আরিফ তার পুরুষত্ব প্রকাশ করার জন্য খুব ছোট একটা কারণে তার স্ত্রী নোহার বামগালে সজোরে থাপ্পড় মারতে পারে। তরকারিতে একটু লবণ কম বা ঝাল বেশি হলে সেই তরকারির বাটি ছুড়ে ফেলে দিতে পারে। বাহিরে বের হবার সময় যখন আরিফ লক্ষ্য করে তার শার্টটা ইস্ত্রি করা হয় নি তখন সেই কুচকানো শার্টটা নোহার মুখে ছুড়ে মেরে নোহাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে পারে কারণ আরিফ একজন পুরুষ। সে তার পুরুষত্ব প্রকাশ করার জন্য এমনটা করতেই পারে।।
সেই আরিফ মাঝরাতে কাপুরুষ হয়ে যায়। তার স্ত্রী নোহা যখন মাঝরাতে তার বুকে হাত রাখে তখন সে ভয়ে জড়সড় হয়ে খাটের এক কোণে চলে যায়। কেন এমনটা হয় আরিফের সাথে সেটা জানার জন্য কয়েক বছর পিছনে যেতে হবে। তখন আরিফ সদ্য যৌবন প্রাপ্ত যুবক। ট্রেনে তার সামনের সিটে বসেছিল এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ে। বয়সের দিক দিয়ে আরিফের থেকে কয়েকবছরের বড় হবে। খুব সুন্দর করে মিষ্টি হেসে মেয়েটি আরিফের সাথে কথা বলেছিলো। কিন্তু আরিফ একটু পর ট্রেনের শেষ কামড়ার দিকে যায়। বাথরুমে ঢুকে তার সামনের দিকে বসা মেয়েটিকে কল্পনা করে হস্তমৈথুন করে। এইভাবে দিনের পর দিন রাতের পর রাত পাড়ার বৌদি, সিনেমার নায়িকা, আর নীল জগৎতের মেয়েদের কল্পনা করে একটু একটু করে সে তার শরীর থেকে পুরুষত্ব বিসর্জন দিতে থাকে। অথচ যেটা তার স্ত্রী নোহার প্রাপ্য ছিলো...
পুরুষত্ব দেখানোর জন্য স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কিংবা গায়ে হাত তুলে প্রকাশ করতে হয় না। পারলে নিজের স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে তৃপ্তি দিয়ে নিজের পুরুষত্ব দেখাও কারণ বর্তমান সমাজে ৬০% ডিভোর্স হয় স্বামীর অক্ষমতার জন্য...
স্বামী স্ত্রী সঠিকভাবে সহবাস করাও একধরনের ইবাদত...
পুরুষত্ব দেখানোর জন্য স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কিংবা গায়ে হাত তুলে প্রকাশ করতে হয় না। পারলে নিজের স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে তৃপ্তি দিয়ে নিজের পুরুষত্ব দেখাও কারণ বর্তমান সমাজে ৬০% ডিভোর্স হয় স্বামীর অক্ষমতার জন্য...
স্বামী স্ত্রী সঠিকভাবে সহবাস করাও একধরনের ইবাদত...
১৫ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করে মামুন। সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে যখন সে বাসায় ফিরে তখন তার স্ত্রী মিতু মামুনের কানের কাছে সব সময় বলতে থাকে, পাশের বাসার ভাবীকে তার স্বামী নতুন শাড়ি কিনে দিয়েছে, সোনার গহনা বানিয়ে দিয়েছে, বাসায় এসি লাগিয়েছে। এইসব কথা শুনতে শুনতে একটা সময় বিরক্ত হয়ে মামুন রাগে মিতুর গালে থাপ্পড় মারে। আর মিতুও রাগে বাপের বাড়ি চলে যায়।
অথচ মিতু এটা ভেবে দেখলো না তার স্বামী মাত্র ১৫ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করে। সে কি করে ৩৫ হাজার টাকা দামের গহনা দাবী করে।
অথচ মিতু এটা ভেবে দেখলো না তার স্বামী মাত্র ১৫ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করে। সে কি করে ৩৫ হাজার টাকা দামের গহনা দাবী করে।
একটা সংসার সুখের হয় স্বামী স্ত্রীর পারষ্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। যেখানে তোমার স্বামী ১৫ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করে সেখানে তুমি স্বামীর কাছে ১হাজার টাকার কিছু জিনিস আবদার করতে পারো। আর আস্তে আস্তে টাকা সঞ্চয় করে তোমার দামী শখ গুলো পূরণ করতে পারো। কিন্তু স্বামীর উপর চাপ সৃষ্টি করে অন্যজনের সাথে তুলনা করে স্বামীকে অপমান করার কোন মানে হয় না...
বাসর রাতে বিশ্বাস করে পুষ্পিতা তার স্বামী পিয়াসকে সব কিছু খুলে বলে। কারণ পুষ্পিতা জানে পিয়াস খুব ভালো ছেলে। আর পুষ্পিতাকে একবার দেখেই পিয়াস বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলো। সে বলে বিয়ের আগে একটা ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো। প্রচন্ড ভালোবাসতো ছেলেটাকে। তাদের মাঝে বেশকয়েক শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিলো। কিন্তু সেই ছেলেটা থাকে ধোঁকা দিয়েছে। কথাগুলো পুষ্পিতা বলছিলো আর খুব কান্না করছিলো। পিয়াস চুপ করে পুষ্পিতার সব কথা শুনলো। তারপর পুষ্পিতাকে বললো, আজকের রাতটা কোনরকম ভাবে কাটিয়ে সকালে চলে যেও। তুমি আমার জন্য না...
কথাটা শুনে পুষ্পিতা অবাক হয়ে বললো,
তোমাকে আমি বিশ্বাস করে কথাগুলো বলেছিলাম আর তুমি আমার এই প্রতিদান দিলে। পুষ্পিতার কথা শুনে পিয়াস বললো, তুমি আমাকে না বললেও আল্লাহতালা কোন না কোন ইশারায় আমাকে বুঝিয়ে দিতো তুমি অসতী। আজ যদি তুমি ৫ জনের দ্বারা কোন ধর্ষিতা মেয়েও হতে আমি সেটা মেনে নিতাম। নিজেকে রক্ষা করার জন্য যদি কাউকে খুন করতে আমি সেটাও মেনে নিতাম। এমনকি তোমার খুনের অর্ধেক ভাগ আমি নিতাম। কিন্তু যে মেয়ে নিজের ইচ্ছাতে ভালোবাসার মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে তাকে কি করে মেনে নিবো? তুমি তো নিজের সম্মানটাই নিজে রক্ষা করতে পারো নি তুমি কিভাবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক রক্ষা করবে?
কথাটা শুনে পুষ্পিতা অবাক হয়ে বললো,
তোমাকে আমি বিশ্বাস করে কথাগুলো বলেছিলাম আর তুমি আমার এই প্রতিদান দিলে। পুষ্পিতার কথা শুনে পিয়াস বললো, তুমি আমাকে না বললেও আল্লাহতালা কোন না কোন ইশারায় আমাকে বুঝিয়ে দিতো তুমি অসতী। আজ যদি তুমি ৫ জনের দ্বারা কোন ধর্ষিতা মেয়েও হতে আমি সেটা মেনে নিতাম। নিজেকে রক্ষা করার জন্য যদি কাউকে খুন করতে আমি সেটাও মেনে নিতাম। এমনকি তোমার খুনের অর্ধেক ভাগ আমি নিতাম। কিন্তু যে মেয়ে নিজের ইচ্ছাতে ভালোবাসার মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে তাকে কি করে মেনে নিবো? তুমি তো নিজের সম্মানটাই নিজে রক্ষা করতে পারো নি তুমি কিভাবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক রক্ষা করবে?
ভালোবাসা খুব পবিত্র একটা জিনিস। ভালোবাসার পূর্ব শর্ত হলো দুইজন দুইজনকে সম্মান করা। যে ভালোবাসায় দেহ নিয়ে সমালোচনা হয় সেখানে আর যায় হোক ভালোবাসা থাকে না..
No comments:
Post a Comment