ম্যাম।
*" আচ্ছা আপনি শুয়ে রেস্ট নেন। আমি আপনার খাবার নিয়ে আসছি।
বলে ম্যাম আবার চলে গেলেন।
আমি আবার রিনিকে ফোন দিলাম।
*" হ্যা সানি বলেন(রিনি)
*" কাল সকালে আপনাকে আসতে হবে না।আমিই কালকে অফিসে যাব। তখব দেইখেন।
কথা শেষ করেই আমি কেটে দিলাম।
কিছুক্ষন পর ম্যাম খাবার নিয়ে আসলেন।
*" নিন খাবারগুলো খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিন।
*" ওকে।ম্যাম
*"নিজে খেতে পারবেন নাকি খাইয়ে দিব।
*" ম্যাম আমার হাত তো কিছু হয় নাই।
*" কে বলেছে?আমি দেখছি আপনার হাত কাটা। আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
আমার অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার নাই।
*" কি হলো? হা করে তাকিয়ে না থেকে খাবার খান। আমার হাত ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে।
আমি খাবার মুখে নিয়ে খেতে লাগলাম।
খাওয়ানো শেষ করে ম্যাম চলে গেলেন।
*" ম্যাম আপনি যে আপনার ভালবাসার মানুষের নাম বলতে চাইলেন?(আমি পিছন থেকে বললাম)
*" হুম। একটু পরে আব্বু এসে আপনাকে বলবে।(বাইরে থেকে)
স্যার বলবে মানে?
বাবা, মেয়ের মধ্যে কি মিল!
মিল থাকারই কথা।
স্যার বলেছিলেন
ম্যাম যখন অনেক ছোট তখন স্যারের স্ত্রী মারা যান।
একটু পর স্যার আসলেন।
*" সানি এখন কেমন লাগছে?
*" এখন অনেকটা ভাল লাগছে।
*" তোর সাথে আমার কিছু কথা ছিলো। জানি না তুই কথাগুলা কিভাবে নিবি।
*" স্যার এটা আপনি কি বলছেন? আমি কিছু মনে করব না। বলেন।
*" তুই জানিস রিদি আমার মা মরা একমাত্র মেয়ে। মেয়েটা খুব যেদি কিন্তু খুব ভাল। আসলে রিদি তোকে অনেক পছন্দ করে। প্লিজ বাবা তুই না করিস না।
(স্যার হাত জোর করে বললেন)
*" এ কি করছেন স্যার। আপনি আমার বাবার মতো। প্লিজ আমায় আর লজ্জা দিবেন না।সত্যি কথা বলতে কি আমিও রিদি ম্যাম কে অনেক পছন্দ করি।
আমার কথা শুনে স্যার অনেক খুশি হলেন।
*" তাই নাকি? তাহলে বলসনাই কেন?
*" বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যখনই বলতে গেলাম তখনই ম্যাম বললেন তিনি নাকি অন্য একজনকে ভালবাসেন।
*" আরে গাধা সেটা তুই।
*" হুম এখন জানতে পারলাম।
*"তো এখন গিয়ে বলে দে।
আমি আর কোন কথা না বলে দিলাম দৌড়।
স্যার পিছন থেকে ডাক দিলেন।
*" আরে গাধা শুনে যা।
আমি আবার ফিরে এলাম।
*" জি স্যার বলেন।
*" রিদি ছাদে দারিয়ে আছে। যাওয়ার সময় বাগান থেকে গোলাপ নিয়ে যাস। তা নাহলে আবার নামতে হবে।
*" ধন্যবাদ শ্বশুর আব্বা।
বলে আবার ছুটলাম।
গন্তব্য বাড়ির ছাদ নাকি বাগান জানি না। কিন্তু উদ্দেশ্য রিদি ম্যাম।
সবাই দোয়া করবেন।.................