*
পর্ব-১
*
--- ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিচ্ছি আমি আর আমার হারামি বন্দু গুলা।খুব মজা করছি এক বন্ধু বললো মামা এইভাবে বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না চল এবার একটা গেম খেলি।
আমি- কি গেম মামা?
রবি- চল দোস্ত গানের কলি খেলি,,
আমি- হুম মামা চল প্রথমে নাজমুল শুরু করলো তারপর রবির পালা রবি শেষ করলো আর আমাকে গান গাইতে হবে(ওও) দিয়ে মাথায় তো কোন গান আসছে নাহ কি যে করি কিছুই মাথায় আসছে না,,
কিন্তু একটা গান তো গাইতেই হবে না হলে তো মান সন্মান থাকবে নাহ।
আমি শুরু করলাম ও মাইয়া তুই সুন্দররী বান্দরনী তরে নিয়ে যামু কলকাতায়,, ও মাইয়া তরে আমার ভালো লাগছে হবি আমার বউ.......
ভাই গান তো শেষ করতে পারলাম না।কিন্তু আমার যে পরিস্তিতি তাতে করে মনে হচ্চে আমি শেষ হয়ে যাবো।
বুঝেন নাইই আরে একটা মাইয়া এসে আমার কলার ধরছে,,উফফফ লাগছে তো ছাড়ুন আমায়,,আর আপনি কে আমাকে এই ভাবে ধরেধেন কেনো শুনি উফফফ আম্মু বাচাও তোমার ছোট পিচ্চু ছেলেটাকে এই মাইয়া মনে হয় আজকে মেরেই ফেলবে।
রবি- আরে ওকে অই ভাবে ধরেছেন কেনো? ছাড়ুন ওকে..
মেয়েটি- ছাড়বো মানে, এই সব ছেলেদের উচিৎ শাস্তি দেওয়া উচিত।
আমি- কি করেছি আমি হা যে এই ভাবে আমাকে ধরে রেখেছেন মনে হচ্চে আমি চোর আর আমি আপনার কোন কিছু চুরি করেছি তাই এমন ভাবে ধরে রেখেছেন।
মেয়েটি- কি করছো বাবু সোনা তুমি জানে না....
হায় হায় এই মাইয়া আমারে বাবু সোনা বলে কেনো,, কোনো দিন গো কোনো মাইয়া ভুলেও এই কথা আমারে বললো না,,
খুব আনন্দ হচ্চে আমার লুঞ্জি ড্যান্স দিতে ইচ্চে করছে, কিন্তু আমি সেটা না করে প্রশ্নের উওর দিলাম না গো আমি কিছু জানিনা।বলে দিবে কেনো আমাকে এই ভাবে ধরেছো।
মেয়েটি- ভালোই করেছি কোনো মেয়ে দেখলে তাকে টিজ করা হয় তাি না,,তদের মত বখাটে ছেলেদের জন্য আজ আমাদের মত মেয়েদের কোনো নিরাপত্তা নেই।
আমি- দেখুন আপনি কিন্তু আমাকে অপমান করছেন,আপনি আমাকে বখাটে বলছেন কেনো?
আর আমি কি করেছি শুনি?
মেয়েটি- তুই আমাকে দেখে গান গাইলি কেনো?? আবার বলে তোর বউ হতে তোর মত বখাটে ছেলের বউ আমি কোনো দিন হবো না।
আমি- আপনাকে বউ করছে কে?? আর আমি আপনাকে দেখে গান গাইনি বুঝেছেন,,আমার তো গানের কলি খেলছিলাম।
মেয়েটি- চুপ থাক একদম নাটক করবি না তোদের মত ছেলেদের আমার হারে হারে চেনা আছে শালা বখাটে...
আমি- অই আপনি আমাকে বকা দিচ্ছেন কেনো?
মেয়েটি - নাহ বাবু তোমাকে বকা দিবে না তোমাকে কিস দিবে..
আমি- সত্যি তাহলে দেরি করছেন কেনো??
তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন... শুভ কাজে দেরি করতে নাই।
মেয়েটি - তাউ না দেরি করতে নাই,,, আসুন একটা পাপ্পি দিবো আপনাকে,,, আমি তো খুশিতে গদ গদ হয়ে গাল বাড়িয়ে দিলাম আর তারপর কি হলো জানেন মায়েটা কষে আমার গালে একটা থাপ্পড় দিলো আওওও কি ব্যাথা আম্মু মরে গেলাম গো,, এইটা মেয়ে নাকি ডাইনি।
মেয়েটি- চুপ একদম কথা বলবি না ফাজিল ছেলে আর যদি কোনো দিন আমাকে দেখে এই ভাবে গান গায়ছিস তাহলে তোর খবর আছে এই বলে দিলাম এই কথা বলে মেয়েটি আমায় ছেড়ে দিয়ে চলে গেল।
আমি তো একদিকে বাচলাম,,কিন্তু গাল খুব ব্যাথা করছে,,আর রবি বললো মামা আরো গাইবা উল্টা পাল্টা গান এবার বুঝো মজা।
আমি- অই আমি কি জানতাম এতো কিছু হয়ে যাবে, আমার মাথায় কোন গান আসছিলো না তাই তো গাইলাম কে জানতো উফফফ আম্মু।
রবি- এখন আম্মু আম্মু করছো কেনো?
বউ বানাবা না মামা...
আমি- হুম বানাবো,,আচ্ছা মামা এই মেয়ের নাম কি কোন ইয়ারে পরে জানিস আমায় যতদুর মনে পরে আমি এর আগে এই মেয়েকে কোন দিন দেখি নাই।
রবি- মামা আমিও তো দেখি নাই।
আমি- মামা একটু খোজ নে না,,কে এই গুন্ডি মাইয়া এইভাবে আমাকে মেরে চলে গেলো।
আমার কি কোনো দোষ ছিলো আমি তো জাস্ট গান গাইলাম তাও নিজের মত করে।
আর তার জন্য আমাকে এতো কিছু বলা ফাজিল মাইয়া সরি ওটা মাইয়া না ওটা।
মনে হয় মেয়ে রুপি কোন ছেলে হবে যদি তাই না হতো তাহলে আমাকে এতে জরে মারতে পারতো,, বাহ বাহ খুব শক্তি আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম না জানি আরো কত কিছু করে কিন্তু ভাগ্য ভালো অল্পতেই সব মিটে গেলো।
তখন নাজমুল বললো ব্যাটা মেয়ে মানুষ যখন কথা বলে তখন চুপ থাকবি... দেখবি এর কারনেই তুইও ভালো আছিস আর মেয়েটা কিছু বলতে পারবে না।মেয়ের সাথে যত কথা বলবি তত তোর বিপদ সো আমার মত চুপ থাকবি।
আমি- আরে তুই চুপ থাক শালা গ্রেট লুচ্চা,প্লিজ লুচ্চা ভাই আমাকে একটু এই মেয়ের সম্পর্কে সব কিছু বিস্তারিত এনে দে।আমি তো এই মেয়েকে দেখে নিবোই নিবো আমাকে এই ভাবে চড় মারা।
রবি- এখন বাঘ ক্ষেপেছে, যখন মেয়েটা কথা বললো তখন তো একটাও কথা বলার সাহস ছিলো না।ভয়ে তে চুপসে গেছিস। আর এখন আসছো। এত কথা বলতে।
আমি- দেখ আমি মেয়েদের সন্মান করি বলে কিছু বলি নাই.....
রবি- আসছে আমার সন্মানের গুরু ওনি নাকি সবাইরে সন্মান দিয়ে চলে এইসবের মধ্যে ক্লাসের বেল বেজে গেলো আমারা সবাই ক্লাসে গেলাম কিছুক্ষন পর ম্যাম আসলো।
এু ম্যাম কে সবাই খুব ভালোবাসে।আর ম্যামো সবার সাথে খুব ফ্রি তাই কারো কেন সমস্যা হলে ম্যামকে বলে আর ম্যাম সেটার সমাধান করে দেয়।
এই ম্যামের জন্য অনেক ছেলে আজ তার প্রিয় সংগিকে নিজের করে পেয়েছে।
মানে যখন কোনো ছেলের কোনো মেয়েকে পছন্দ হতো কিন্তু মেয়েটিকে বলতে পারতো নাহ তখন ম্যামকে বলতো,,আর ম্যাম মেয়েটিকে বলতো আর যেভাবেই পারুক না কোনো মেয়েটিকে রাজি করাতো আর এই জন্য এই ম্যামকে সবাইএতো
ভালোবাসে।
ম্যাম আমাকেও অনেক ভালোবাসে বলতে গেলে ক্লাসের সবার থেকে একটু বেশি ভালোবাসে আমাকে।ম্যাম আমাকে তার নিজের ছেলের মত দেখে। আর আমি ম্যামকে সন্মান করি।ম্যাম ক্লাসে এসে বললো গুড মর্নিং স্টুডেন্ট....
সবাই- গুড মর্নিং ম্যাম..
ম্যাম- সবাই কেমন আছো?
সবাই- জি সবাই ভালো আপনি?
ম্যাম- হ্যা আমিও ভালো আছি,, আজ তেমাদের মাঝে একজন নতুন বন্দু আসছে
তাকে তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো....
,
,
,
পর্ব-২
*
--- ম্যাম:- হ্যা আমিও ভালো আছি,, আজ তোমাদের মাঝে একজন নতুন বন্ধু আসছে তাকে তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো,এই দিকে আসো তো তিশা মা এরপর সেই মেয়েটা মানে যে আমার উপর নির্যাতব করেছিলো সেই মেয়েটা আসলো।
তারপর ম্যাম বললো এই হলো তিশা তেমাদের নতুন বন্ধু তাকে তোমরা সাহায্য সহযোগিতা করো,অন্য একটা কলেজ থেকে এই কলেজে আসছে অনেক কিছু ভালো করে চিনে না সবাই বললো আচ্ছা ম্যাম ঠিক আছে।
আর মেয়েটার নাম তাহলে তিশা হ্যা মেয়েটা দেখতে যেমন নাম টাও অনেক সুন্দরর আমার তো বেশ ভালো লাগলো...
নামটা কিন্তু সকালের কথা মনে পড়তেই আমি ভাবলাম মেয়েটাকে একটু উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার কোনো দোষ ছাড়াউ আমাকে তখন অনেক হ্যানস্তা করেছে।
আর আমি নাকি বাজে ছেলে এই কলেজের কেউ আজ পর্যন্ত এই কথা বললো না আর এই মেয়ে প্রথম দিন এসেই আমাকে বাজে বললো খুব রাগ হলো তাই চুপচাপ বসে পড়লাম।
আমি তিশাকে দেখেছি,, কিন্তু তিশা আমাকে দেখেছে কিনা সেটা আমি জানি না আর জানতেও চাইনা।বজ্জাত মেয়ে ফাজিল মেয়ে গুন্ডি মেয়ে তখন কিভাবপ চড় মারলো এখনো ব্যাথা করছে,
ম্যাম সবাইকে একেক করে পড়া ধরছে এক সময় আমার পালা আসলো কাদের পড়া বলো আমার মাথাই কোনো পড়াউ আসছিলো না যা আসছিলো সব বার বার গুলিয়ে ফেলছি,,আবাল তাবাল পড়া বলছি ম্যাম বললো....
কাদের এই সব কি বলছো তুমি তো এমন করো না।আজ কেনো এমন হলো আজকে পড়া শিখো নাই কেনো?
আমি- ম্যাম আসলে আমি একটু অসুস্থ তাই।
তখন সবার মাঝ থেকে তিশা দাড়িয়ে বললো নাহ ম্যাম ও মিথ্যা বলছে আমি দেখেছি আজ ওনি কাকে যেনো বিয়ে করবে বলে মানের খুশিতে গান গাচ্ছিলো আহা দেখে মনে হয় বউ পেয়ে গেছে খুব লুচ্চা এই ছেলে যাকে না তাকেই বিয়ে করতে চাই।
ম্যামা ও একদম ঠিক আছে।আসলে সারা দিয়ে মেয়েদের পিছনে ঘুরে বেড়ায় তাই পড়ালেখা সব ভুলে মেরে দিয়েছে।
ম্যাম তিশার কথা শুনে আমাকে জিজ্ঞেস করলো কাদের তিশা যা বলছে তা কি সত্যি??
আমি - ম্যাম ওই ফাজিল মাইয়া একদম মিথ্যা কথা বলছে,, আমারা সকালে গানের কলি খেলছিলাম যখন আমার পালা আসলো আমি গান গাচ্ছিলাম গান টা এমন ও মাইয়া তুই কি হবি আমার ঘরের বউ তখন এই মেয়ে আমাকে নানান ভাবে অপমান করছে।
ম্যাম তখন রাগি লুক নিয়ে তিশার দিকে তাকালো ধমকের সুরে তিশা কাদের যা বলছে তা কি সত্যি...
তিশা- হ্যা সব সত্যি বলছে,, আমি ভেবেছিলাম আমাকে বলেছে তাই আর কি??
ম্যাম - কিছু না যেনে না বুঝে এমন কাজ করতে নেই। এখন তুমি কাদেরকে সরি বলো।
তিশা- এই ছেলে শোনো আমি সরি।
আমি- আচ্ছা ঠিক আছে। ম্যামের ক্লাস শেষ আমি একটু বাহিরে বের হয়েছিলাম। এসে আমার সিটে বসে পারে যখন ক্লাস শেষ করে বের হতে যাবো দেখি আমি উঠতে পারছি নাহ,, কিছু একটা আমার প্যান্ট কে ব্যাঞ্চ এর সাথে আটকে গেছে আমি রবিকে জিজ্ঞাস করলাম দেখতো রবি কি হয়েছে।
রবি- আরে মামা তোর প্যান্টে তো চুইংগাম লেগে আছে...
আমি তিশার দিকে তাকিয়ে দেখি তিশা হাসছে তার মানে এটা তিশার কাজ।
খুব রাগ হচ্ছিলোএইবার বেশি হয়ে যাচ্ছে।
তাই আমি রবি নাজমুলের সাথে একটা প্লান করলাম পরদিন যখন কলেজে আসলো সেটা কাজে লাগাবো, পরদিন আমরা যথারীতি সময়ে কলেজে আসলাম অই তো তিশা আসছে
আমরা যে যার পজিশন নিলাম।
তিশা যে আমার কাছে আসলো নাজমুল লেঙ দিল তিশাকে আর তিশা আমার উপরে এসে পরলো আমি তখন বললাম এই মেয়ে এমন অব্যাস কেনো ছেলে দেখলে গায়ে পড়তে ইচ্ছা করে ফাজিল মািয়া এমন কেও করে ছিঃ আপনি এতে খারাপ আগে জানতাম নাহ।
তিশা- আমি ইচ্ছা করে কিছু করিনি।
আমি- মিথ্যা বলতে হবে না,আপনাদের মত মেয়েদের চরিত্র কেমন তা ভালে করেই জানা আছে।
তিশা আর কিছু না বলে মাথা নিচু করে চলে গেলো হয়তো লজ্জা পেয়েছে বা অপমান বোধ করেছে।
আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে গিয়ে দেখি তিশা একটা গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে খুব খারাপ লাগলো মনে হয় একটু বেশি করে ফেলেছি।
তাই তিশার কাছে গেলাম....
*
--- ম্যাম:- হ্যা আমিও ভালো আছি,, আজ তোমাদের মাঝে একজন নতুন বন্ধু আসছে তাকে তোমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো,এই দিকে আসো তো তিশা মা এরপর সেই মেয়েটা মানে যে আমার উপর নির্যাতব করেছিলো সেই মেয়েটা আসলো।
তারপর ম্যাম বললো এই হলো তিশা তেমাদের নতুন বন্ধু তাকে তোমরা সাহায্য সহযোগিতা করো,অন্য একটা কলেজ থেকে এই কলেজে আসছে অনেক কিছু ভালো করে চিনে না সবাই বললো আচ্ছা ম্যাম ঠিক আছে।
আর মেয়েটার নাম তাহলে তিশা হ্যা মেয়েটা দেখতে যেমন নাম টাও অনেক সুন্দরর আমার তো বেশ ভালো লাগলো...
নামটা কিন্তু সকালের কথা মনে পড়তেই আমি ভাবলাম মেয়েটাকে একটু উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার কোনো দোষ ছাড়াউ আমাকে তখন অনেক হ্যানস্তা করেছে।
আর আমি নাকি বাজে ছেলে এই কলেজের কেউ আজ পর্যন্ত এই কথা বললো না আর এই মেয়ে প্রথম দিন এসেই আমাকে বাজে বললো খুব রাগ হলো তাই চুপচাপ বসে পড়লাম।
আমি তিশাকে দেখেছি,, কিন্তু তিশা আমাকে দেখেছে কিনা সেটা আমি জানি না আর জানতেও চাইনা।বজ্জাত মেয়ে ফাজিল মেয়ে গুন্ডি মেয়ে তখন কিভাবপ চড় মারলো এখনো ব্যাথা করছে,
ম্যাম সবাইকে একেক করে পড়া ধরছে এক সময় আমার পালা আসলো কাদের পড়া বলো আমার মাথাই কোনো পড়াউ আসছিলো না যা আসছিলো সব বার বার গুলিয়ে ফেলছি,,আবাল তাবাল পড়া বলছি ম্যাম বললো....
কাদের এই সব কি বলছো তুমি তো এমন করো না।আজ কেনো এমন হলো আজকে পড়া শিখো নাই কেনো?
আমি- ম্যাম আসলে আমি একটু অসুস্থ তাই।
তখন সবার মাঝ থেকে তিশা দাড়িয়ে বললো নাহ ম্যাম ও মিথ্যা বলছে আমি দেখেছি আজ ওনি কাকে যেনো বিয়ে করবে বলে মানের খুশিতে গান গাচ্ছিলো আহা দেখে মনে হয় বউ পেয়ে গেছে খুব লুচ্চা এই ছেলে যাকে না তাকেই বিয়ে করতে চাই।
ম্যামা ও একদম ঠিক আছে।আসলে সারা দিয়ে মেয়েদের পিছনে ঘুরে বেড়ায় তাই পড়ালেখা সব ভুলে মেরে দিয়েছে।
ম্যাম তিশার কথা শুনে আমাকে জিজ্ঞেস করলো কাদের তিশা যা বলছে তা কি সত্যি??
আমি - ম্যাম ওই ফাজিল মাইয়া একদম মিথ্যা কথা বলছে,, আমারা সকালে গানের কলি খেলছিলাম যখন আমার পালা আসলো আমি গান গাচ্ছিলাম গান টা এমন ও মাইয়া তুই কি হবি আমার ঘরের বউ তখন এই মেয়ে আমাকে নানান ভাবে অপমান করছে।
ম্যাম তখন রাগি লুক নিয়ে তিশার দিকে তাকালো ধমকের সুরে তিশা কাদের যা বলছে তা কি সত্যি...
তিশা- হ্যা সব সত্যি বলছে,, আমি ভেবেছিলাম আমাকে বলেছে তাই আর কি??
ম্যাম - কিছু না যেনে না বুঝে এমন কাজ করতে নেই। এখন তুমি কাদেরকে সরি বলো।
তিশা- এই ছেলে শোনো আমি সরি।
আমি- আচ্ছা ঠিক আছে। ম্যামের ক্লাস শেষ আমি একটু বাহিরে বের হয়েছিলাম। এসে আমার সিটে বসে পারে যখন ক্লাস শেষ করে বের হতে যাবো দেখি আমি উঠতে পারছি নাহ,, কিছু একটা আমার প্যান্ট কে ব্যাঞ্চ এর সাথে আটকে গেছে আমি রবিকে জিজ্ঞাস করলাম দেখতো রবি কি হয়েছে।
রবি- আরে মামা তোর প্যান্টে তো চুইংগাম লেগে আছে...
আমি তিশার দিকে তাকিয়ে দেখি তিশা হাসছে তার মানে এটা তিশার কাজ।
খুব রাগ হচ্ছিলোএইবার বেশি হয়ে যাচ্ছে।
তাই আমি রবি নাজমুলের সাথে একটা প্লান করলাম পরদিন যখন কলেজে আসলো সেটা কাজে লাগাবো, পরদিন আমরা যথারীতি সময়ে কলেজে আসলাম অই তো তিশা আসছে
আমরা যে যার পজিশন নিলাম।
তিশা যে আমার কাছে আসলো নাজমুল লেঙ দিল তিশাকে আর তিশা আমার উপরে এসে পরলো আমি তখন বললাম এই মেয়ে এমন অব্যাস কেনো ছেলে দেখলে গায়ে পড়তে ইচ্ছা করে ফাজিল মািয়া এমন কেও করে ছিঃ আপনি এতে খারাপ আগে জানতাম নাহ।
তিশা- আমি ইচ্ছা করে কিছু করিনি।
আমি- মিথ্যা বলতে হবে না,আপনাদের মত মেয়েদের চরিত্র কেমন তা ভালে করেই জানা আছে।
তিশা আর কিছু না বলে মাথা নিচু করে চলে গেলো হয়তো লজ্জা পেয়েছে বা অপমান বোধ করেছে।
আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে গিয়ে দেখি তিশা একটা গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে খুব খারাপ লাগলো মনে হয় একটু বেশি করে ফেলেছি।
তাই তিশার কাছে গেলাম....
,
,
,
পর্ব-৩
*
:-আমরা গিয়ে দেখি তিশা একটি গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে।তখন নাজমুল বললো মনে হয় মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছেরে যা কাদের মাফ চেয়ে নে..
আমি- হ্যা তাউ করি মেয়েটা সত্যি মনে হয় কষ্ট পেয়েছে।আমি তিশার কাছে চলে গেলাম।
আমি- এই শুনো,নিশ্চুপ কোনো কথা নেই তিশার মাথা নিচের দিকে করে রেখেছে।
আমি- এই শুনো কি হয়েছে... তখন। তিশা আমার দিকে তাকালো আরে একি মেয়েটা কাদছে কেনো?
আমি- এই তুমি কাদছো কেনো?
তিশা- ইচ্ছা হয়েছে তাই কাদছি,,তোর কোনো সমস্যা আছে??
আমি- এই তুমি আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেনো?
আমি কি কোনো দোষ করেছি?
তিশা- নাহ তুই কেনো দোষ করতে যাবি? দোষ তো করেছি আমি,, আমি তো চরিত্রহীনা একটা মেয়ে।
আমি- তুমি এই ভাবে কথা বলছো কেনো শুনি আমি তো তখন মজা করেছি তোমার সাথে।
তিশা- ভালো করেছিস আমি আর কিছু না ভেবে তিশার পাশে বসে পড়লাম।
তিশা- একি তুই আমার সাথে এইভাবে বসছিস কেনো?
আমি- প্লিজ তুমি আমাকে মাফ করে দাও।আমরা তো একটু মজা করতে চেয়েছিলাম,,কিন্তু বিশ্বাস করো আমি জানতাম না তুমি এতোটা কষ্ট পাবে।আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ,।
তিশা- নাহ তোর কোনো মাফ নেই,,,,
আমি- প্লিজ আমাকে মাফ করে দাওনা,,আমি তো একটা পিচ্চু ছেলে কেও যদি এই পিচ্চুর উপর রাগ করে থাকে পিচ্চুর কষ্ট হয়তো প্লিজ মাফ করো আমায়।
তিশা- আয়ছে আমার পিচ্চু,, আচ্ছা পিচ্চু তুই কি ফিডার খাস?
আমি- হ্যা খায় তোহ...
তিশা এরপর আমার কথা শুনে হেসে দিলো আর বললো এই ছেলে বলে কি সে নাকি পিচ্চু আবার এই বয়সেও নাকি ফিডার খায় হা হা হা
পিচ্চু হলেও খুব পাজি খুব দুষ্টু যেমন রাগাতে পারে তেমন রাগ ভাঙাতেও পারে।
আমি- এই বার এই পিচ্চু কে মাফ করে দেওয়া যায় না।
তিশা- হ্যা যায় তবে একটা শর্তে আমি রাজি,,কি শর্ত বলো।
তিশা- আমার না কোন বেষ্ট ফ্রেন্ড নাি তুমি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড হবা?
আমি- কিন্তু আমার তো মেয়েদের সাথে মিশতে কেমন জানি লাগে,আমি পারবো না।
তিশা- তাহলে তোমাকে মাফও করবো না।
আমি- কিন্তু কেনো?
তিশা- আমার ফ্রেন্ড হবা না তাই মাফ করবো না কোনো দিন।
তখন পেছন থেকে রবি আর নাজমুল বললো শালা একটা মেয়ে ফ্রেন্ড বানালে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।
বানিয়ে ফেল মেয়েটা যখন এতো করে বলছে।
আমি- তাহলে তোরা বলছিস বানাতে।
হ্যা বানিয়ে ফেল মেয়েটা একটু রাগি আর দুষ্টু হলেও অনেক ভালো।বানিয়ে ফেল আমাদেরো একটা বন্ধু বারুক আমরা আমি আর কি বলবো বন্ধু রা তো আর খারাপ চাইবে না।তাি আমি তিশাকে বললাম আমি তোমার শর্তে রাজি।তুমি যা চাইবে তাই হবে।
তিশা- তাহলে মিলাও হাত।
তারপর আমি আর নুসরাত ফ্রেন্ড হয়ে গেলাম।
তারপর থেকে একসাথে আড্ডা দেওয়া।একসাথে ঘুরে বেড়ানো অনেক কিছু।
একদিন আমি ম্যাম এর একটা ক্লাস মিস করি কিন্তু ক্লাসটি অনেক গুরুতপূর্ন ছিলো।
আমি ম্যামকে বললাম ম্যাম আমি তো ক্লাস মিস করে ফেলেছি যদি আপনও একটু সাহায্য করতেন।
ম্যাম- আচ্ছা তুমি বিকেলে আমার বাসায় চলে এসো আমি তোমাকে বুঝিয়ে দিবো।
আমি ম্যামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাসায় গেলাম বাসা থেকে খেশে দেয়ে বিকালে একটু পরিপাটি হয়ে বের হলাম।শুনেছু ম্যামের বাসায় নাকি কোন এক মেয়ে এসেছে তাি একটু পরিপাটি হয়ে গেলাম।
অচেনা কারো সামনে কি আগোছালো ভাবে যাওয়া যায়।তাই নিজেকে একটু পরিপাটি করে নিলাম বিকালে ম্যামের বাসায় গিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে কলিং বেল চাপতে তিশা এসে দরজা খুলো দিলো।
আমি- কিরে তুইও কি আমার মত ক্লাস মিস করছিস নাকি??
তিশা কোনো কথা না বলে আমাকে বললো আসো তুমি ভিতরে আসো তারপর বলছি।
আমি কিছু না ভেবেই ব্যাপারটা সাভাবিক বাবে নিলাম।তিশাতো মনে হয় বুঝতে এসেছে কিন্তু আমাকে বললো না কেনো,,হ্যা তিশাকে তো বলা হয়নি আমি আসবো,,
বাসার ভেতর প্রবেশ করার পর তিশা আমাকে বললো তুমি একটু বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি....
আমি- আরে এটা কি তোমার নিজের বাসা নাকি যে তুমি খাবার আনতে যাবে?
তিশা- হ্যা এটা তো আমারি বাসা!!!!!!!!
আমি- দেখ সব সময় মজা করবি নাহ... তার থেকে বালো এখানে এসে বসে পরো ম্যাম এখনি চলে আসবে।
তিশা- তুমি চুপচাপ বসে থাকো আমি খাবার নিয়ে আসছি।এই বলে তিশা চলে গেলো।
এই মেয়ের মাতায় গন্ডগোল আছে,, তা না হলে ম্যামের বাসায় এসে কেও এমন করে।আমি বসে আছি তখন ম্যাম আসলো আমি ম্যামকে সালাম দিলাম।তার কিছুক্ষন পর তিশা চলে এলো।
তিশা সেগুলো ম্যাম আর আমার সামনে দিলো।নিজেও কিছু নিলো। কেমন মেয়েরে বাবা লজ্জা নেই ম্যামের সামনে এমন করছে।
আমি কিছু বলছি না আমার নিজেরি লজ্জা লাগছে।
ম্যাম আমাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে বললো কি ব্যাপার কাদের ওমন চুপ করে বসে আছো কেনো?
আমি- নাহ ম্যাম কিছু না...
ম্যাম - বুঝতে পেরেছি.. তুমি অবাক হচ্চো তিশাকে আমার বাসায় দেখে আসলে তিশা আমমার নিজের মেয়ে এতো দিন ওর নানা বাসায় থেকে পড়ালেখা করেছে।
কিন্তু আমি নিয়ে আসলাম একমাত্র মেয়ে এতেদূরে থাকে ভালো লাগে না।
আর তোমার মনে পশ্ন জাগতে পারে আমি কেনো কলেজের সবাইকে বলেনি তিশা আমার মেয়ে,আসলে তিশা নিজেি আমাকে বলেছিলো এই কথাটি গোপন করতে তাই আমি বলিনি।
আমি তো তিশার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।
এতো দিন একসাথে থাকলাম আর এই ব্যাপার বুঝতে পারলাম নাহ।আর কিভাবে বুজবো মেয়েটা তো কলেজে ম্যামের সাঢে তেমন কথা বলেনা।থাক এতো কিছু ভেবে কাজ নেই যা বুঝতে এসেছি তাই বুঝে বাসায় চলে যায়.....
*
*
:-আমরা গিয়ে দেখি তিশা একটি গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছে।তখন নাজমুল বললো মনে হয় মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছেরে যা কাদের মাফ চেয়ে নে..
আমি- হ্যা তাউ করি মেয়েটা সত্যি মনে হয় কষ্ট পেয়েছে।আমি তিশার কাছে চলে গেলাম।
আমি- এই শুনো,নিশ্চুপ কোনো কথা নেই তিশার মাথা নিচের দিকে করে রেখেছে।
আমি- এই শুনো কি হয়েছে... তখন। তিশা আমার দিকে তাকালো আরে একি মেয়েটা কাদছে কেনো?
আমি- এই তুমি কাদছো কেনো?
তিশা- ইচ্ছা হয়েছে তাই কাদছি,,তোর কোনো সমস্যা আছে??
আমি- এই তুমি আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেনো?
আমি কি কোনো দোষ করেছি?
তিশা- নাহ তুই কেনো দোষ করতে যাবি? দোষ তো করেছি আমি,, আমি তো চরিত্রহীনা একটা মেয়ে।
আমি- তুমি এই ভাবে কথা বলছো কেনো শুনি আমি তো তখন মজা করেছি তোমার সাথে।
তিশা- ভালো করেছিস আমি আর কিছু না ভেবে তিশার পাশে বসে পড়লাম।
তিশা- একি তুই আমার সাথে এইভাবে বসছিস কেনো?
আমি- প্লিজ তুমি আমাকে মাফ করে দাও।আমরা তো একটু মজা করতে চেয়েছিলাম,,কিন্তু বিশ্বাস করো আমি জানতাম না তুমি এতোটা কষ্ট পাবে।আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ,।
তিশা- নাহ তোর কোনো মাফ নেই,,,,
আমি- প্লিজ আমাকে মাফ করে দাওনা,,আমি তো একটা পিচ্চু ছেলে কেও যদি এই পিচ্চুর উপর রাগ করে থাকে পিচ্চুর কষ্ট হয়তো প্লিজ মাফ করো আমায়।
তিশা- আয়ছে আমার পিচ্চু,, আচ্ছা পিচ্চু তুই কি ফিডার খাস?
আমি- হ্যা খায় তোহ...
তিশা এরপর আমার কথা শুনে হেসে দিলো আর বললো এই ছেলে বলে কি সে নাকি পিচ্চু আবার এই বয়সেও নাকি ফিডার খায় হা হা হা
পিচ্চু হলেও খুব পাজি খুব দুষ্টু যেমন রাগাতে পারে তেমন রাগ ভাঙাতেও পারে।
আমি- এই বার এই পিচ্চু কে মাফ করে দেওয়া যায় না।
তিশা- হ্যা যায় তবে একটা শর্তে আমি রাজি,,কি শর্ত বলো।
তিশা- আমার না কোন বেষ্ট ফ্রেন্ড নাি তুমি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড হবা?
আমি- কিন্তু আমার তো মেয়েদের সাথে মিশতে কেমন জানি লাগে,আমি পারবো না।
তিশা- তাহলে তোমাকে মাফও করবো না।
আমি- কিন্তু কেনো?
তিশা- আমার ফ্রেন্ড হবা না তাই মাফ করবো না কোনো দিন।
তখন পেছন থেকে রবি আর নাজমুল বললো শালা একটা মেয়ে ফ্রেন্ড বানালে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।
বানিয়ে ফেল মেয়েটা যখন এতো করে বলছে।
আমি- তাহলে তোরা বলছিস বানাতে।
হ্যা বানিয়ে ফেল মেয়েটা একটু রাগি আর দুষ্টু হলেও অনেক ভালো।বানিয়ে ফেল আমাদেরো একটা বন্ধু বারুক আমরা আমি আর কি বলবো বন্ধু রা তো আর খারাপ চাইবে না।তাি আমি তিশাকে বললাম আমি তোমার শর্তে রাজি।তুমি যা চাইবে তাই হবে।
তিশা- তাহলে মিলাও হাত।
তারপর আমি আর নুসরাত ফ্রেন্ড হয়ে গেলাম।
তারপর থেকে একসাথে আড্ডা দেওয়া।একসাথে ঘুরে বেড়ানো অনেক কিছু।
একদিন আমি ম্যাম এর একটা ক্লাস মিস করি কিন্তু ক্লাসটি অনেক গুরুতপূর্ন ছিলো।
আমি ম্যামকে বললাম ম্যাম আমি তো ক্লাস মিস করে ফেলেছি যদি আপনও একটু সাহায্য করতেন।
ম্যাম- আচ্ছা তুমি বিকেলে আমার বাসায় চলে এসো আমি তোমাকে বুঝিয়ে দিবো।
আমি ম্যামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাসায় গেলাম বাসা থেকে খেশে দেয়ে বিকালে একটু পরিপাটি হয়ে বের হলাম।শুনেছু ম্যামের বাসায় নাকি কোন এক মেয়ে এসেছে তাি একটু পরিপাটি হয়ে গেলাম।
অচেনা কারো সামনে কি আগোছালো ভাবে যাওয়া যায়।তাই নিজেকে একটু পরিপাটি করে নিলাম বিকালে ম্যামের বাসায় গিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে কলিং বেল চাপতে তিশা এসে দরজা খুলো দিলো।
আমি- কিরে তুইও কি আমার মত ক্লাস মিস করছিস নাকি??
তিশা কোনো কথা না বলে আমাকে বললো আসো তুমি ভিতরে আসো তারপর বলছি।
আমি কিছু না ভেবেই ব্যাপারটা সাভাবিক বাবে নিলাম।তিশাতো মনে হয় বুঝতে এসেছে কিন্তু আমাকে বললো না কেনো,,হ্যা তিশাকে তো বলা হয়নি আমি আসবো,,
বাসার ভেতর প্রবেশ করার পর তিশা আমাকে বললো তুমি একটু বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি....
আমি- আরে এটা কি তোমার নিজের বাসা নাকি যে তুমি খাবার আনতে যাবে?
তিশা- হ্যা এটা তো আমারি বাসা!!!!!!!!
আমি- দেখ সব সময় মজা করবি নাহ... তার থেকে বালো এখানে এসে বসে পরো ম্যাম এখনি চলে আসবে।
তিশা- তুমি চুপচাপ বসে থাকো আমি খাবার নিয়ে আসছি।এই বলে তিশা চলে গেলো।
এই মেয়ের মাতায় গন্ডগোল আছে,, তা না হলে ম্যামের বাসায় এসে কেও এমন করে।আমি বসে আছি তখন ম্যাম আসলো আমি ম্যামকে সালাম দিলাম।তার কিছুক্ষন পর তিশা চলে এলো।
তিশা সেগুলো ম্যাম আর আমার সামনে দিলো।নিজেও কিছু নিলো। কেমন মেয়েরে বাবা লজ্জা নেই ম্যামের সামনে এমন করছে।
আমি কিছু বলছি না আমার নিজেরি লজ্জা লাগছে।
ম্যাম আমাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে বললো কি ব্যাপার কাদের ওমন চুপ করে বসে আছো কেনো?
আমি- নাহ ম্যাম কিছু না...
ম্যাম - বুঝতে পেরেছি.. তুমি অবাক হচ্চো তিশাকে আমার বাসায় দেখে আসলে তিশা আমমার নিজের মেয়ে এতো দিন ওর নানা বাসায় থেকে পড়ালেখা করেছে।
কিন্তু আমি নিয়ে আসলাম একমাত্র মেয়ে এতেদূরে থাকে ভালো লাগে না।
আর তোমার মনে পশ্ন জাগতে পারে আমি কেনো কলেজের সবাইকে বলেনি তিশা আমার মেয়ে,আসলে তিশা নিজেি আমাকে বলেছিলো এই কথাটি গোপন করতে তাই আমি বলিনি।
আমি তো তিশার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।
এতো দিন একসাথে থাকলাম আর এই ব্যাপার বুঝতে পারলাম নাহ।আর কিভাবে বুজবো মেয়েটা তো কলেজে ম্যামের সাঢে তেমন কথা বলেনা।থাক এতো কিছু ভেবে কাজ নেই যা বুঝতে এসেছি তাই বুঝে বাসায় চলে যায়.....
*
,
,
,
পর্ব-৪
*
:-- পরে তিশার কাছে সব জিজ্ঞাস করে নিবো।
ম্যাম আমাকে পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছে সাথে তিশাও ছিলো ম্যাম তিশাকে সাথে বসে বুঝতে বলছে। তিশা একদম আমার গা ঘেষে বসেছে। ম্যাম পড়া বুঝাচছিলো আর তিশা আমাকে খুচা দিচ্ছিলো ইচ্ছা করছিল একটা থাপ্পড় মারি।কিন্তু নাহ সেটা করা যাবে না।
এখন আমি তার বাসাতেই বসে আছি। আর যদি তাকে এখন মারি তবে তার মা কি আমাকে ছেড়ে দিবে?? কোনো রকম পড়া শেষ করে বাসায় আসলাম।আম্মুকে বলে গিয়েছিলাম যে ফিরতে রাত হতে পারে তাই আম্মু আর কিছু বললো না।
আমি গিয়ে ফ্রেস হয়ে এসে খেতে বসলাম, ম্যামের বাসায় খাবার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিলো।কিন্তু লজ্জা লাগছিলো ম্যামের বাসায় খেতে তাই আমি বলেছিলাম আমার একটু তাড়া আছে অন্য একদিন খেয়ে নিবো এই কথা বলে সেখান থেকে এসেছি খেয়ে দেয়ে রুমে এসে দিলাম এক মহা ঘুম এক ঘুমে রাত পার।
পরদিন সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙলো,আমি উঠে ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে কলেজে গেলাম যাবার পর দেখি তিশা বসে আছে।আর হ্যা তিশার তেমন কোনো ফ্রেন্ড নেই।
আমি তিশার কাছে গিয়ে বসলাম।
তিশা- তাহলে আপনার এতক্ষনে আসার সময় হলো মহারাজ??
আমি- সেই সব পরে হবে,তার আগে বল তুমি আমাকে বললে না কেনো তুমি ম্যামের মেয়ে??
তিশা- কেনো সেটা বললে কি তুমি আমার সাথে ফ্রেন্ড শিপ করতা না??
আমি- সেটা বলতে চাচ্ছি না,, তুমি সবার কাছে থেকে তোমার আসল পরিচয় কেনো লুকিয়েছো??
তিশা- আসলে পরিচয় দিয়ে দিলে সবাই অন্য চোখে দেখবে যেটা আমার একদম ভালো লাগে না। তাই আমি আম্মুকে বলেছি আমার আসল পরিচয় যেনো সবার সামনে না আনে...
আমি- ওহহ আচ্ছা এখন তো আমি আর তোমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবো না।তুমি ম্যামের মেয়ে।
তিশা- কি বললি তুই কুত্তা তোর এতো বড় সাহস তুই আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবি না তাই না আজকে দেখাচ্ছি।
আমি- এইউ কি করছো ব্যাথা লাগছে তো।
তিশা-- লাগলে লাগুক তাতে আমার কি?? তুই আর বলবি আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবি না।
আমি- না আর কোনো দিন বলবো না তিশা এরপর আমাকে ছেড়ে দিলো আমি তো বেচে গেলাম।বুজলাম নাহ আমার সাথে কেন এমন করলো আমি ছেড়ে গেলে তিশার তো কিছু যায় আসে না।
তিশা- অই কাদের শুনো?
আমি- হ্যা বলো।
তিশা- চলো না একটু ঘুটে আসি?
আমি- কোথায় যাবে।
তিশা- নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসলে কেমন হয়?
আমি- হ্যা অনেক ভালো হয়।
একই ভাবে চলতে লাগলো আমাদের দিন গুলো খুব হাসি খুশি আড্ডা ঘুরে বেড়ানো আরো কত কি।তিশা সব সময় আমার পাশে পাশে থাকতো।কেনো জানিনা তিশা যখন আমার পাশে থাকতো আমার খুব ভালো লাগতো,আর যদি তিশার সাথে আমার কথা না হতো বা দেখা না হত সেই দিনটা খারাপ যেত।
আমি সব সময় তিশার একটু কথা শুনবার জন্য একটু দেখা পাবার জন্য পাগল থাকতাম।
আমার মনে তিশার জন্য অন্য রকম একটি জায়গা সৃস্টি হয়েছে।আমি তিশাকে ভালোবেসে ফেলেছি।জানিনা তিশা আমাকে ভালোবাসবে কিনা।কিন্তু আমি তিশাকে খুব ভালোবাসি।
অন্য দিকে তিশা আমার একটু বেশি কেয়ার নিতো।অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলা একদম সহ্য করতে পারতো না।
যেদিন দেখতো আমি অন্য মেয়ের সাথে কথা বলছি সেদিন আমাকে ইচ্ছা মতো কিল ঘুষি দিতো।এই নিয়ে আমি কখনো কোনো কথা বলিনি।
একদিন একটা মেয়ের সাথে কথা বলছি মানে মেয়েটা ক্লাস মিস করেছে আর সেই জন্য আমার কাছ থেকে নোট চাচ্ছে এই নিয়ে কথা বলছিলাম এরি মাঝে কোথা থেকে যেনো ডাইনি চলে আসলো এসেই আমাকে কান ধরে ক্যাম্পাসের একটা ফাকা জায়গাই নিয়ে গেলো তারপরঃ
তিশা- অই মেয়ের সাথে এতো কিসের কথা তোর হ্যা?
আমি- না এমনি বলছিলাম,,কেনো কি হয়েছে তাতে??
তিশা- কি হয়েছে না হয়েছে তা জানিনা,,
তবে তুই অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবি না।
আমি- কেনো বললে কি হবে শুনি???
তিশা- আমি বলছি তুই অন্য কারো সাথে কথা বলবি না,, মানে বলবি না,এতো প্যাকর প্যাকর করার কি আছে।
আমি- তুমি কে হও আমার যে তুমি কথা বলতে না করবে আর আমি কথা বলবো না।
তিশা- কি বললি তুই আমি তোর কেউ না?( চোখের কোনে পানি লক্ষ্য করলাম)
আমি- হ্যা সত্যি তুমি আমার কেউ হও না তো।
তিশা- তুই কি বুঝিস না??
আমি- কি বুঝবো হা?
তিশা- থাক তোকে আর বুঝতে হবে না।( কান্না করেি দিলো)
আমি- এই তুমি কান্না করছো কেন?
তিশা- ইচ্ছা হয়েছে তাই কান্না করছি!!
আমি আর কখনো তোর কোনো বিষয়ে কথা বলবো না।
এই কথা শুনার পর আমার নিজেরই কেমন জানি লাগলো মনে হলো কারো শাসন হারিয়ে ফেলবো।এরপর তিশা আর কোনো কথা বলেনি।চুপচাপ চলে গেছিলো আমি পেছন থেকে অনেক ডেকেছিলাম। কিন্তু তিশা আমার কোনো কথা শুনেনি।চলেই গেছিলো তারপর থেকে দুইদিন তিশার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।
এই দুইদিনে খুব মিস করছি তিশাকে অনেকবার কল করেছি কিন্তু তিশা রিসিভ করেনাই।ভেবেছিলাম একবার তাদের বাসায় যাবো কিন্তু কোন মুখে যাবো আমি তাই আর যাওয়া হয়নি এই দুদিনে বুঝতে পেরেছি তিশা আমার কতটা জুড়ে আছে।খুব মিস করি তিশার কথা গুলো তার শাসন গুলো,কিছুই ভালো লাগছে না।
কিভাবে যে তিশার সাথে একটু কথা বলবো দেখা করবো সেটাই ভেবে পাচ্চি না ভেবেছি এবার দেখা হলে আমার ভালবাসার কথা বলে দিবো।
তিশা আগে কলেজে আসুক তারপর আমি আমার ভালবাসার কথা তিশাকে বলে দিবো।ভালোবাসা গোপন করে রাখতে নাই।গোপন করে রাখলে ভালোবাসা হারিয়ে যায়।
কিছুদিন পর তিশা কলেজে এলো আমি সাথে সাথে তিশার কাছে গিয়ে....
*
:-- পরে তিশার কাছে সব জিজ্ঞাস করে নিবো।
ম্যাম আমাকে পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছে সাথে তিশাও ছিলো ম্যাম তিশাকে সাথে বসে বুঝতে বলছে। তিশা একদম আমার গা ঘেষে বসেছে। ম্যাম পড়া বুঝাচছিলো আর তিশা আমাকে খুচা দিচ্ছিলো ইচ্ছা করছিল একটা থাপ্পড় মারি।কিন্তু নাহ সেটা করা যাবে না।
এখন আমি তার বাসাতেই বসে আছি। আর যদি তাকে এখন মারি তবে তার মা কি আমাকে ছেড়ে দিবে?? কোনো রকম পড়া শেষ করে বাসায় আসলাম।আম্মুকে বলে গিয়েছিলাম যে ফিরতে রাত হতে পারে তাই আম্মু আর কিছু বললো না।
আমি গিয়ে ফ্রেস হয়ে এসে খেতে বসলাম, ম্যামের বাসায় খাবার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিলো।কিন্তু লজ্জা লাগছিলো ম্যামের বাসায় খেতে তাই আমি বলেছিলাম আমার একটু তাড়া আছে অন্য একদিন খেয়ে নিবো এই কথা বলে সেখান থেকে এসেছি খেয়ে দেয়ে রুমে এসে দিলাম এক মহা ঘুম এক ঘুমে রাত পার।
পরদিন সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙলো,আমি উঠে ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে কলেজে গেলাম যাবার পর দেখি তিশা বসে আছে।আর হ্যা তিশার তেমন কোনো ফ্রেন্ড নেই।
আমি তিশার কাছে গিয়ে বসলাম।
তিশা- তাহলে আপনার এতক্ষনে আসার সময় হলো মহারাজ??
আমি- সেই সব পরে হবে,তার আগে বল তুমি আমাকে বললে না কেনো তুমি ম্যামের মেয়ে??
তিশা- কেনো সেটা বললে কি তুমি আমার সাথে ফ্রেন্ড শিপ করতা না??
আমি- সেটা বলতে চাচ্ছি না,, তুমি সবার কাছে থেকে তোমার আসল পরিচয় কেনো লুকিয়েছো??
তিশা- আসলে পরিচয় দিয়ে দিলে সবাই অন্য চোখে দেখবে যেটা আমার একদম ভালো লাগে না। তাই আমি আম্মুকে বলেছি আমার আসল পরিচয় যেনো সবার সামনে না আনে...
আমি- ওহহ আচ্ছা এখন তো আমি আর তোমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবো না।তুমি ম্যামের মেয়ে।
তিশা- কি বললি তুই কুত্তা তোর এতো বড় সাহস তুই আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবি না তাই না আজকে দেখাচ্ছি।
আমি- এইউ কি করছো ব্যাথা লাগছে তো।
তিশা-- লাগলে লাগুক তাতে আমার কি?? তুই আর বলবি আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখবি না।
আমি- না আর কোনো দিন বলবো না তিশা এরপর আমাকে ছেড়ে দিলো আমি তো বেচে গেলাম।বুজলাম নাহ আমার সাথে কেন এমন করলো আমি ছেড়ে গেলে তিশার তো কিছু যায় আসে না।
তিশা- অই কাদের শুনো?
আমি- হ্যা বলো।
তিশা- চলো না একটু ঘুটে আসি?
আমি- কোথায় যাবে।
তিশা- নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসলে কেমন হয়?
আমি- হ্যা অনেক ভালো হয়।
একই ভাবে চলতে লাগলো আমাদের দিন গুলো খুব হাসি খুশি আড্ডা ঘুরে বেড়ানো আরো কত কি।তিশা সব সময় আমার পাশে পাশে থাকতো।কেনো জানিনা তিশা যখন আমার পাশে থাকতো আমার খুব ভালো লাগতো,আর যদি তিশার সাথে আমার কথা না হতো বা দেখা না হত সেই দিনটা খারাপ যেত।
আমি সব সময় তিশার একটু কথা শুনবার জন্য একটু দেখা পাবার জন্য পাগল থাকতাম।
আমার মনে তিশার জন্য অন্য রকম একটি জায়গা সৃস্টি হয়েছে।আমি তিশাকে ভালোবেসে ফেলেছি।জানিনা তিশা আমাকে ভালোবাসবে কিনা।কিন্তু আমি তিশাকে খুব ভালোবাসি।
অন্য দিকে তিশা আমার একটু বেশি কেয়ার নিতো।অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলা একদম সহ্য করতে পারতো না।
যেদিন দেখতো আমি অন্য মেয়ের সাথে কথা বলছি সেদিন আমাকে ইচ্ছা মতো কিল ঘুষি দিতো।এই নিয়ে আমি কখনো কোনো কথা বলিনি।
একদিন একটা মেয়ের সাথে কথা বলছি মানে মেয়েটা ক্লাস মিস করেছে আর সেই জন্য আমার কাছ থেকে নোট চাচ্ছে এই নিয়ে কথা বলছিলাম এরি মাঝে কোথা থেকে যেনো ডাইনি চলে আসলো এসেই আমাকে কান ধরে ক্যাম্পাসের একটা ফাকা জায়গাই নিয়ে গেলো তারপরঃ
তিশা- অই মেয়ের সাথে এতো কিসের কথা তোর হ্যা?
আমি- না এমনি বলছিলাম,,কেনো কি হয়েছে তাতে??
তিশা- কি হয়েছে না হয়েছে তা জানিনা,,
তবে তুই অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবি না।
আমি- কেনো বললে কি হবে শুনি???
তিশা- আমি বলছি তুই অন্য কারো সাথে কথা বলবি না,, মানে বলবি না,এতো প্যাকর প্যাকর করার কি আছে।
আমি- তুমি কে হও আমার যে তুমি কথা বলতে না করবে আর আমি কথা বলবো না।
তিশা- কি বললি তুই আমি তোর কেউ না?( চোখের কোনে পানি লক্ষ্য করলাম)
আমি- হ্যা সত্যি তুমি আমার কেউ হও না তো।
তিশা- তুই কি বুঝিস না??
আমি- কি বুঝবো হা?
তিশা- থাক তোকে আর বুঝতে হবে না।( কান্না করেি দিলো)
আমি- এই তুমি কান্না করছো কেন?
তিশা- ইচ্ছা হয়েছে তাই কান্না করছি!!
আমি আর কখনো তোর কোনো বিষয়ে কথা বলবো না।
এই কথা শুনার পর আমার নিজেরই কেমন জানি লাগলো মনে হলো কারো শাসন হারিয়ে ফেলবো।এরপর তিশা আর কোনো কথা বলেনি।চুপচাপ চলে গেছিলো আমি পেছন থেকে অনেক ডেকেছিলাম। কিন্তু তিশা আমার কোনো কথা শুনেনি।চলেই গেছিলো তারপর থেকে দুইদিন তিশার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।
এই দুইদিনে খুব মিস করছি তিশাকে অনেকবার কল করেছি কিন্তু তিশা রিসিভ করেনাই।ভেবেছিলাম একবার তাদের বাসায় যাবো কিন্তু কোন মুখে যাবো আমি তাই আর যাওয়া হয়নি এই দুদিনে বুঝতে পেরেছি তিশা আমার কতটা জুড়ে আছে।খুব মিস করি তিশার কথা গুলো তার শাসন গুলো,কিছুই ভালো লাগছে না।
কিভাবে যে তিশার সাথে একটু কথা বলবো দেখা করবো সেটাই ভেবে পাচ্চি না ভেবেছি এবার দেখা হলে আমার ভালবাসার কথা বলে দিবো।
তিশা আগে কলেজে আসুক তারপর আমি আমার ভালবাসার কথা তিশাকে বলে দিবো।ভালোবাসা গোপন করে রাখতে নাই।গোপন করে রাখলে ভালোবাসা হারিয়ে যায়।
কিছুদিন পর তিশা কলেজে এলো আমি সাথে সাথে তিশার কাছে গিয়ে....
,
,
,
পর্ব-৫
*
--আমি: কি ব্যাপার এতে দিন কই ছিলে কোনো খোজ খবর ছিলো নাহ??
তিশা- আর বলো নাহ আমি খুব অসুস্থ ছিলাম তাই এই কইদিন আসতে পারি নাই।
আমি- তাহলে তোমার ফোন অফ ছিলো কেনো??
তিশা- ফোনে কি যেনো সমস্যা হয়েছে অন হচ্ছে না...
আমি- তাহলে তোমার আম্মুর নাম্বার দিয়ে আমাকে ফোন করে জানিয়ে দিতে।
তিশা- আমি কি তোমার নাম্বার মুখস্ত করে রেখেছি নাকি,,তোমার নাম্বার তো আমার ফোন সেইভ করা।
আমি- এখন সুস্ত আছো তো?
তিশা- হ্যা ভালো আছি তুমি কেমন আছো??
আমি- কোনো রকম আছি আর কি...
তিশা- কোনো রকম মানে কি হয়েছে তোমার বলো আমায় প্লিজ বলো।
আমি- কিছু হয়নি,,
তিশা- কিছু একটা হয়েছে তোমাকে দেখেও মনে হচ্চে তোমার মধ্যে কিছু একটা চলছে।
আমি- সত্যি আমার কিছু হয়নি।
কিন্তু কোনো একজনকে খুব মিস করছিলাম।
তিশা* কাকে শুনি( কিছুটা অবাক হয়ে)
আমি- যাকে ভালোবাসি তাকে আমার কথা শুনে...
তিশা- ওই ফাজিল হারমজাদা বিলাই কুত্তা একদম মেরে ফেলে দিবো ভালোবাসার কথা বললে।
আমি- কেনো শুনি..
তিশা- কারন আছে তুই তো পিচ্চু তাই তুই জানিস না।আগে বড় হবি তারপর বলবো।
আমি- আমি বড় হয়ে গেছি এখন বলো প্লিজ।
তিশা- না বলবো নাহ।
আমি- আচ্ছা না বললে আমি কিছু কথা বলতে চাউ জানিনা তুমি কথা গুলো কিভাবে নিবে কিন্তু কথা গুলো বলা দরকার তাই বলবো।
তিশা- হ্যা বল কি বলবি।তবে যদি অন্য কোনো মেয়েকে নিয়ে কোনো কথা বলিস তবে তোর খবর আছে.... এই বলে দিলাম।
আমি- আমি ভালোবাসি...
তিশা- কাকে...
আমি- যে আমার সাথে কথা বলছে তাকে....
তিশা-- আমি ছাড়া তো এখন আর অন্য কেও কথা বলছে না।
আমি- আমি অন্য কারোর কথা বলছি নাহ।
আমি তোমাকেই ভালোবাসি অনেক বেশি ভালোবাসি।
তিশা* কি বললি তুই ,তুই আমার সাথে এমনটা করতে পারলি।
আমি- কি করেছি তোর সাথে হুম?
তিশা- তুই আমাকে ভুলে যা।আমি তোকে ভালোবাসতে পারবো না।
আমি- কিন্তু আমি তো তোকে খুব বেশি ভালোবাসিরে,,খুব একা লাগে তোকে ছাড়া থাকবো কিভাবে।
তিশা- আমি সেটা জানিনা ভালাোবাসতে পারবো না আমি।
আমি- তাহলে আমাকে ভালোবাসবি না??
তিশা- না..
এরপর আমি মাথানিচু করে চলে যেতে লাগলাম কিভবে দাড়াবো তিশার সামনে?
তাই মাথা নিচু করে চলে যাচ্ছি পেছন থেকে কে জেনো হাত টেনে ধরছে।তাকিয়ে দেখি তিশা আমার হাত ধরে রেখেছে।কি ব্যাপার আমার হাত ধরেছিস কেনো??
তিশা- তুই গাধা তাই তুই বুঝবি না।
কিন্তু আমার এখন কিছু একটা চাই বল দিবি।
আমি- হ্যা বল কি চাস?
তিশা- আমাকে প্রপোজ কর...
আমি- I love you tirsha....
তিশা-- গাধা এউ ভাবে না অন্যভাবে,,
আমি- কিভাবে করবো আমি তো অন্যভাবে পারি না।
তিশা- প্লিজ একটু চেষ্টা কর এরপর।
আমি- এই মেয়ে শুনো আমার মেয়ের আম্মু হবে, মানে অনুর আম্মু হবে,
আমার ঘরের ঘরনি হবে।
তিশা- এটা কেমন প্রপোজ .. যাই ভালো হয়েছে।
তবে অনু কে??
আমি- আরে বিয়ের পর আমাদের যে মেয়ে হবে তার নাম রাখবো অনু,
তিশা- বাহ বাহ এতদূর ভাবা হয়ে গেছে,
হ্যা আমি অনুর আম্মু হতে রাজি,,
আমি- তাহলে চলো বিয়ে করবো।
তিশা- নাহ এখন না,আগে এক্সাম দিবো তারপর।
আমি- তাহলে চলো এখন ঘুরে বেড়াবো।
তিশা- না এখন ক্লাসে যাবো ক্লাস করবো।
আমি- কিন্তু আমার তো তোমার সাথে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে।
তিশা- খুব ইচ্ছা করছে বুঝি??
আমি- হ্যা অনেক ইচ্ছে করছে..
তিশা- তাহলে চলো ঘুরে আসি
আমি- হ্যা জানু চলো।( খুশিতে লুঙ্গী ড্যান্স দিবো)
তিশা আর আমি একটা রিকশা নিয়ে বের হলাম।
রিকশাতে আমি তিশার থেকে একটু দূরত্ব বসছিলাম।আমার কেমন জানি লাগছিলো তিশার দিকে তাকাতেও পারছিলাম না।কিন্তু অন্য রকম একটা প্রশান্তি কাজ করছে মনের মাঝে।আমি আর তিশা একটা নদীর ধারে এসে নামলাম।
আমি আর আমার হারামি ফ্রেন্ড গুলা মাঝে মাঝে এখানে আসতাম।এই প্রথম কোনো মেয়ের সাথে ঘুরতে আসলাম।আমি আর তিশা একটা জায়গাই গিয়ে বসলাম তবে আমি তিশার থেকে একটু দূরে বসলাম।
তিশা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো আমি দূরে বসছি কেনো??
আমি- এমনি..
তিশা- একটু কাসে এসে বসো না প্লিজ।
আমি- আমার কেমন জানি লাগে?
তিশা- অই ফাজিল কেমন লাগে মানে,
এক্কেবারে মেরে ফেলবো কাছে আয় বলছি।
আমি- কিন্তু, আর কিছু বলতে পারলাম নাহ তিশা টান দিয়ে আমাকে তার কছে নিয়ে গেলো।
তারপর বললো তোমার কি কিছু ইচ্ছা করছে না।
আমি- কি ইচ্ছা করবে?
তিশা- কেনো কিছুই ইচ্ছা করছে নাহ?
আমি- না তো।
তিশা- হায় আল্লাহ এ তুমি আমাকে কেমন ছেলের সাথে পাঠালে তার নাকি কিছু করতেই ইচ্ছা করে না।কিন্তু আমার ইচ্ছা করছে।
আমি- কি ইচ্ছা করছে বলো?
তিশা- তুমি আমার কোলে মাথা রাখবে আর আমি আদর করে দিবো।জানো আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আমি অনেক আগে থেকেই তেমাকে ভালোবাসি।
আমি- তাহলে বললে না
কেনো?
তুশা- তুমি জানো না মেয়েদের বুক ফাটে তবু মুখ ফুটে নাহ।
*
--আমি: কি ব্যাপার এতে দিন কই ছিলে কোনো খোজ খবর ছিলো নাহ??
তিশা- আর বলো নাহ আমি খুব অসুস্থ ছিলাম তাই এই কইদিন আসতে পারি নাই।
আমি- তাহলে তোমার ফোন অফ ছিলো কেনো??
তিশা- ফোনে কি যেনো সমস্যা হয়েছে অন হচ্ছে না...
আমি- তাহলে তোমার আম্মুর নাম্বার দিয়ে আমাকে ফোন করে জানিয়ে দিতে।
তিশা- আমি কি তোমার নাম্বার মুখস্ত করে রেখেছি নাকি,,তোমার নাম্বার তো আমার ফোন সেইভ করা।
আমি- এখন সুস্ত আছো তো?
তিশা- হ্যা ভালো আছি তুমি কেমন আছো??
আমি- কোনো রকম আছি আর কি...
তিশা- কোনো রকম মানে কি হয়েছে তোমার বলো আমায় প্লিজ বলো।
আমি- কিছু হয়নি,,
তিশা- কিছু একটা হয়েছে তোমাকে দেখেও মনে হচ্চে তোমার মধ্যে কিছু একটা চলছে।
আমি- সত্যি আমার কিছু হয়নি।
কিন্তু কোনো একজনকে খুব মিস করছিলাম।
তিশা* কাকে শুনি( কিছুটা অবাক হয়ে)
আমি- যাকে ভালোবাসি তাকে আমার কথা শুনে...
তিশা- ওই ফাজিল হারমজাদা বিলাই কুত্তা একদম মেরে ফেলে দিবো ভালোবাসার কথা বললে।
আমি- কেনো শুনি..
তিশা- কারন আছে তুই তো পিচ্চু তাই তুই জানিস না।আগে বড় হবি তারপর বলবো।
আমি- আমি বড় হয়ে গেছি এখন বলো প্লিজ।
তিশা- না বলবো নাহ।
আমি- আচ্ছা না বললে আমি কিছু কথা বলতে চাউ জানিনা তুমি কথা গুলো কিভাবে নিবে কিন্তু কথা গুলো বলা দরকার তাই বলবো।
তিশা- হ্যা বল কি বলবি।তবে যদি অন্য কোনো মেয়েকে নিয়ে কোনো কথা বলিস তবে তোর খবর আছে.... এই বলে দিলাম।
আমি- আমি ভালোবাসি...
তিশা- কাকে...
আমি- যে আমার সাথে কথা বলছে তাকে....
তিশা-- আমি ছাড়া তো এখন আর অন্য কেও কথা বলছে না।
আমি- আমি অন্য কারোর কথা বলছি নাহ।
আমি তোমাকেই ভালোবাসি অনেক বেশি ভালোবাসি।
তিশা* কি বললি তুই ,তুই আমার সাথে এমনটা করতে পারলি।
আমি- কি করেছি তোর সাথে হুম?
তিশা- তুই আমাকে ভুলে যা।আমি তোকে ভালোবাসতে পারবো না।
আমি- কিন্তু আমি তো তোকে খুব বেশি ভালোবাসিরে,,খুব একা লাগে তোকে ছাড়া থাকবো কিভাবে।
তিশা- আমি সেটা জানিনা ভালাোবাসতে পারবো না আমি।
আমি- তাহলে আমাকে ভালোবাসবি না??
তিশা- না..
এরপর আমি মাথানিচু করে চলে যেতে লাগলাম কিভবে দাড়াবো তিশার সামনে?
তাই মাথা নিচু করে চলে যাচ্ছি পেছন থেকে কে জেনো হাত টেনে ধরছে।তাকিয়ে দেখি তিশা আমার হাত ধরে রেখেছে।কি ব্যাপার আমার হাত ধরেছিস কেনো??
তিশা- তুই গাধা তাই তুই বুঝবি না।
কিন্তু আমার এখন কিছু একটা চাই বল দিবি।
আমি- হ্যা বল কি চাস?
তিশা- আমাকে প্রপোজ কর...
আমি- I love you tirsha....
তিশা-- গাধা এউ ভাবে না অন্যভাবে,,
আমি- কিভাবে করবো আমি তো অন্যভাবে পারি না।
তিশা- প্লিজ একটু চেষ্টা কর এরপর।
আমি- এই মেয়ে শুনো আমার মেয়ের আম্মু হবে, মানে অনুর আম্মু হবে,
আমার ঘরের ঘরনি হবে।
তিশা- এটা কেমন প্রপোজ .. যাই ভালো হয়েছে।
তবে অনু কে??
আমি- আরে বিয়ের পর আমাদের যে মেয়ে হবে তার নাম রাখবো অনু,
তিশা- বাহ বাহ এতদূর ভাবা হয়ে গেছে,
হ্যা আমি অনুর আম্মু হতে রাজি,,
আমি- তাহলে চলো বিয়ে করবো।
তিশা- নাহ এখন না,আগে এক্সাম দিবো তারপর।
আমি- তাহলে চলো এখন ঘুরে বেড়াবো।
তিশা- না এখন ক্লাসে যাবো ক্লাস করবো।
আমি- কিন্তু আমার তো তোমার সাথে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে।
তিশা- খুব ইচ্ছা করছে বুঝি??
আমি- হ্যা অনেক ইচ্ছে করছে..
তিশা- তাহলে চলো ঘুরে আসি
আমি- হ্যা জানু চলো।( খুশিতে লুঙ্গী ড্যান্স দিবো)
তিশা আর আমি একটা রিকশা নিয়ে বের হলাম।
রিকশাতে আমি তিশার থেকে একটু দূরত্ব বসছিলাম।আমার কেমন জানি লাগছিলো তিশার দিকে তাকাতেও পারছিলাম না।কিন্তু অন্য রকম একটা প্রশান্তি কাজ করছে মনের মাঝে।আমি আর তিশা একটা নদীর ধারে এসে নামলাম।
আমি আর আমার হারামি ফ্রেন্ড গুলা মাঝে মাঝে এখানে আসতাম।এই প্রথম কোনো মেয়ের সাথে ঘুরতে আসলাম।আমি আর তিশা একটা জায়গাই গিয়ে বসলাম তবে আমি তিশার থেকে একটু দূরে বসলাম।
তিশা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো আমি দূরে বসছি কেনো??
আমি- এমনি..
তিশা- একটু কাসে এসে বসো না প্লিজ।
আমি- আমার কেমন জানি লাগে?
তিশা- অই ফাজিল কেমন লাগে মানে,
এক্কেবারে মেরে ফেলবো কাছে আয় বলছি।
আমি- কিন্তু, আর কিছু বলতে পারলাম নাহ তিশা টান দিয়ে আমাকে তার কছে নিয়ে গেলো।
তারপর বললো তোমার কি কিছু ইচ্ছা করছে না।
আমি- কি ইচ্ছা করবে?
তিশা- কেনো কিছুই ইচ্ছা করছে নাহ?
আমি- না তো।
তিশা- হায় আল্লাহ এ তুমি আমাকে কেমন ছেলের সাথে পাঠালে তার নাকি কিছু করতেই ইচ্ছা করে না।কিন্তু আমার ইচ্ছা করছে।
আমি- কি ইচ্ছা করছে বলো?
তিশা- তুমি আমার কোলে মাথা রাখবে আর আমি আদর করে দিবো।জানো আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আমি অনেক আগে থেকেই তেমাকে ভালোবাসি।
আমি- তাহলে বললে না
কেনো?
তুশা- তুমি জানো না মেয়েদের বুক ফাটে তবু মুখ ফুটে নাহ।
,
,
,
পর্ব-৬
*
:আমি- ধরো যদি আমি কোনো দিন তোমাকে ভালোবাসার কথা না বলতাম তাহলে কি হতো।
তিশা- কি আর হতো আমি তোমার আব্বু আম্মু কাছে গিয়ে বলতাম আপনার ছেলে আমাকে ভালোবাসে,, কিন্তু আপনাদের ভয়ে আমাকে বিয়ে করছে না।আর যদি কাদের আমাকে বিয়ে না করে আমি মরেই যাবো,এই কথা বলতাম। বাবারে এই মেয়ে তো বারোটা বাজাবে।।
আমি- যদি আমি রাজি না থাকতাম তাহলে কি হতো।
তিশা- তুউ রাজি না থাকলে তোকে জোর করে ধরে বিয়ে করতাম,তুই শুধু আমার আর আমি তোর অন্য কারো দিকে নজর দিবি তো তোর খবর আছে।
আমি- কি করবা গো অন্য কারো দিকে নজর দিলে?
তিশা- কিস করমু জানু সোনা।
আমি- আচ্ছা অই দেখো একটা মেয়ে বসে আছে,আর আমি মেয়েটাকে দেখছি আহা কত সুন্দর দেখতে মন জুড়িয়ে গেলো।
তিশা- অই এটা কি হচ্চে হুম একদম চোখ গেলে দিবো এই বলে দিলাম।কুত্তা অন্য মেয়ের দিকে নজর দিবি না।আমি দেখতে পেত্নী এর মতো তবুও তুই আমার দিকে তাকিয়ে থাকবি।
আমি- তুমি না বললে অন্য মেয়ের দিকে তাকালে কি জেনো দিবা?
তিশা- চুপ ফাজিল বলেছি বলে কি অন্য মেয়ের দিকে তাকাতে হবে নাকি?
তুই শুধ আমাকে দেখবি আর তোকে না সেই কখন বলেছি আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতে কিন্তু তুই এখনো দূরে আছিস আয় কাছে আয় কাছে বলছি।
অহহ হ্যা কথা বলার মাঝে আমু তিশার থেকে দূরে সরে গেছিলাম কেনো জানিনা এমন হচ্চে আমার।আগে তো তিশার সাথে অনেক ঘুরেছি কিন্তু এর আগে কখনো তো এমন হয়নি।
আজ হচ্চে কেনো?
আমি- আমি পারবো না।
তিশা- তোকে পারতেই হবে কোনো কথা শুনতে চাই না।মাথা রাখ জলদি।
আমি- প্লিজ জানু ছেড়ে দাও আমি পালাবো।
তিশা- পালিয়ে দেখনা তোর পা ভেঙে রেখে দিবো।
আমি- পরে তোমাকে সবাই নেঙরার বউ বলবে।
তিশা- বললে বলুক তবুও তুই আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকবি...
আর কি করার যে দজ্জালমেয়ে কথা না শুনলে কি করে বসবে সেটা সে নিজেও জানেনা।
আমি তিশার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি আর তিশা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্চে বলে বোঝাতে পারবো না কত যে ভালো লাগছিলো তখন এই ভাবেই আমার আর তিশার সম্পর্ক শুরু হয় এরি মাঝে কলেজের সবাউ আমার বাসার সবাউ তিশার আম্মু সবাই জেনে গেছে কিন্তু কেও কোনো কথা বলেনি।
শুধু বলেছিলো পড়ালেখা যেনো ঠিক থাকে আর কলেজের সবাই তো এখন আমাকে ম্যামের জামাই বলে ডাকে।ম্যামো আগের থেকে বেশি আমাকে আদর করে।ম্যামের নিজের ছেলের মতো দেখে।শুধু একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলো দেখো বাবা কাদের আমি কিন্তু প্রেম ভালোবার বিরুদ্ধে না।
আমি এর পক্ষে আছি আর থাকবো কিন্তু আমার মেয়েকে কষ্ট দিয়ো না সারা জীবন আমার মেয়েকে তেমার কাছে আগলে রেখো।
আমি- ম্যাম আপনি চিন্তা করবেন না তিশা কোনো দিন আমার কাছ থেকে কষ্ট পাবে না।
তখন ম্যাম বলেছিলো তুমি আর আমাকে ম্যাম বলে ডেকো না আম্মু বলবে এখন থেকে।
আমি বললাম আচ্ছা এখন থেকে আম্মুবলেই ডাকবো।ম্যাম সেদিন অনেক খুশি হয়েছিলো।
আর আমি আর তিশা তো এখন একে অপরকে ছাড়া থাকতেই পারি না।আমি দিনে দিনে তিশাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলি।
এক কথায় তিশাকে ছাড়া থাকা অসম্ভব।
আমাদের রিলেশনের ৩ মাস হয়ে গেছে এরু মাঝে তিশাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলছি।
কিন্তু......
হঠাৎ একদিন তিশা আমাকে ফোন করে আমাকে দেখা করতে বলে কি জেনো সারপ্রাইজ দিবে।আমি সাথে সাথে চলে গেলাম।
তিশা আগেই চলে এসেছিলো।
আমি গিয়ে বললাম হ্যা বলো কি সারপ্রাইজ দিবে।
তিশা- আমি তোমার সাথে আর রিলেশন রাখতে পারছি না।
আমি- দেখো এখন মজা করার সময় না।মজা পরে আগে বলো কি সারপ্রাইজ।
তিশা- কোনো সারপ্রাইজ নয় আমি সত্যি বলছি আমি আর রিলেশন রাখতে পারবো না।
আমি- আবার মজা???
তিশা- অই আমি তোর মতন ছেলের সাথে তো এতোদিন মজা করেছি তখন সেটা তুই সত্যি ভাবলি আর এখন সত্যি বলছি তুই সেটা মজা কেনো ভাবছিস।
তুই কি করে ভাবলি আমি তোর মতন ছেলেকে ভালোবাসবো??
আমি- মানে কি বলছো এই সব......
তিশা- সোন তোর মনে আছে তুই আমাকে চরিত্রহীন বলেছিলি জানিস কথাটি শোনার পর অনেক কষ্ট হয়েছিলো আর সেদিনি আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি তোর উপর প্রতিশোধ নিবোই নিবো।
আর সেউ সুযোগ পেলাম তোর ভালোবাসায় আমি তোর সাথে একটু নাটক করলাম।
আমি- এইই তুমি এই সব আবাল তাবাল কি বলছো প্লিজ তুমি আমার সাথে এমন করো না।আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না খুব ভালোবাসে ফেলেছি তোমায়।
তিশা- বাচতে না পারলে মরে যা না।
শুন তোকে একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত ছিলো আর সেটা আমি দিতে পেরেছি এর থেকে বড় শিক্ষা তোকে দিতে চাইনা।দয়া করে তুই আর কোনো দিন আমাকে বিরক্ত করবি না এই বলে দিলাম খুব কষ্ট হচ্চিলো তিশার কথা গুলো শুনে কান্না চলে আসছিলো কোনো রকম চোখের পানি গুলো আটকে রেখেছিলাম।
আমি বললাম হ্যা আচ্ছা আর কোনো দিন তোমায় বিরক্তকরবো না।ভালো থেকো খুব বেশি ভালো থেকো।
তিশা- তো তুই কি ভাবছিস আমি তোকে ছাড়া খারাপ থাকবো,,যত্তসব এই কথা বলে তিশা আলে গেলো। আর
আমি সেখানেই দাড়িয়ে ছিলাম কেনো এতো ভালোবাসতে গেলাম খুব কষ্ট হচ্ছে ,নাহ দাড়িয়ে থাকলে চলবে নাহ আমি সেখান থেকো সোজা মেইন রাস্তায় চলে আসলাম আনমনে হাটছি আর তিশার কথা গুলো ভাবছি হঠাৎ করেই.......
*
:আমি- ধরো যদি আমি কোনো দিন তোমাকে ভালোবাসার কথা না বলতাম তাহলে কি হতো।
তিশা- কি আর হতো আমি তোমার আব্বু আম্মু কাছে গিয়ে বলতাম আপনার ছেলে আমাকে ভালোবাসে,, কিন্তু আপনাদের ভয়ে আমাকে বিয়ে করছে না।আর যদি কাদের আমাকে বিয়ে না করে আমি মরেই যাবো,এই কথা বলতাম। বাবারে এই মেয়ে তো বারোটা বাজাবে।।
আমি- যদি আমি রাজি না থাকতাম তাহলে কি হতো।
তিশা- তুউ রাজি না থাকলে তোকে জোর করে ধরে বিয়ে করতাম,তুই শুধু আমার আর আমি তোর অন্য কারো দিকে নজর দিবি তো তোর খবর আছে।
আমি- কি করবা গো অন্য কারো দিকে নজর দিলে?
তিশা- কিস করমু জানু সোনা।
আমি- আচ্ছা অই দেখো একটা মেয়ে বসে আছে,আর আমি মেয়েটাকে দেখছি আহা কত সুন্দর দেখতে মন জুড়িয়ে গেলো।
তিশা- অই এটা কি হচ্চে হুম একদম চোখ গেলে দিবো এই বলে দিলাম।কুত্তা অন্য মেয়ের দিকে নজর দিবি না।আমি দেখতে পেত্নী এর মতো তবুও তুই আমার দিকে তাকিয়ে থাকবি।
আমি- তুমি না বললে অন্য মেয়ের দিকে তাকালে কি জেনো দিবা?
তিশা- চুপ ফাজিল বলেছি বলে কি অন্য মেয়ের দিকে তাকাতে হবে নাকি?
তুই শুধ আমাকে দেখবি আর তোকে না সেই কখন বলেছি আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতে কিন্তু তুই এখনো দূরে আছিস আয় কাছে আয় কাছে বলছি।
অহহ হ্যা কথা বলার মাঝে আমু তিশার থেকে দূরে সরে গেছিলাম কেনো জানিনা এমন হচ্চে আমার।আগে তো তিশার সাথে অনেক ঘুরেছি কিন্তু এর আগে কখনো তো এমন হয়নি।
আজ হচ্চে কেনো?
আমি- আমি পারবো না।
তিশা- তোকে পারতেই হবে কোনো কথা শুনতে চাই না।মাথা রাখ জলদি।
আমি- প্লিজ জানু ছেড়ে দাও আমি পালাবো।
তিশা- পালিয়ে দেখনা তোর পা ভেঙে রেখে দিবো।
আমি- পরে তোমাকে সবাই নেঙরার বউ বলবে।
তিশা- বললে বলুক তবুও তুই আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকবি...
আর কি করার যে দজ্জালমেয়ে কথা না শুনলে কি করে বসবে সেটা সে নিজেও জানেনা।
আমি তিশার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি আর তিশা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্চে বলে বোঝাতে পারবো না কত যে ভালো লাগছিলো তখন এই ভাবেই আমার আর তিশার সম্পর্ক শুরু হয় এরি মাঝে কলেজের সবাউ আমার বাসার সবাউ তিশার আম্মু সবাই জেনে গেছে কিন্তু কেও কোনো কথা বলেনি।
শুধু বলেছিলো পড়ালেখা যেনো ঠিক থাকে আর কলেজের সবাই তো এখন আমাকে ম্যামের জামাই বলে ডাকে।ম্যামো আগের থেকে বেশি আমাকে আদর করে।ম্যামের নিজের ছেলের মতো দেখে।শুধু একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলো দেখো বাবা কাদের আমি কিন্তু প্রেম ভালোবার বিরুদ্ধে না।
আমি এর পক্ষে আছি আর থাকবো কিন্তু আমার মেয়েকে কষ্ট দিয়ো না সারা জীবন আমার মেয়েকে তেমার কাছে আগলে রেখো।
আমি- ম্যাম আপনি চিন্তা করবেন না তিশা কোনো দিন আমার কাছ থেকে কষ্ট পাবে না।
তখন ম্যাম বলেছিলো তুমি আর আমাকে ম্যাম বলে ডেকো না আম্মু বলবে এখন থেকে।
আমি বললাম আচ্ছা এখন থেকে আম্মুবলেই ডাকবো।ম্যাম সেদিন অনেক খুশি হয়েছিলো।
আর আমি আর তিশা তো এখন একে অপরকে ছাড়া থাকতেই পারি না।আমি দিনে দিনে তিশাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলি।
এক কথায় তিশাকে ছাড়া থাকা অসম্ভব।
আমাদের রিলেশনের ৩ মাস হয়ে গেছে এরু মাঝে তিশাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলছি।
কিন্তু......
হঠাৎ একদিন তিশা আমাকে ফোন করে আমাকে দেখা করতে বলে কি জেনো সারপ্রাইজ দিবে।আমি সাথে সাথে চলে গেলাম।
তিশা আগেই চলে এসেছিলো।
আমি গিয়ে বললাম হ্যা বলো কি সারপ্রাইজ দিবে।
তিশা- আমি তোমার সাথে আর রিলেশন রাখতে পারছি না।
আমি- দেখো এখন মজা করার সময় না।মজা পরে আগে বলো কি সারপ্রাইজ।
তিশা- কোনো সারপ্রাইজ নয় আমি সত্যি বলছি আমি আর রিলেশন রাখতে পারবো না।
আমি- আবার মজা???
তিশা- অই আমি তোর মতন ছেলের সাথে তো এতোদিন মজা করেছি তখন সেটা তুই সত্যি ভাবলি আর এখন সত্যি বলছি তুই সেটা মজা কেনো ভাবছিস।
তুই কি করে ভাবলি আমি তোর মতন ছেলেকে ভালোবাসবো??
আমি- মানে কি বলছো এই সব......
তিশা- সোন তোর মনে আছে তুই আমাকে চরিত্রহীন বলেছিলি জানিস কথাটি শোনার পর অনেক কষ্ট হয়েছিলো আর সেদিনি আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি তোর উপর প্রতিশোধ নিবোই নিবো।
আর সেউ সুযোগ পেলাম তোর ভালোবাসায় আমি তোর সাথে একটু নাটক করলাম।
আমি- এইই তুমি এই সব আবাল তাবাল কি বলছো প্লিজ তুমি আমার সাথে এমন করো না।আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না খুব ভালোবাসে ফেলেছি তোমায়।
তিশা- বাচতে না পারলে মরে যা না।
শুন তোকে একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত ছিলো আর সেটা আমি দিতে পেরেছি এর থেকে বড় শিক্ষা তোকে দিতে চাইনা।দয়া করে তুই আর কোনো দিন আমাকে বিরক্ত করবি না এই বলে দিলাম খুব কষ্ট হচ্চিলো তিশার কথা গুলো শুনে কান্না চলে আসছিলো কোনো রকম চোখের পানি গুলো আটকে রেখেছিলাম।
আমি বললাম হ্যা আচ্ছা আর কোনো দিন তোমায় বিরক্তকরবো না।ভালো থেকো খুব বেশি ভালো থেকো।
তিশা- তো তুই কি ভাবছিস আমি তোকে ছাড়া খারাপ থাকবো,,যত্তসব এই কথা বলে তিশা আলে গেলো। আর
আমি সেখানেই দাড়িয়ে ছিলাম কেনো এতো ভালোবাসতে গেলাম খুব কষ্ট হচ্ছে ,নাহ দাড়িয়ে থাকলে চলবে নাহ আমি সেখান থেকো সোজা মেইন রাস্তায় চলে আসলাম আনমনে হাটছি আর তিশার কথা গুলো ভাবছি হঠাৎ করেই.......
,
,
,
পর্ব-৭
*
আমি আনমনে হাটছি আর তিশার কথা গুলো ভাবছি।রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছিলাম ভালো লাগছিলো না তাই কোনো দিকে আমার তেমন কোনো খেয়াল ছিলো না।
হঠাৎ করেই কে যেনো আমাকে টান মেরে রাস্তার একদম কিনারে নিয়ে গেলো।আর জড়িয়ে ধরেই বলতে শুরু করলো এই তুমি কি করতে যাচ্ছিলে আর একটু হলেই তো বলেই কান্না শুরু করে দিলো।
আমি তো অবাক তিশা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।আর আমি হাটতে হাটতে কখন যে রাস্তার মাজখানে চলে গেছিলাম সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারি নাই।তবে তিশা আসলো কোথা থেকে,,তিশা না চলে গেছিলো তাহলে আবার কোথায় থেকে উদয় হলো,তিশা তো আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকরেই যাচ্ছে।
আমি- কি হলো আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন কেনো?
তিশা- তোমাকে জড়িয়ে ধরবো না তো অন্য কাউকে ধরবো নাকি?
আমু- সেটা আপনি ভালো জানেন,,আমি কি করে বলবো।
তিশা- তুমি কি করতে গেছিলে হা,আর একটু হলেই গো বলে কান্না শুরু করে দিলো।
আমি- যা হবার হতো, আর আপনি তো চেয়েছিলেন আমি মরে যাই,,তাহলে বাচালেন কেনো??
তিশা- আমি কখন চেয়েছি?
আমি- আমি যখন বললাম আপনাকে ছাড়া আমি বাচবো না তখন আপনি কি বলেছিলেন মনে নাই??
আপনি না বলেছিলেন আমি মরে গেলেও আপনার কিছু যায় আসে না।তাহলে আমাকে এখন এইভাবে বাচালেন কেনো আক্ষেপ ছিলো না।আক্ষেপ হচ্চে আমি একজন ভূল মানুষকে ভালোবাসলাম।যে কিনা এতো দিন ধরে শুধু নাটক করেই গেছে।আর আমি সেটাকে সত্যি ভেবে নিলাম।আসলেই আমি কত বোকা তাই না।
আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরে না থেকে ছেড়ে দিন।আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরে আছেন সেটা ভাবলেও আমার কষ্ট হচ্চে প্লিজ ছেড়ে দিন।আমি বাসায় চলে যাবো ভালো লাগছে না কিছু, ছাড়ুন আমায়।
তিশা- নাহ ছাড়বো না,এই ভাবেই সারা জীবন ধরে রাখবো আগলে রাখবো কখনো হারাতে দিবো না।
আমি- আবার কোন নাটক শুরু করলেন দেখুন এমনিতেই যে নাটক ফ্রিতে অনেক দেখিয়েছেন আর দেখতে চাই না।একটু আগে যে কথা গুলো বললেন আমি কোনো দিন ভাবতেও পারি নাই আপনি অই কথা গুলো বলতে পারবেন।দেখুন রাস্তায় অনেক মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দয়া করে এইবার আমাকে ছেড়ে দিন।
উফফফ আমার ভালো লাগছে নাহ,আসলেই খুব কষ্ট হচ্চিলো।কেনো হবে না একটু আগে কি কথা বলেছিলো আর এখন কি কথা বলছে। তিশা এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে আমি কিছুতেই ছাড়াতে পারছি না।
মেয়েটা এতো শক্তি পাই কোথায় থেকে বাবারে কি শক্তি আমি কিছুতেউ পেরে উঠছি না।খুব ব্যাথা লাগছে যেমন ভাবে চেপে ধরে আছে।
আমি কি করবো,তখন একটা বুদ্ধি মাথায় আসলো আমি বললাম আমার খুব পেয়েছে ছাড়ুন আমায়....
তিশা- কি পেয়েছে??
আমি- খুব চাপ পেয়েছে, এখন না ছাড়লে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে।
তিশা- হলে হোক তাতে আমার কি??
আমি ছাড়ছি না।জামা কাপড় নষ্ট করলে করো।
আমি- প্লিজ ছাড়ুন আমায় আমি চাপ মুক্ত হয়ে আসি তারপর আবার না হয় আমাকে ধরবেন এইভাবে কেমন??
তিশা- সত্যি আবার জড়িয়ে ধরতে দিবা তো??
আমি- হ্যা দিবো আপনি যা চাইবেন তাই করবো কিন্তু এইবার ছাড়ুন নষ্ট করে ফেললাম।
এরপর তিশা আমাকে ছেড়ে দিলো।
আর আমাকে পাইকে আমি এক দৌড় দৌড়াতে দৌড়াতে বলতেছিলাম আমি আর আপনার নতুন কোনো নাটক দেখতে চাই না
আমি এখন বাসায় যাবো আপনি ভালো থাকবেন।
আর আমাকে বাচানোর জন্য ধন্যবাদ,,
তিশা কিছুক্ষন আমার পেছন পেছনে আসছিলো কিন্তু আমার সাথে দৌড়ে পেরে উঠে নাই।আমি আমার মত করে দৌড়াচ্চি তিশা ডাকছপ প্লিজ বাবু সোনা প্লিজ লক্ষিটি দাড়াও আমি যাবো তোমার বাসায় প্লিজ বাবু অই অনুর আব্বু দাড়াও।
আহা কি মধুর ডাক কিন্তু আমি তো থামবো না।
কত কথা শুনাইলো নাহ কারন তো জিজ্ঞাস করলাম নাহ এতো কথা কেনো শুনাইছিলো অহহ হ্যা আমি তিশাকে চরিত্রহীন বলেছিলাম,তার জন্য নাটক করেছে।তার মিথ্যা ভালোবাসার জালে আমাকে ফাসাতে চাচ্ছে কিন্তু আমি আর ফাসবো নাহ দোড়াতে দৌড়াতে একটা বাসে উঠলাম।বাসটা আমার পিছন থেকে এসেছিলো।
আমি উঠে দিখি তিশা বাসে আর আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে।উফফ এখন কি করি এই মাইয়া এইখানে এলো কি করে।
আমি দাড়িয়ে আছি তখন তিশা এসে আমাকে টেনে বাসের ভেতর নিয়ে গেলো।
একদম পেছনের সিটে বসালো আর তিশা আমার পাশেই বসলো আমি জানতাম আমার ১২ টা বাজবে।
তিশা আমার পাশে বসে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে আমি কিছু বলছি না শুধু ভাবছি এই মাইয়া আসলে চাই কি,,কিছু বলছি না শুধু রাগে ফুসছে।আমি দেখি একটা মেয়ে আমাদের দিকেই আসছে আমি হা করে তাকিয়ে আচি মেয়েটার দিকে।
তিশা আরো রেগে গেলো।
তিশা- অই তুই অই মেয়ের দিকে অমন ভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?
আমি- না মানে একজন কে ভালোবেসে ছিলাম কিন্তু আজ জানতে পারলাম সে নাকি আমার সাথে নাটক করেছে। এখন আমার অন্য কাইকে ভালোবাসা দরকার। যে আমাকে সত্যি ভালোবাসবে আমার বউ হবে অনুর আম্মু হবে।
তিশা- একদম মেরে ফেলবো,,অন্য কারো দিকে নজর দিলে।আমি আছি কি করতে হা,আমি তোর বউ হবো তোর অনুর মা হবো।
আমু- মিথ্যা আর কত বলবেন বলেন তো আমি আর আপনাকে ভালোবাসিনা।
আমি এখন অন্য একজনকে ভালোবাসবো।
তিশা- কি বললি তুই( কান্নাকরতে করতে)
আমি- কিছু বলি নাই এখন আমি নামবো,রবি বলেছিলো অর গার্লফ্রেন্ড এর সাথে একটা মেয়ে থাকে সেটা নাকি সিংগেল দেখি আমি লাইন মারতে পারি নি।(১০০% মিথ্যা কথা)
এর পর তিশা আর কিছু বলেনাই শুধু কান্না করছিলো আর আমি বাস থেকে নেমে গেলাম বাসা বেশি দূরে না।তাই হাটা শুরু করলাম। বাসায় এসে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরলাম।
রাতে খেয়ে দেয়ে শুয়ে আছি তখন তিশা কল দিলো,আমি সাতে সাথে ধরলাম আর একটা মতলব ছিলো তাই।আমি ধরেই বলতে শুরু করলাম কি ব্যাপার নিলা এতোখন পর মনে পরলো,তুমি না তখন আমার সাথে কথা বললে আর বললে তোমার সাথে কথা না বললে কিছু ভালো লাগে না।তাহলে এতোখন পর ফোন দিলা নিলা সোনা আমার।
কাল তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো একটু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে থাকবা ওপাশ থেকে কিছুটা হাল্কা কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিল তারপর বললো আমি নিলা না আমি তিশা আর অই নিলা কে শুনি.....
আমি- সেটা আপনার না জানলেও চলবে কল কাটুন ইসস আমার জানুটা মনে হয় রাগ করবে ফোন ওয়েটিং পেলে।এই বলে কল কেটে দিলাম।
এখন কি করবো আমি জানি তিশা আবার কল দিবে তাই বুদ্ধি করে কাস্টমার কেয়ারে কল দিলাম একটু টাইম পাস করি।
ভাগ্যো ভালো ছিলো একটা মেয়ে কলটা ধরে বললো কিভাবে সাহায্য করতে পারি??
আমি- বিভিন্ন রকমের নেট অফার ইত্যাদি
*
চলবে.......
,
এডড বা follow করতে পারেন
*
আমি আনমনে হাটছি আর তিশার কথা গুলো ভাবছি।রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছিলাম ভালো লাগছিলো না তাই কোনো দিকে আমার তেমন কোনো খেয়াল ছিলো না।
হঠাৎ করেই কে যেনো আমাকে টান মেরে রাস্তার একদম কিনারে নিয়ে গেলো।আর জড়িয়ে ধরেই বলতে শুরু করলো এই তুমি কি করতে যাচ্ছিলে আর একটু হলেই তো বলেই কান্না শুরু করে দিলো।
আমি তো অবাক তিশা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।আর আমি হাটতে হাটতে কখন যে রাস্তার মাজখানে চলে গেছিলাম সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারি নাই।তবে তিশা আসলো কোথা থেকে,,তিশা না চলে গেছিলো তাহলে আবার কোথায় থেকে উদয় হলো,তিশা তো আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকরেই যাচ্ছে।
আমি- কি হলো আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন কেনো?
তিশা- তোমাকে জড়িয়ে ধরবো না তো অন্য কাউকে ধরবো নাকি?
আমু- সেটা আপনি ভালো জানেন,,আমি কি করে বলবো।
তিশা- তুমি কি করতে গেছিলে হা,আর একটু হলেই গো বলে কান্না শুরু করে দিলো।
আমি- যা হবার হতো, আর আপনি তো চেয়েছিলেন আমি মরে যাই,,তাহলে বাচালেন কেনো??
তিশা- আমি কখন চেয়েছি?
আমি- আমি যখন বললাম আপনাকে ছাড়া আমি বাচবো না তখন আপনি কি বলেছিলেন মনে নাই??
আপনি না বলেছিলেন আমি মরে গেলেও আপনার কিছু যায় আসে না।তাহলে আমাকে এখন এইভাবে বাচালেন কেনো আক্ষেপ ছিলো না।আক্ষেপ হচ্চে আমি একজন ভূল মানুষকে ভালোবাসলাম।যে কিনা এতো দিন ধরে শুধু নাটক করেই গেছে।আর আমি সেটাকে সত্যি ভেবে নিলাম।আসলেই আমি কত বোকা তাই না।
আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরে না থেকে ছেড়ে দিন।আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরে আছেন সেটা ভাবলেও আমার কষ্ট হচ্চে প্লিজ ছেড়ে দিন।আমি বাসায় চলে যাবো ভালো লাগছে না কিছু, ছাড়ুন আমায়।
তিশা- নাহ ছাড়বো না,এই ভাবেই সারা জীবন ধরে রাখবো আগলে রাখবো কখনো হারাতে দিবো না।
আমি- আবার কোন নাটক শুরু করলেন দেখুন এমনিতেই যে নাটক ফ্রিতে অনেক দেখিয়েছেন আর দেখতে চাই না।একটু আগে যে কথা গুলো বললেন আমি কোনো দিন ভাবতেও পারি নাই আপনি অই কথা গুলো বলতে পারবেন।দেখুন রাস্তায় অনেক মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দয়া করে এইবার আমাকে ছেড়ে দিন।
উফফফ আমার ভালো লাগছে নাহ,আসলেই খুব কষ্ট হচ্চিলো।কেনো হবে না একটু আগে কি কথা বলেছিলো আর এখন কি কথা বলছে। তিশা এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে আমি কিছুতেই ছাড়াতে পারছি না।
মেয়েটা এতো শক্তি পাই কোথায় থেকে বাবারে কি শক্তি আমি কিছুতেউ পেরে উঠছি না।খুব ব্যাথা লাগছে যেমন ভাবে চেপে ধরে আছে।
আমি কি করবো,তখন একটা বুদ্ধি মাথায় আসলো আমি বললাম আমার খুব পেয়েছে ছাড়ুন আমায়....
তিশা- কি পেয়েছে??
আমি- খুব চাপ পেয়েছে, এখন না ছাড়লে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যাবে।
তিশা- হলে হোক তাতে আমার কি??
আমি ছাড়ছি না।জামা কাপড় নষ্ট করলে করো।
আমি- প্লিজ ছাড়ুন আমায় আমি চাপ মুক্ত হয়ে আসি তারপর আবার না হয় আমাকে ধরবেন এইভাবে কেমন??
তিশা- সত্যি আবার জড়িয়ে ধরতে দিবা তো??
আমি- হ্যা দিবো আপনি যা চাইবেন তাই করবো কিন্তু এইবার ছাড়ুন নষ্ট করে ফেললাম।
এরপর তিশা আমাকে ছেড়ে দিলো।
আর আমাকে পাইকে আমি এক দৌড় দৌড়াতে দৌড়াতে বলতেছিলাম আমি আর আপনার নতুন কোনো নাটক দেখতে চাই না
আমি এখন বাসায় যাবো আপনি ভালো থাকবেন।
আর আমাকে বাচানোর জন্য ধন্যবাদ,,
তিশা কিছুক্ষন আমার পেছন পেছনে আসছিলো কিন্তু আমার সাথে দৌড়ে পেরে উঠে নাই।আমি আমার মত করে দৌড়াচ্চি তিশা ডাকছপ প্লিজ বাবু সোনা প্লিজ লক্ষিটি দাড়াও আমি যাবো তোমার বাসায় প্লিজ বাবু অই অনুর আব্বু দাড়াও।
আহা কি মধুর ডাক কিন্তু আমি তো থামবো না।
কত কথা শুনাইলো নাহ কারন তো জিজ্ঞাস করলাম নাহ এতো কথা কেনো শুনাইছিলো অহহ হ্যা আমি তিশাকে চরিত্রহীন বলেছিলাম,তার জন্য নাটক করেছে।তার মিথ্যা ভালোবাসার জালে আমাকে ফাসাতে চাচ্ছে কিন্তু আমি আর ফাসবো নাহ দোড়াতে দৌড়াতে একটা বাসে উঠলাম।বাসটা আমার পিছন থেকে এসেছিলো।
আমি উঠে দিখি তিশা বাসে আর আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে।উফফ এখন কি করি এই মাইয়া এইখানে এলো কি করে।
আমি দাড়িয়ে আছি তখন তিশা এসে আমাকে টেনে বাসের ভেতর নিয়ে গেলো।
একদম পেছনের সিটে বসালো আর তিশা আমার পাশেই বসলো আমি জানতাম আমার ১২ টা বাজবে।
তিশা আমার পাশে বসে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে আমি কিছু বলছি না শুধু ভাবছি এই মাইয়া আসলে চাই কি,,কিছু বলছি না শুধু রাগে ফুসছে।আমি দেখি একটা মেয়ে আমাদের দিকেই আসছে আমি হা করে তাকিয়ে আচি মেয়েটার দিকে।
তিশা আরো রেগে গেলো।
তিশা- অই তুই অই মেয়ের দিকে অমন ভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?
আমি- না মানে একজন কে ভালোবেসে ছিলাম কিন্তু আজ জানতে পারলাম সে নাকি আমার সাথে নাটক করেছে। এখন আমার অন্য কাইকে ভালোবাসা দরকার। যে আমাকে সত্যি ভালোবাসবে আমার বউ হবে অনুর আম্মু হবে।
তিশা- একদম মেরে ফেলবো,,অন্য কারো দিকে নজর দিলে।আমি আছি কি করতে হা,আমি তোর বউ হবো তোর অনুর মা হবো।
আমু- মিথ্যা আর কত বলবেন বলেন তো আমি আর আপনাকে ভালোবাসিনা।
আমি এখন অন্য একজনকে ভালোবাসবো।
তিশা- কি বললি তুই( কান্নাকরতে করতে)
আমি- কিছু বলি নাই এখন আমি নামবো,রবি বলেছিলো অর গার্লফ্রেন্ড এর সাথে একটা মেয়ে থাকে সেটা নাকি সিংগেল দেখি আমি লাইন মারতে পারি নি।(১০০% মিথ্যা কথা)
এর পর তিশা আর কিছু বলেনাই শুধু কান্না করছিলো আর আমি বাস থেকে নেমে গেলাম বাসা বেশি দূরে না।তাই হাটা শুরু করলাম। বাসায় এসে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরলাম।
রাতে খেয়ে দেয়ে শুয়ে আছি তখন তিশা কল দিলো,আমি সাতে সাথে ধরলাম আর একটা মতলব ছিলো তাই।আমি ধরেই বলতে শুরু করলাম কি ব্যাপার নিলা এতোখন পর মনে পরলো,তুমি না তখন আমার সাথে কথা বললে আর বললে তোমার সাথে কথা না বললে কিছু ভালো লাগে না।তাহলে এতোখন পর ফোন দিলা নিলা সোনা আমার।
কাল তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো একটু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে থাকবা ওপাশ থেকে কিছুটা হাল্কা কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিল তারপর বললো আমি নিলা না আমি তিশা আর অই নিলা কে শুনি.....
আমি- সেটা আপনার না জানলেও চলবে কল কাটুন ইসস আমার জানুটা মনে হয় রাগ করবে ফোন ওয়েটিং পেলে।এই বলে কল কেটে দিলাম।
এখন কি করবো আমি জানি তিশা আবার কল দিবে তাই বুদ্ধি করে কাস্টমার কেয়ারে কল দিলাম একটু টাইম পাস করি।
ভাগ্যো ভালো ছিলো একটা মেয়ে কলটা ধরে বললো কিভাবে সাহায্য করতে পারি??
আমি- বিভিন্ন রকমের নেট অফার ইত্যাদি
*
চলবে.......
,
এডড বা follow করতে পারেন
No comments:
Post a Comment